১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ১০:১৫

মূল অপরাধীদের শনাক্ত করতে ব্যর্থ পুলিশ

ধরা পড়ছে চুনোপুঁটিরাই

দেশে এখন হাত বাড়ালেই মিলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। রাজধানীসহ সারাদেশে ইয়াবা-ফেনসিডিলের মতো এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও মিলছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে দেশে বর্তমানে মাদকদ্রব্যের চেয়েও কম দামে প্রশ্নপত্র বিক্রি হচ্ছে। একটি ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। এক বোতল ফেনসিডিলের দাম অন্তত ৭০০ টাকা। সেখানে একসেট ফাঁস করা প্রশ্নপত্র পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০০-৩০০ টাকার বিনিময়ে।

এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১০টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছে। তবে কারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফাঁস করা প্রশ্ন মোবাইলে পাওয়া যাওয়ার অভিযোগে সারাদেশে গত ১০ দিনে শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অন্তত ১৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ-র্যা ব। তবে তাদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের মূল উৎস জানতে পারেনি তারা। এখনও গ্রেফতার হয়নি কোনো রাঘববোয়াল।

অনেকেই বলছেন, এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে শুরু থেকেই গা-ছাড়া ভাব ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এদিকে, প্রশ্ন ফাঁস রোধে সরকারের নেওয়া কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। আগাম ঘোষণা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েকটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাই যেন অসহায় হয়ে পড়েছে।

এরই মধ্যে গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেছেন, বর্তমান পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো সম্ভব নয়।

একদিন আগে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও বলেছিলেন, প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে পরীক্ষার্থীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত বহু মানুষের সম্পৃক্ততা থাকায় এ পদ্ধতির পরিবর্তন ছাড়া প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ সম্ভব নয়।

এদিকে, গতকালও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের কেউ মূল হোতা নন। এ ছাড়া গতকাল বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদের নেতৃত্বে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি এবং ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে বিচারিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটির সদস্যসংখ্যা হবে পাঁচজন করে। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছেন আদালত।

র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সমকালকে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসে বেশ কয়েকটি স্তর রয়েছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্তরে সম্পৃক্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে গোড়ায় যারা রয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মুফতি মাহমুদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা অবৈধ বাণিজ্য করছে। বাণিজ্য না হলে কেন ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করতে যাবে?

ডিবি উত্তরের উপকমিশনারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম সমকালকে বলেন, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের গোড়ার মূল হোতাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে সেই তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। মূল হোতাদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা পরীক্ষা শুরুর ২০-৩০ মিনিট আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে ছড়িয়ে দেয়।

গত দেড় বছরে পাবলিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রায় পাঁচশ' জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মূল হোতাদের সংখ্যা হাতেগোনা। এ ছাড়া গ্রেফতার প্রায় সবাই এরই মধ্যে জামিন পেয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় যে ধারায় মামলা হয়, তাতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ২০১২ সালের পর থেকে পাবলিক পরীক্ষায় অন্তত ৮০ বার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তবে এবার এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।

এবার এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে কিছু উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষা শুরুর সাত দিন আগে থেকে সারাদেশের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ, কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য সবার জন্য কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ, ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ রাখা, প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণাসহ নানা উদ্যোগ। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনশ' মোবাইল ও টেলিফোন নম্বর চিহ্নিত করে তা ব্লকও করা হয়েছে। তবে কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি। প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলেও এখনও কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি।

পুলিশ-র্যা বের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, সাধারণত দুইভাবে ফাঁস করা প্রশ্ন বিক্রি হয়ে থাকে। যেমন পরীক্ষা শুরুর আগের রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন সরবরাহের কথা বলে টাকা চাওয়া হয়। যারা আগের রাতে প্রশ্ন পেতে চান তারা বিকাশে ফাঁসকারী চক্রের বিকাশ নম্বরে ২-৩ হাজার টাকা পাঠান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক আরও বেশি থাকে। আবার কিছু চক্র রয়েছে যারা পরীক্ষা শুরুর দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁস করে। তারা ২০০-৩০০ টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৌঁছে দেয়। পরীক্ষার্থীরা এমসিকিউর যেসব প্রশ্নপত্র পাচ্ছে তার উত্তরও সেখানে মেলানো থাকে। এ থেকে ভুক্তভোগীরা ধারণা করছেন, অনেক আগেই প্রশ্ন ফাঁস করে তার উত্তর মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবারের এসএসসি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শনিবার রাজধানীতে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ ও র্যা ব। এর মধ্যে ডিবি গ্রেফতার করে আপন তিন ভাইসহ ১১ জনকে। তাদের মধ্যে কদমতলীর ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাহাত ইসলাম, জাহিদ হোসেন, হাজারীবাগ শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আবির ইসলাম নোমান, এসএসসি পরীক্ষার্থী সুজন, তিতুমীর সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র আল আমিন ও সুফল রায় ওরফে শাওন এবং সাইদুল ইসলামকে রোববার একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি।

