দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে “সারা দেশে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ” শিরোনামে আজ ৪ নভেম্বর প্রকাশিত রিপোর্টে ‘জামায়াত ও শিবির ইতিমধ্যেই সারা দেশে আত্মগোপনে থাকা সমর যুদ্ধে অভিজ্ঞ আফগান ফেরত শতাধিক যোদ্ধাকে তাদের দলে ভিড়িয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, আনসারুল্লাহ বাংলা টীম, তেহরিকি তালেবান, কাশ্মীরী মুজাহিদ, হামজা ব্রিগেড ও আরাকানের রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের একটি অংশকেও তাদের দলে নিতে সক্ষম হয়েছে।’ মর্মে যে সব ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার মনগড়া তথ্য পরিবেশন করেছেন।
দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, আফগান ফেরত কোন যোদ্ধাকে জামায়াত ও ছাত্রশিবির দলে ভিড়ায়নি। জামায়াত নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাই যুগান্তরের রিপোর্টে উপরোল্লিখিত সংগঠনগুলোকে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের দলে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। কোন জঙ্গি সংগঠনকে জামায়াতের অর্থের যোগান দেয়া কিংবা ইন্ধন দেয়ার প্রশ্ন সম্পূর্ণ অবান্তর। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার হীন উদ্দেশ্যেই দৈনিক যুগান্তরে এ কাল্পনিক রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে এ ধরনের কাল্পনিক রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি যুগান্তর পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানিয়ে আশা প্রকাশ করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”