১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১২:১১

খাদ্য উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হ্রাসের গতিরোধ করতে হবে

গত কয়েক বছর যাবৎ আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য (চাল, গম) উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার নিচে নেমে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের খাদ্যশস্য আমদানি বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ আমাদের খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের স্বপ্ন অনেকটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার পথে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়কালে আমরা খাদ্যশস্য আমদানিতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছি। চলতি অর্থবছরের প্রথমদিকে দেশের বেশিরভাগ মানুষের প্রধান খাবার মোটা চালের দাম অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে, যা দারিদ্র্য হ্রাসের গতিকে নিম্নমুখী করেছে। কেন এ অবস্থা?
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। সরকারি তথ্য মোতাবেক ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে সার্বিক কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপর প্রবৃদ্ধির হার কমে ২০০৩-০৪ অর্থবছরে তা ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশে দাঁড়ায় (সূত্র : Bangladesh Economic Review-2005)। এরপর প্রবৃদ্ধির হার একটু একটু করে বেড়ে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়ায়। পরবর্তী বছরগুলোয় কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির এ হার ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৪৬, ৩ দশমিক ০১, ২ দশমিক ৪৬, ৪ দশমিক ৩৭ ও ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার নেমে আসে ২ দশমিক ৬ শতাংশে (সূত্র : অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা ২০১৬-১৭)।

কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী হওয়ার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শস্য উপখাত। এ উপখাতের চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ব্যাপকভাবে কমে যায়। ২০১১-১২ থেকে ২০১৫-১৬ সময়কালে দেশে চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক শূন্য ৩ থেকে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশের মধ্যে থাকে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্মক। এর অর্থ দাঁড়ায়, এ সময়কালে আমাদের চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের (১ দশমিক ৩৭ শতাংশ) চেয়ে কম।
আর আমাদের খাদ্যশস্যের তালিকায় চালের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের উৎপাদনের পরিমাণ চাহিদার পাঁচ ভাগের একভাগ মাত্র। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে যে পরিমাণ গম উৎপাদিত হয়েছিল, আমরা এখন তা থেকে অনেক দূরে আছি।

এখন খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হ্রাসের কারণগুলো পর্যালোচনা করা যাক। বর্তমানে চাল উৎপাদনে বোরোর অবস্থান শীর্ষে। দেশে উৎপাদিত চালের প্রায় ৫৬ শতাংশ আসে বোরো থেকে। চাল উৎপাদনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আমন ও আউশ। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বোরো, আমন ও আউশের উৎপাদন দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ কোটি ৯১ লাখ ৯২ হাজার টন, ১ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ও ২৩ লাখ ২৮ হাজার টন। সরকারি তথ্য মোতাবেক, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বোরোর উৎপাদন ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩৭ হাজার টনে নেমে আসে। অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বোরোর উৎপাদন কমে ২ লাখ ৫৫ হাজার টনে দাঁড়ায়। বোরো সেচনির্ভর ফসল। তিস্তা নদীর ভারতীয় অংশে ব্যারাজ (গজলডোবা ব্যারাজ) নির্মাণ করায় শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে তিস্তার পানির প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় দেশের শস্যভাণ্ডার খ্যাত উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলের সার্বিক কৃষি খাত ও পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার বাধ্য হয়ে উত্তরাঞ্চলে বোরোর আবাদ সংকুচিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) সিলেটের হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যার কারণে সরকারি হিসাবে বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার (১ কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার টন) বিপরীতে ১০ লাখ টন কম হয়েছে, যদিও বেসরকারি হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ টনের কম নয়। শুধু বোরোর উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, পর পর বন্যার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সিপিডির গবেষণায় বোরো ও আমনের ক্ষতির আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫ হাজার ৩০০ কোটি এবং ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (সূত্র : যুগান্তর, ২৭ জানুয়ারি)।
দেশে চাহিদা অনুযায়ী চাল উৎপাদন না হওয়ায় আমরা চালে আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ছি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৭ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি করা হয়েছে। এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩ টনে। আর্থিক মূল্যে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইউএসডিএ’র সূত্রের বরাত দিয়ে ১১ ফেব্র“য়ারি দ্য ডেইলি স্টারের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারি গুদামে চালের মজুদ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার চলতি অর্থবছরে আরও ১৫ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে। বিশ্বের চতুর্থ চাল উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম প্রধান চাল আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে দেশের কম-বেশি ৮০ ভাগ মানুষের প্রধান খাদ্য মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৫০-৫২ টাকা হলে তা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে। বর্তমানেও প্রকারভেদে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৪০-৪৫ টাকা। সরু চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা। মোটা চালের দাম বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব ওই চালের সব শ্রেণীর ভোক্তার ওপর পড়লেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো। সরকারি হিসাবমতে, দেশে এখনও চার কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ হতদরিদ্র। বিআইডিএসের এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঘটলে ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতদরিদ্র পরিবারই চালের ভোগ কমিয়ে দেয়। দরিদ্র পরিবারের বেলায় এ হার ৬৬ শতাংশ। ফলে তাদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার হিসাবমতে, শুধু চালের মূল্য উচ্চহারে বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক মাসে ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ গরিব হয়েছে। তারা আগে দারিদ্র্যসীমার উপরে ছিল, এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে।

