১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৪৬

খেলাপি ঋণ, তারল্য সংকট ও সামগ্রিক অর্থনীতির অচলাবস্থা

-ড. মো. নূরুল আমিন

দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানসমূহে তারল্য সংকট, খেলাপি ঋণ আদায়ে অচলাবস্থা, নতুন বিনিয়োগ স্থবিরতা, রিজার্ভে তলানি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজস্ব আদায়ের হার হ্রাস প্রভৃতি দেশের মাইক্রো এবং ম্যাক্রো উভয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে অনিশ্চিত করে তুলেছে বলে মনে হয়। সরকার কর্তৃক ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের ফলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগও সাংঘাতিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। নতুন বিনিয়োগের অনিশ্চয়তায় ঋণ খেলাপি ব্যবসায়ীদের অনেকেই পুরাতন ঋণ পরিশোধ করা থেকে বিরত রয়েছেন। বিনিয়োগযোগ্য অর্থ খেলাপিতে আটকা থাকায় ব্যাংকগুলো নগদ অর্থ সংকটে ভুগছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো কর্তৃক বিনিয়োগকৃত মোট অর্থের ৯ শতাংশই এখন খেলাপি। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের তথ্যানুযায়ী খেলাপি ঋণের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্থান দ্বিতীয়। ঐ সময়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট খেলাপি (Overdue and nonperforming loan) ঋণের পরিমাণ ১৭,৪৩,০০০,০০ কোটি টাকা। এর সাথে গত দেড় দশকে বিদেশে পাচারকৃত সাড়ে পনের লাখ কোটি টাকার বিষয়টি তুলনীয়। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী সরকারি মালিকানাধীন সোনালী ও বিডিবি ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ৮টি ইসলামী ব্যাংক ইয়েলো জোনে, ৯টি ব্যাংক রেড জোনে রয়েছে। মাত্র ৮টি ব্যাংক মোটামুটি ভালো অবস্থায় রয়েছে।

১০টি দুর্বল ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, এবি ব্যাংক এবং জনতা ব্যাংক। ইতোমধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকগুলোর সাথে একত্রিভূত করে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা অন্য ব্যাংকের সাথে একত্রীভূত হবেন না; নিজের পায়ে নিজের গতিতেই চলবেন। আজ সোমবার যখন এই নিবন্ধটি লিখতে বসেছি তখন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট দেখলাম যে, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পরিপত্র জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে যে, ২০২৬ সালের মধ্যে খেলাপি ঋণের শতকরা একভাগ নগদ আদায় করতে হবে। একই সাথে আদালতের বাইরে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যস্থতার মাধ্যমে দ্রুত ঋণ আদায় করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় উভয় পক্ষকে প্রচলিত নীতিমালার আওতায় ছাড় দিয়ে সমঝোতায় এসে ঋণ আদায় করতে হবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে একটি রোডম্যাপ বাস্তবায়নের নির্দেশনামাও প্রেরণ করেছিল। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ খেলাপির মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।