এ ছাড়া তিন সহোদর সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ ও ডিপ্লোমার ছাত্র বরকত উল্লাহ এবং শেরপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেনকে দু'দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে তাদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফাঁসচক্রের তথ্য পাননি তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন তারা। এ প্রক্রিয়ায় প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নামে-বেনামে পেজ খুলে প্রশ্নপত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। গ্রুপের সদস্যদের প্রশ্ন নিতে চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এর পরই বিকাশ নম্বর দেওয়া হয় প্রশ্ন নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীকে। বিকাশে টাকা পরিশোধের পর ইনবক্সে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত বিকাশ বা রকেট নম্বরে বেশি টাকা না আসার কারণে সরবরাহকারীরা এজেন্টদের সঙ্গে চুক্তি করে, তাদের নম্বর প্রশ্নপত্র গ্রাহকদের কাছে দেয়। ওই নম্বরেই টাকা আসে। একাধিক ধাপ পার হয়ে তারা প্রশ্ন সংগ্রহ করে বলে জানিয়েছে। তাদের একাধিক গ্রুপ রয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া সুফল রায় তার ফেসবুক আইডি থেকে গণিত পরীক্ষার হাতে লেখা প্রশ্ন আগের রাতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছড়িয়ে দেয়। যার সঙ্গে গণিত প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। রাহুল রায় নামে ফেসবুক আইডি থেকে সুফল রায় এ প্রশ্ন ছড়িয়ে দেয়। কোথা থেকে সে এই প্রশ্ন পেয়েছে সে ব্যাপারে তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেননি তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা। ওই প্রশ্ন বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, প্রিন্টের বিছানার চাদরের ওপরে রেখে হাতে লেখা প্রশ্নের ছবি ওঠানো হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে- ফেসবুক, ইমো, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার শত শত গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপ থেকে গ্রেফতাররা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহের পর বিক্রি করেছে। এসব আইডি খোলা হয় ভুয়া নামে। ভুয়া তথ্য দিয়ে নেওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর সপ্তাহখানেক আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দেয় তারা। যারা এসব গ্রুপের 'অ্যাডমিন' তাদের অনেককে এখনও ধরা যায়নি। র্যা ব সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে তারা 'মিসাইল ও আইসিটি' গ্রুপ থেকে প্রশ্ন পেয়ে তা ফাঁস করেছেন- এমন একজনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি হলেন ধানমণ্ডির ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্র আনিছুর রহমান। তবে ওই দুই গ্রুপের নেপথ্যে কারা রয়েছেন, তা এখনও বের করা যায়নি।

পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, প্রশ্ন যাতে ফাঁস না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সেখানে গাফিলতি হলে তা রোধ করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে সম্ভব নয়। তার মতে, মূল ফাঁসকারীদের টিকিটি এখনও ছুঁতে না পারার ব্যর্থতা অনেকাংশেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্নিষ্টদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যারা তদারক করেন, তাদেরও দায় রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এ ছাড়া শতভাগ পাস দেখাতে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসাধু মালিকরা সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে অনেক আগে থেকেই প্রশ্ন ফাঁস করছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা জরুরি বলে মনে করছেন অনেকে।

হোতাদের না ধরতে পারলেও শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রাঘববোয়ালদের তথ্য পাওয়ার জন্য চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে। তবে চুনোপুঁটিদের ধরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখনও কোনো রাঘববোয়াল ধরা যায়নি।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরেক কর্মকর্তা মনে করেন, জঙ্গিরা তথ্যপ্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ হওয়ার পরও পুলিশ-র্যা বের চৌকস সদস্যরা অল্প সময়ের মধ্যে তাদের শনাক্ত করে জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছেন। জঙ্গিবাদ মোকাবেলার বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে। একইভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে সব পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে দ্রুত তা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। দ্রুততার সঙ্গে মূল অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।

 

http://samakal.com/bangladesh/article/1802754