আমাদের খাদ্যশস্যের তালিকায় চালের পরই দ্বিতীয় স্থানে থাকা গমের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। এর চিহ্নিত কারণগুলো হল- এক. জনসংখ্যা বৃদ্ধি। স্বাধীনতার সময়ের সাড়ে ৭ কোটি জনসংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটিতে। দুই. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সচেতনতা। সময়, আয় ও জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তনের দোলা খাদ্যাভ্যাসেও লেগেছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত- সব শ্রেণীর ভোক্তার খাদ্য তালিকায় গম তথা আটা-ময়দা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আয়ের পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে স্বাস্থ্যসচেতনতা। সুতরাং গমের চাহিদা বাড়বে বৈ কমবে না। তিন. খুচরা বাজারে মোটা চাল ও আটার দামে পার্থক্য সামান্য হলেও মাঝারি ও সরু চালের তুলনায় আটার দাম বেশ কম। ফলে গমের চাহিদা বাড়ছে। আর গমের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চললেও এর উৎপাদন নব্বইয়ের দশকের শেষদিকের তুলনায় একসময় অর্ধেকের অনেক নিচে নেমে যায়। সরকারি তথ্য মোতাবেক, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে যখন গমের উৎপাদন হয়েছিল ১৯ লাখ ৮ হাজার টন, তখন গমের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে তা দাঁড়ায় ৭ লাখ ২৫ টনে (সূত্র : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৯)। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গমের উৎপাদন কিছুটা বাড়তে থাকলেও নতুন সমস্যার উদ্ভব হওয়ায় সে অগ্রগতি থেমে গেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গমক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে গমের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই অর্থবছরে গমের উৎপাদন দাঁড়ায় ১৩ লাখ টনে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ টন গমের চাহিদার বিপরীতে আমাদের উৎপাদন ১৩-১৪ লাখ টনে সীমাবদ্ধ।
গমের চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের পরিমাণ পাঁচ ভাগের এক ভাগ হওয়ায় দেশ গমে প্রায় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হয়ে পড়েছে। বিগত ১৭ বছরের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গম আমদানির পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। ২০০০-০১ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত গমের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৩৪ হাজার টন। ২০০৭-০৮, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত গমের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩ লাখ ৮১ হাজার টন, ১৮ লাখ টন, ২৭ লাখ টন, ৩৮ লাখ টন, ৪২ লাখ টন এবং ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের ৭ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত গমের পরিমাণ ৪১ লাখ ৭৯ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। ইউএসডিএ’র প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে গম আমদানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৬০ লাখ টনে।
খাদ্যশস্য, বিশেষ করে প্রধান খাদ্যশস্য চালে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সার্বিক প্রচেষ্টা নিতে হবে। উত্তরাঞ্চলের সার্বিক কৃষি খাত (সার্বিক কৃষি খাত বলতে শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বন উপখাতগুলোকে বোঝায়) রক্ষা করতে এবং পরিবেশ বিপর্যয় এড়াতে আমাদের তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পেতেই হবে। তাই যত শিগগির সম্ভব তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বণ্টনে চুক্তি সম্পাদনে ভারতকে রাজি করাতে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এতে সফলতা না এলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারকে আন্তর্জাতিক ফোরামে যেতে হবে। দুই, দেশের উত্তরাঞ্চলে ভূ-উপরিস্থ পানি ধরে রাখার আধারগুলো সংস্কারের মাধ্যমে সেগুলোর ধারণক্ষমতা বাড়ানো গেলে এবং গ্রীষ্মকালে ওই পানি বোরো চাষে ব্যবহার হলে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বহুলাংশে কমে যাবে। এতে উত্তরাঞ্চলে বোরো চাষ হ্রাসের ঝুঁকি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা এড়ানো সম্ভব হতে পারে। তিন, গত বছর সিলেটের হাওরাঞ্চলে কৃষিজাত ফসল রক্ষার্থে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি হওয়ায় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় নজিরবিহীন অকাল বন্যায় বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। এ অবস্থার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। চার, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে শীতের প্রকোপ ও স্থায়িত্ব কমে যাওয়ায় উষ্ণ আবহাওয়া-সহনশীল জাতের গম উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে। ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও চাল উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট যে অবদান রেখে চলেছে, প্রস্তাবিত বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউট সেরূপ অবদান রাখুক। পাঁচ, কৃষি খাত এখনও দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তাই কৃষি খাতে ভর্তুকিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে কৃষকরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত হয়।

সবশেষে যা বলতে চাই তা হল, মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক এবং প্রাকৃতিক কারণগুলো মোকাবেলায় উপশমমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারলে দেশ খাদ্যশস্য, বিশেষ করে প্রধান খাদ্য চাল উৎপাদনে পিছিয়ে পড়বে, যা আমাদের আবার চাল আমদানিনির্ভর করে তুলবে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যে স্বপ্ন দেখছি তাও ব্যাহত হতে পারে।
আবদুল লতিফ মণ্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/window/17753