ঋণ খেলাপির বিষয়টি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যাংক ব্যবস্থার একটি বিরাট বিষফোঁড়া ও ক্যান্সার জাতীয় রোগ। অনেকে মনে করেন এই রোগের মূল কারণ সরকার, সরকারদলীয় নেতাকর্মী, তাদের অনুগ্রহভাজন ব্যবসায়ী শিল্পপতি এবং স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেই। এই বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। উচ্চ আদালত ঋণ খেলাপিদের তালিকা চেয়েছিলেন। কিন্তু ঐ তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার আদালতে পেশ করেছিল বলে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সংসদেও বিরোধীদলীয় সদস্যদের অনেকেই এর তালিকা চেয়ে তা পাননি। কেন পাননি তার কারণ সুস্পষ্ট। একজন অভিজ্ঞ ব্যাংক ম্যানেজারের মতে যারা ঋণ খেলাপ করেছেন তাদের প্রায় সকলেই ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট। ঋণ নিয়ে তারা হয় বিধিবহির্ভূত কাজে ব্যবহার করেছেন না হয় বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা পরিশোধ করার জন্য ঋণ নেননি। তাদের অবস্থানও শক্ত। ঋণ নিতে হলে ব্যাংকের কাছে জমি, দালানকোঠা বা কলকারখানা বন্ধক রাখতে হয়, উদ্দেশ্য যদি নির্ধারিত সময়ে ঋণ গ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহলে ব্যাংক বা অর্থ প্রতিষ্ঠান বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রি করে পাওনা টাকা আদায় করতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রদত্ত ঋণের তুলনায় সম্পত্তির বাজারমূল্য বেশি হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ব্যাংকের একশ্রেণির দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা লিগাল এডভাইজার এবং ভ্যালুয়েশন কোম্পানিকে প্রভাবিত করে তারা বন্ধকযোগ্য সম্পতির অতিমূল্যায়ন করে (Overvaluation) তার ভিত্তিতে ঋণ লেনদেন করেছেন এবং জানেন যে ঋণ না দিলেও সম্পত্তি বিক্রি করে লগ্নি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ অর্থ ফেরৎ পাবে না। এজির অডিট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটররাও যে অডিট করেন তাও প্রকৃত অর্থে দুর্নীতি, প্রতারণা ও ভুলভ্রান্তি নির্ণয়ে ব্যর্থ। অডিটর সাহেবরা অডিট করতে গিয়ে ব্যাংকগুলোর মেহমানদারী ভাল খানাপিনা কেনাকাটা প্রভৃতি নিয়ে সস্তুষ্ট হয়ে সব লেনদেন ও দলিল দস্তবাজে লাল পেন্সিলের টিক চিহ্ন দিয়ে হালাল করে দিয়ে আসেন। তারা কখনো সরেজমিনে গিয়ে বন্ধকী সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য যাচাই করে না। অনেক ম্যানেজার ও ব্যাংক কর্মকর্তা আছে তারা সৎ হলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে অনিয়ম করতে বাধ্য হন। এর উপর আছে ঋণ পুনঃ তফসীলিকরণের ব্যবস্থা (Rescheduling) নির্বাচন আসলে খেলাপী ঋণের ৫% বা ৭% জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঋণ পুনঃ তফসীলিকরণের সুবিধা পান। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এখানে কাগজী লেনদেনই (Paper transation) হতে দেখা যায়। দেশের ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উপরোক্ত অনিয়ম ও সমস্যা গুলো রোধ করতে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। যারা ঋণ খেলাপ করেন তাদের সবাইকে আমি এক পাল্লায় মাপতে চাই না। তাদের মধ্যে পরিশোধে ইচ্ছুক ও অনিচ্ছুক এই দুই শ্রেণীর লোক আছেন। ইচ্ছুকদের মধ্যে আবার দুটি শ্রেণী আছে, পরিশোধে সক্ষম ও সঙ্গতিশীল এবং পরিশোধে অক্ষম এবং সঙ্গতিহীন।

প্রথমোক্ত ব্যক্তিদের কাছে লগ্নি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ঘন ঘন যেতে হবে। তাগিদ দিতে হবে এবং কিস্তি পরিশোধের সময় আগেভাগে জানিয়ে দিতে হবে। এটা করা হলে অবশ্যই তারা ঋণ পরিশোধ করবেন। দ্বিতীয়োক্ত ব্যক্তিদের সুবিধা অনুযায়ী সময় প্রদান, ছোট ছোট কিস্তিতে পরিশোদের সুযোগ দান, সুদ মওফুক এবং পুনঃ তফসীলিকরণের ব্যবস্থা প্রভৃতি ফলপ্রসূ প্রমাণিত হতে পারে, যারা ঋণ পরিশোধে অনিচ্ছুক (তাদের মধ্যে মৃত ব্যক্তিও থাকতে পারেন) তাদের ব্যাপারে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। খেলাপী ঋণের সামগ্রিক বিষয়টি দেখার বিশেষ করে খেলাপির কারণ অনুসন্ধান ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় একটি নিরপেক্ষ সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়ে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারেন। তার আগে ঋণ খেলাপীদের পূর্ণাংগ একটি তালিকা প্রণয়ন করে গণমাধ্যমসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরবারহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে। এই তালিকায় একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছেন কিনা তাও বেরিয়ে আসবে (maltiple indebtedness)
এখন ঋণের কিস্তি পরিশোধ প্রসঙ্গে আসি। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ ১৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি (১৭,৮৭,১৮৫/- টাকা)। বিদেশী ঋণের পরিমাণ ১০০.৬ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ এর ঋণের পরিমাণ ৪.৭ বিলিয়ন ডলার। আমাদের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ হচ্ছে ৬৪,৩৮০০টাকা।

বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের বেলায় বৈদেশিক ঋণের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এ ক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে এর সদ্ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ। অতীতে এই ঋণ যেমন উৎপাদনমুখী কাজে ব্যবহৃত হয়েছে তেমনি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেও ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তা আর নিয়ন্ত্রণে নেই। বাংলাদেশ, উৎপাদন বহিভূর্ত অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাস্তাঘাট, মহাসড়ক, নদী ও সমুদ্র বন্দর, বিমান বন্দর প্রভৃতির সম্প্রসারণ ইলেভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, জ্বালানি খাতে রেন্টাল স্টেশনের পেছনে ব্যাপক ব্যয় ও তার উন্নয়নের জন্য অঢেল ব্যয় বরাদ্দের ফলে বিদেশী ঋণ চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এই ঋণ দাতা সংস্থা ও দেশগুলোর রেয়াতি উৎস থেকে না এসে বাণিজ্যিক উৎস থেকেই সিংহভাগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বেয়াতি মেয়াদ যেমনি কম তেমনি সুদের হারও অনেক বেশি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশা ছিল রফতানি খাতের তেজিভাব ফিরে আসবে এবং প্রবাসী আয় (remittance) বৃদ্ধি পাবে অথবা স্থিতিশীল থাকবে কিন্তু তা হয়নি, নীতি নির্ধারকরা নীতি প্রণয়নকালে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ এবং তার ফলে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেননি। তদুপরি তারা ধরে নিয়েছিলেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ¦ালানির মূল্য স্থিতিশীল থাকবে। তাদের ধারণাগুলো সঠিক প্রমাণিত হয়নি। রাজস্ব আদায়ের প্রত্যাশাও পূরণ হয়নি। ফলে মেগা প্রকল্পসমূহের ব্যাপক ব্যয় বরাদ্দ ঠিক রাখার জন্য গণবিচ্ছিন্ন এই সরকার আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বাণিজ্যিক ঋণ নিয়ে প্রতিশ্রুত বরাদ্দ ঠিক রাখেন। ডলারের অংকেই এই ঋণ শোধ করতে হচ্ছে। যন্ত্রণার এখানেই শেষ নয়, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। কোনো কোনো প্রকল্পের মেয়াদ ২ থেকে ৫ বারও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর সাথে প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দও। প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবার পর রেয়াতি মেয়াদ (Grace Period) শেষে প্রকল্প সৃষ্ট সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রাপ্ত আয় থেকে কিস্তি পরিশোধ করার সার্বজনীন নিয়ম থাকলেও আমাদের প্রকল্পগুলো উৎপাদন ও উপার্জনমুখী না হওয়ায় তা সম্ভব হয় না। কিন্তু এখানে দেখা যায় যে, বাস্তবায়ন মেয়াদ বার বার বৃদ্ধি ও ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর প্রেক্ষিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই রেয়াতি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রাক্কলিত ব্যয়ে কাজ শেষ করতে না পারায় দাতা এজেন্সিকে আরো ঋণ দেয়ার জন্য হাত-পা ধরতে হয়। শুধু তাই নয় ঋণের কিস্তি শোধের জন্যও ঋণ নিতে হয়। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য বৃদ্ধির সরকারি অনুমান সঠিক বলে প্রমাণিত হচ্ছে না; কর ব্যবস্থার সংস্কারের অভাবে কর ভিত্তি সম্প্রসারিত হচ্ছে না। আবার সরকারকে কর দিতে গিয়ে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়া ও তাদের হাতে হেস্তনেস্ত হবার ভয়ে মানুষ কর দিতে চান না। আরেকটি চমকপ্রদ খবর হচ্ছে অনেকগুলো ফ্লাইওভার ও এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়ের ইজারাদার হয় বিদেশী কোনো কোম্পানি অথবা সরকারদলীয় নেতা বা ক্যাডার। তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত টোলের কতভাগ সরকার পান তার কোনো তথ্য দেশবাসী জানেন না।

উপরোক্ত অবস্থায় সরকারের সামগ্রিক নীতির সংস্কার ও পরিবর্তন সাধন করা না হলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। এতে জনদুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ব্যাংকসমূহ থেকে মানুষের আস্থাও উঠে যেতে পারে।

https://www.dailysangram.info/post/556026