১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৯:৫৪

পে-অর্ডারে মহীউদ্দীন আলমগীরের হিসাবে ঘুষ লেনদেন

মখা ও চিশতীর নৈতিক স্খলন ঘটেছে -বাংলাদেশ ব্যাংক * অর্থ লোপাটে ব্যাংকটির অস্তিত্ব সংকটাপন্ন * ১ কোটি টাকার ওপরে সব ঋণের তথ্য তলব

এ যেন বেসিক ব্যাংকেরই নতুন সংস্করণ। নতুন প্রজন্মের ফারমার্স ব্যাংক জন্ম নিতে না নিতেই বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নমুনা হিসেবে মাত্র কয়েকটি ঋণ হিসাব যাচাই করে। এতেই কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। টনক নড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের। এর বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে হরিলুটের তথ্য। আশঙ্কা করা হয়- পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের সরাসরি যোগসাজশে ব্যাংকটির অধিকাংশ শাখাতেই ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। আর এভাবে আমানতকারীদের অর্থ লোপাট হওয়ায় ব্যাংকটির অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।

বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে উঠে আসে, অনিয়ম করে বরাদ্দ পাওয়া ঋণ গ্রহীতার হিসাব থেকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ গেছে পদত্যাগী চেয়ারম্যান ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির পদত্যাগী চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ব্যাংক হিসাবে। এটি সুস্পষ্ট। তাদের বিরুদ্ধে লোকবল নিয়োগে অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণও মিলেছে। পে-অর্ডারে ঘুষ লেনদেনের বিরল এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যায়ন হচ্ছে- ‘গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা বের করে নিজস্ব প্রয়োজনে পে-অর্ডার ইস্যু করার মাধ্যমে মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং মাহবুবুল হক চিশতীর নৈতিক স্খলন ঘটেছে। এভাবে তারা ঋণ মঞ্জুরে অনিয়ম ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে পরিলক্ষিত হয়েছে।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউর (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) মাধ্যমে অধিকতর তদন্ত করার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদও দেয়া হয়েছে পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এর ভিত্তিতে ২০১৫ থেকে ২০১৭-তে দেয়া ১ কোটি টাকার ওপরে সব ঋণের বিস্তারিত তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩১ মার্চের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংককে এ প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাতে হবে।
সূত্রমতে, ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ বরাদ্দ এবং বিতরণে জালিয়াতি-অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ পরিদর্শন কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর ভিত্তিতে গুলশান শাখার ৩ গ্রাহকের ঋণ হিসাব পরীক্ষা করে অর্থ লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র পান পরিদর্শকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদন দেন তারা। প্রতিবেদনটি সম্প্রতি যুগান্তরের হাতে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং মাহবুবুল হক চিশতী সুনির্দিষ্ট পাঁচটি অনিয়ম ও জালিয়াতিতে জড়িত। এগুলো হল- অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, জাল-জালিয়াতি করে গ্রাহকের ঋণ হিসাব থেকে অর্থ বের করে নিজেদের নামে পে-অর্ডার, নিয়মবহির্ভূত ঋণ মঞ্জুর, ঋণ বিতরণ এবং ঋণের টাকা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া।

