১৩ জুলাই ২০১৬, বুধবার, ৩:১৯

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামোগত নির্মাণ চুক্তি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামোগত নির্মাণ চুক্তি বাতিল ও সুন্দর বন রক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১৩ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গত ১২ জুলাই বাগেরহাট জেলার রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে সুন্দর বন এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

সুন্দর বন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে সুন্দর বন এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীব-বৈচিত্র্য, গাছপালা, পশু-পাখী এবং প্রাণী সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। সুন্দর বন সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। এ কারণেই দেশের সচেতন জনগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পরিবেশবাদী সংগঠন ও সংস্থা, পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং সুশীল সমাজ রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কর্ণপাত না করে গত ১২ জুলাই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সরকারের এ চুক্তি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। দেশের পরিবেশ অধিদপ্তর এখনো এ প্রকল্পের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের তোয়াক্কা না করে সরকার কিভাবে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর করল তা দেশবাসীর বোধগম্য নয়। দেশের জনগণ সরকারের এ ধরনের একগুয়েমিপূর্ণ আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত কখনো মেনে নিবে না। সরকারকে এ অন্যায় ও আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে বিরত রাখতে না পারলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বড় ধরনের হুমকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশের সচেতন নাগরিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পরিবেশবাদী সংগঠন ও সংস্থা, পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং সুশীল সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”