২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:২৭

কমছে না পণ্যের দাম

ভরা মৌসুমে কমছে না আলু, পিঁয়াজ এবং রসুনের দাম। সরকার নানান উদ্যোগ নেওয়ার পরও লাগামহীন বেড়ে চলেছে আলু পিঁয়াজের দাম। শেষ পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু করেছে সরকার। এর ফলে রাজধানী পাইকারী ও খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অন্যদিকে পিঁয়াজের ভরা মৌসুমে দাম না কমে উল্টো বাড়ছে। খুচরা পর্যায়ে পিঁয়াজের দাম শতক পেরিয়ে গেছে। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। দাম নিয়ন্ত্রণে রোজার আগেই ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রসুনের দাম করোনা মহামারির সময় থেকেই বেড়েছে। যে রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো সেই রসুনের দাম করোনার সময় হু হু করে বেড়ে যায। রসুন এখন ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। রসুন আমদানির জন্য চীনের উপর নির্ভরশীল। তাই করোনার সময় যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বর্তমানে ডলার সঙ্কটের ফলে আমদানি বিঘ্ন ঘটায় এ পণ্যের দাম কমছে না বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি নয়। বাজার তদারকি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুয়ায়ী গত অর্থ বছরে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদিত হয়েছে। পিঁয়াজ রসুনের উৎপাদনও হয়েছে ভাল। এ বছর কৃষকরা রেকর্ড ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদন করেছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। দেশে আলুর চাহিদা ১ কোটি টন। সেক্ষেত্রে আলু আমদানি করতে হয় কেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন বিভাগের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী ইনকিলাবকে বলেন, দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে আলুর ঘাটতি নেই। আলুর এই বাড়তি দামের জন্য তিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন। তিনি বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মতো দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর বাজার পর্যবেক্ষণের অভাবে পণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। পিঁয়াজ এবং রসুনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ার পরও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে এসব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন যথাযথভাবে বাজার মনিটরিং হলে আমদানি না করেও আলু পিঁয়াজের দাম ভোক্তাদের নাগালে রাখা সম্ভব।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ইনকিলাবকে বলেন, সরকার হিসাব অনুযায়ী আলুর উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি। তাহলে এটা আমদানি করতে হবে কেন। আসলে বাজার ব্যবস্থাপনা যথাযথ না হওয়ায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ইচ্ছে মত দাম নিয়ন্ত্রণ করছে।

আলুর উৎপাদন ও চড়া দাম
এ বছর দেশে রেকর্ড ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে। দেশে আলুর চাহিদা ১ কোটি টন। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও বাজারে আলুর দাম কমছে না। ফলে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে ভারত খেকে আমদানির ফলে আলুর দাম এখন কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যবসায়ী ও কৃষকরা শীতে বিক্রির জন্য হিমাগারে আলু মজুদ রাখেন। তারা ধীরে ধীরে তাদের মজুদ থেকে আলু বাজারে ছাড়েন। সেপ্টেম্বরে আলু রোপণের পর তা সংগ্রহ করতে ৯০ দিন সময় লাগে। জানুয়ারিতে ফসল তোলার পর পরবর্তী কয়েক মাস বাজারে আলুর সরবরাহ নিশ্চিত থাকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, জুনের মধ্যে হিমাগারে মজুদ আলু ছেড়ে দেওয়া হয়। যাতে পরবর্তী মৌসুমের আলু তোলা পর্যন্ত বাজারে পুরনো আলু থাকে। বছরের এই সময় অন্যান্য সবজির দাম বেশি থাকায় আলুর চাহিদা বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বার্ষিক উৎপাদন পরিসংখ্যান বলছে, আগের বছরের তুলনায় দেশে আলুর উৎপাদন ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১ কোটি টন।

তবে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ) সরকারের এ তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেছে, এবার আলুর উৎপাদন ৮০ লাখ টনের বেশি হবে না। বিসিএসএ’র সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, ‘আমরা সরকারি তথ্যের সঙ্গে একমত নই। কোল্ড স্টোরেজ ধারণ ক্ষমতার প্রায় ২০ শতাংশ খালি পড়ে আছে। তিনি বলেন, যদি আলুর উৎপাদন বেশি হয়, তাহলে এই বাড়তি আলু কেথায়? ব্যবসায়ীরা আলুর মজুদ ছেড়ে দিচ্ছেন। তারা জানেন কৃষকের মজুদ শেষ।

কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী আলম বলেন, বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে ভরা মৌসুমেও এবার আলু দাম বেড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম বেশি হওয়ায় অনেকে আলু কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে দেশে আলুর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায়ও দামে প্রভাব পড়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান এ জন্য বাজার পর্যবেক্ষণের অভাব ও ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফার মানসিকতাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, যখন আলুর উৎপাদন বেশি, তখন এর বাড়তি দাম গ্রহণযোগ্য নয়।

পিঁয়াজের উৎপাদন ও মূল্য
কারণ ছাড়াই বেড়েছে পিঁয়াজের দাম। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পিঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। মসলাজাতীয় পণ্যটির এই ভরা মৌসুমেও দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীদের অজুহাত সরবরাহ সংকট। এই অজুহাতে গত জানুয়ারির শেষ দিকে এক দফা বাড়ানো হয়েছিল পিঁয়াজের দাম। এর আগে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে প্রতি কেজি দেশি পুরোনো পিঁয়াজের দাম উঠেছিল ২৪০ টাকা পর্যন্ত। অপরিণত মুড়িকাটা পিঁয়াজ বিক্রি হয় ১৭০ টাকায়। কয়েক বছর ধরে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পিঁয়াজের দাম লাফিয়ে বাড়া নিয়মিত ঘটনা হলেও ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে মূল্যবৃদ্ধি বিরল ঘটনা।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মুড়িকাটা পিঁয়াজ উৎপাদনের তথ্য পেলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। ভারত থেকে শিগগির পিঁয়াজ আমদানি হবে। ক্রেতারা বলছেন, এবার পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি কোনো যুক্তিতেই খাটে না। কারণ, ডিসেম্বরে বাজারে আগাম জাতের মুড়িকাটা পিঁয়াজ উঠেছে। এই পিঁয়াজ বাজারে উদ্বৃত্ত থাকতে থাকতেই মূল পিঁয়াজ অর্থাৎ হালি পিঁয়াজ বাজারে আসবে। যাতে আগামী কয়েক মাসেও দেশে পিঁয়াজের সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই এবারের দাম বাড়ার মূল কারণ ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভ।

রাজধানীর খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি মুড়িকাটা পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। গত এক সপ্তাহ আগে দাম উঠেছিল ১৩০-১৪০ টাকা। তারও এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৯০-১০০ টাকা। জানুয়ারি শেষে ঘন কুয়াশায় জমি থেকে পিঁয়াজ তুলতে না পারার কারণে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দাম উঠেছিল ১২০-১২৫ টাকায়। জানুয়ারির প্রথমার্ধে ছিল ৮০-৯০ টাকা। ডিসেম্বরের শুরুতে পুরোনো দেশি পিঁয়াজ ২৪০ টাকা এবং দাম বেশি থাকায় অপরিণত মুড়িকাটা পিঁয়াজ ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। পরে মুড়িকাটা পুরোদমে বাজারে এলে দাম কমে ৬০-৭০ টাকা হয়েছিল।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে বাজারে ওঠে আগাম জাতের মুড়িকাটা পিঁয়াজ। এবার এই পিঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ টনের বেশি। তুরস্ক ও মিসর থেকেও পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে দেশে প্রতি মাসে পিঁয়াজের চাহিদা দুই লাখ টনের সামান্য বেশি। এই হিসাবে দেশে এখন পিঁয়াজের যথেষ্ট মজুত আছে। চলতি মাসের শেষে ও আগামী মাসে উঠবে হালি পিঁয়াজ। এটির উৎপাদন আরও বেশি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে পিঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টন। চাহিদার ৮৫ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হয়। গত বছর জুন পর্যন্ত দেশে ১০ লাখ ৯২ হাজার টন পিঁয়াজ মজুত ছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র জানায়, এবার ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয় ৬৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৭৯ টন পিঁয়াজ উৎপাদনের তথ্য এসেছে। কোনো কোনে জেলা হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৫ টন হয়েছে। তবে গড়ে ধরা হচ্ছে ২০ টন।