নমুনা হিসাব পরীক্ষায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঋণ বরাদ্দ ও বিতরণে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। দেখা গেছে, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কেউ কেউ বেপরোয়াভাবে এসব ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে সরাসরি কমিশন নিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং ফৌজদারি অপরাধ। তারা এতই বেপরোয়া ছিলেন যে, জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূত ঋণ বরাদ্দ দিয়ে কমিশনের ভাগ বিতরণ করা হয়েছে পে-অর্ডারের মাধ্যমে।
প্রতিবেদনে উঠে আসে, ব্যাংকের ঋণ যাচাই কমিটি, পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বিপুল অংকের ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বেশ কিছু বড় অংকের ঋণের সুবিধাভোগীদের মধ্যে মাহবুবুল হক চিশতীর সন্তানসহ নিকটাত্মীয়রাও রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতরণ করা অধিকাংশ ঋণের মঞ্জুরিপত্র নেই। কিছু ক্ষেত্রে ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের আগেই নজিরবিহীনভাবে তা বিতরণ করা হয়েছে। শুধু ভাউচারের মাধ্যমেও লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বিপুল অংকের নগদ অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি বন্ধের দিনেও (শুক্র ও শনিবার) অর্থ সরানোর ঘটনা ঘটেছে। আরও বেশ কিছু লেনদেন সন্দেহজনক। এসব লেনদেনে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মাহবুবুল হক চিশতী ও তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জনৈক ফেরদৌস জবায়েত ইসলাম ভূঁইয়ার নামে পাঁচটি হিসাবের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এগুলো হল- কর্পোরেট হিসাব, ওভার ড্রাফট হিসাব এবং তিনটি স্বল্পমেয়াদি হিসাব। হিসাবগুলো খোলা হয় ২০১৪ সালে। এসব হিসাবে নেয়া ঋণের কোনো মঞ্জুরিপত্র নেই। শুধু পদত্যাগী চেয়ারম্যানের সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শাখা ঋণ দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই তনুজ কর্পোরেশনের স্বল্পমেয়াদি হিসাব থেকে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয় প্রতিষ্ঠানটির অপর চলতি হিসাবে। একই দিন ওই হিসাব থেকে ৪২ লাখ টাকা নগদে উত্তোলন করা হয় এবং অবশিষ্ট ৮০ লাখ টাকা অন্য একটি হিসাবে সাময়িক রাখা হয়। পরে তা বাতিল করে অপর একটি হিসাবে (টিওএস বা পার্কিং হিসাব) স্থানান্তর করা হয়। একই দিন ওই টাকার বিপরীতে ফারমার্স ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে ১৮ লাখ টাকার পে-অর্ডার এবং ব্যাংকটির তৎকালীন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর নামে সাড়ে ১৬ লাখ টাকার পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়। দুটি পে-অর্ডারে আবেদনকারীর স্বাক্ষর একই এবং প্রাপক হচ্ছে ‘রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টকস কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্ম’। অবশিষ্ট সাড়ে ৪৫ লাখ টাকা জনৈক মো. জাকির হোসেনকে পে-অর্ডারের বিপরীতে বিধিসম্মত না হলেও নগদে পরিশোধ করা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫ সালে ওভার ড্রাফট হিসাবের মাধ্যমেও ঋণের নামে টাকা বের করে নেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হিসাবটিতে অর্থের অংক বাড়িয়ে ৪০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। এসব ঋণের কোনো মঞ্জুরিপত্র ছিল না। কিছু ক্ষেত্রে অনুমোদনের আগেই ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া স্বল্পমেয়াদি তিনটি হিসাবের মাধ্যমে বের করা হয়েছে ৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এসব ঋণেরও কোনো মঞ্জুরিপত্র পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে ব্যাংকের টাঙ্গাইল, বখশীগঞ্জ, গুলশান, জামালগঞ্জ, মিরপুর পাইকপাড়া, কুমিল্লা এবং ধানুয়া শাখাকে ব্যবহার করা হয়। এর সঙ্গে মেসার্স ফারহা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ফারিব অটো রাইস মিলস ও আরসিএল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজও জড়িত। তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নগদ ১৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে আরসিএল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের প্রোপাইটার হলেন রাশেদুল হক চিশতী, যিনি মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে। বিভিন্ন নামে অর্থ সরানো হলেও প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে তাদের (মখা, চিশতী ও তার ছেলে) যোগসাজশ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অফিসার ও তার ওপরের পদমর্যাদার ৮৫ জনকে নিয়োগে পদত্যাগী চেয়ারম্যান এবং অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যোগসাজশ এবং আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। চাকরি প্রার্থীর বায়োডাটায় মহীউদ্দীন খান আলমগীরের স্বাক্ষরসহ ‘ডাইরেক্টর মিস্টার চিশতী’ কথাটি উল্লেখ ছিল।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ যুগান্তরকে বলেন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর এতটা শক্তিশালী যে তার ব্যাংকের লাইসেন্স নেয়া এবং দুর্নীতি করতে কোনো অসুবিধা হয়নি। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন আরও অধিকতর তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, অপরাধ প্রমাণ হলে একটি রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারণীতে তার থাকার নৈতিক অধিকার আছে কিনা, সে প্রশ্নও চলে আসে।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, স্বল্পমেয়াদি ঋণে মঞ্জুরিপত্র না থাকার কোনো সুযোগ নেই। যদি তাই হয়, তবে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎ করার লক্ষণ স্পষ্ট। পে-অর্ডারে টাকার অংক দেখে মনে হচ্ছে অনিয়মের মাধ্যমে দেয়া ঋণের কমিশন গ্রহণ করা হয়েছে। তা না হলে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তির নামে পে-অর্ডারের মাধ্যমে ১৮ লাখ টাকা এবং সাড়ে ১৬ লাখ টাকা যেত না। সন্দেহ আরও স্পষ্ট, কারণ পে-অর্ডার দুটির আবেদনকারীর স্বাক্ষর একই। ভিন্ন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তো ভাউচারের মাধ্যমে ঘুষ খাওয়ার শামিল। কারণ ব্যাংকে কোনো ভাউচারের মাধ্যমে লেনদেন হয় না। লেনদেন হয় চেকের মাধ্যমে। এখানে ঋণের কমিশন থাকতে পারে।
সিনিয়র ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করছে এবং প্রয়োজনে আরও অধিকতর তদন্ত করবে। অপরাধ প্রমাণ হলে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা করছি।

ফারমার্স ব্যাংকের পদত্যাগী চেয়ারম্যান ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে তার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি। শনিবার বনানীর অফিসে গিয়েও তার বক্তব্য জানা যায়নি। তিনি কচুয়ায় নির্বাচনী এলাকায় আছেন বলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ব্যাংকটির অডিট কমিটির পদত্যাগী চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যুগান্তরের কাছে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা নিয়েছি বলে প্রমাণ পাওয়ার যে কথা বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে তা সঠিক নয়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই বিচার হবে।
জানতে চাইলে ফারমার্স ব্যাংকের উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার দত্ত যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা পরিদর্শন চলছে শুনেছি। কিন্তু শেষ হয়েছে কিনা জানি না। তা ছাড়া এটি গেলে এমডির কাছে যাবে। আমার কাছে নয়।

ফারমার্স ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরু যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করছে। আমরাও করছি। অনিয়মের সঙ্গে যেসব কর্মকর্তা জড়িত থাকার প্রমাণ পাচ্ছি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যা চাইছে তাও দেয়া হবে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ বিতরণ আপাতত বন্ধ রয়েছে। মার্চের মধ্যে ঋণ বিতরণে যাওয়ার আশা প্রকাশ করে এহসান খসরু জানান, ২০০ কর্মকর্তা নতুন আমানত সংগ্রহে নিয়োজিত আছেন। জানুয়ারিতে প্রায় ১০ কোটি টাকার নতুন আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে। ৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ঋণ আদায়ে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা জানুয়ারিতে ১৩৮ কোটি টাকা আদায় করেছেন। এছাড়া সরকারি যেসব ফান্ডের পাওনা রয়েছে, ফান্ড সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সময় বাড়ানো হয়েছে। আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকটির নাম পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দেন তিনি।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/16311