বিভিন্ন জেলার মোকাম, পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোথাও পিঁয়াজের সংকট নেই। পাবনা ও ফরিদপুরে পিঁয়াজ আছে।

দাম বাড়ায় পিঁয়াজ কেনার পরিমাণ কমিয়েছেন ভোক্তারা। বেসরকারি চাকরিজীবী নূর হোসেন রাজধানীর শাহজাহানপুরের একটি দোকান থেকে গতকাল ৩০ টাকায় ২৫০ গ্রাম পিঁয়াজ কিনেছেন। তিনি বলেন, এক মাস আগেও তিনি এই পিঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি কিনেছেন। দাম বাড়ায় পরিমাণ কমিয়েছেন। পিঁয়াজ আমদানিকারক ঢাকার শ্যামবাজারের হাফিজুর রহমান বলেন, সরবরাহ সংকটে দাম কিছু বেড়েছিল। শিগগির ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। তিন-চার দিনের মধ্যে দাম কমে আসবে।

রসুন উৎপাদন ও দাম
দেশে গত এক দশকের ব্যবধানে রসুনের চাহিদা তিনগুণ বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বিপরীতে উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও সেটা চাহিদার তুলনায় কম। এতে বাড়ছে রসুনের আমদানি নির্ভরতা। ডলার সংকটে বাড়ছে আমদানি খরচ। ভোক্তার পকেট থেকেও যাচ্ছে বাড়তি টাকা। ট্যারিফ কমিশনের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশে বছরে ছয় লাখ টন রসুনের চাহিদা রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে দেশে রসুনের চাহিদা প্রায় ৯ লাখ টন, যা এক দশক আগের তুলনায় তিনগুণ ছাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব বলছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে সাড়ে তিন লাখ টন রসুন উৎপাদন হয়। এক দশক বাদে এখন উৎপাদন ঠেকেছে ৫ লাখ ১৬ হাজার টনে। ঠিক একই সময়ের ব্যবধানে চাহিদা বেড়েছে তিনগুণের বেশি। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নত জাতের অভাব, দীর্ঘমেয়াদি জীবনকাল ও উঁচু জমির ফসল বলে এ ফসলে খুব বেশি আগ্রহী নয় চাষিরা। আবার অনেক সময় উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজারদর কম হওয়াও বড় কারণ।
আমাদের দেশে চীন থেকে আমদানির ৯৬ ভাগ রসুন চীন থেকে আসে। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর রসুনের আমদানি বিঘ্নিত হওয়ার দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর বর্তমানে ডলার সঙ্কট আমদানির উপর বিরাট প্রভাব ফেলছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে রসুনের চাহিদা, আমদানির পরিমাণ ও উৎস দেশ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোন দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করা যায়, তার সুপারিশ করা হয়েছে।

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বছরে রসুনের চাহিদা প্রায় ৬ লাখ টন। গত অর্থবছরে রসুন উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টন। সেখান থেকে পচে যাওয়া রসুনের হিসাব বাদ দিয়ে প্রকৃত উৎপাদন ধরা হয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার টন। রসুনের চাহিদার ১৩ থেকে ২০ শতাংশ আমদানি করতে হয় বলে মনে করে ট্যারিফ কমিশন। ট্যারিফ কমিশন হিসাব করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন পরিসংখ্যান ধরে। অবশ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে হিসাব দেয়, তার সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বড় ফারাক দেখা যায়। যেমন বিবিএসের হিসাবে গত অর্থবছরে রসুনের উৎপাদন ৫ লাখ ৬০ হাজার টন, যা কৃষি মন্ত্রণালয়ের মূল উৎপাদনের হিসাবের ে চেয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টন কম।

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে রসুনের মৌসুম ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত। টিসিবির হিসাবে, এক বছর আগের তুলনায় এখন রসুনের দাম ১৭৭ শতাংশ বেশি। তবে সবার চেয়ে এগিয়ে পিঁয়াজ। এক বছর আগের তুলনায় পিঁয়াজের দাম বেশি ৩২২ শতাংশ।

https://dailyinqilab.com/national/article/640005