বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে গত ৩ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি সম্পর্কে যে সব বিষোদগারপূর্ণ হিংসাত্মক মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৪ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের যে সব বিষোদগারপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক, অযৌক্তিক ও অসৌজন্যমূলক। আমি তার এ কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে অভিহিত করে জনাব ওবায়দুল কাদের জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে অবান্তর বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, দেশবাসী সকলেই অবগত আছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সহযাত্রী হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৮৩ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জামায়াত বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা পালন করছে। জনাব ওবায়দুল কাদেরের মনে থাকার কথা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ১৫ দল, ৭ দল ও জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত কর্মসূচি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। সে সময় একই ইস্যুতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আন্দোলন করেছে।
তিনি বলেন, জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতের আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে জামায়াত সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছেন। জনাব ওবায়দুল কাদের তাতে নাখোশ হয়ে জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য দিয়ে মনের ঝাল ঝেড়েছেন এবং তাদের রাজনৈতিক মোড়লদের খুশি করার চেষ্টা করেছেন। এতে তার নিজের মর্যাদাই ক্ষুন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জায়গা-জমি, ঘর-বাড়ি ও উপাসনালয়ের ভূমি কারা দখল করেছে এবং তাদের ইজ্জত ও সম্পদের উপর কারা হামলা করেছে, জনগণ তা ভাল করেই জানে। আর এ সমস্ত অপকর্মের সাথে যারা জড়িত জনগণ তাদেরকেই সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বিনষ্টের হোতা বলে মনে করে। কাজেই এ ধরনের হিংসাত্মক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
নিজের মর্যাদার কথা বিবেচনা করে জামায়াত সম্পর্কে আপত্তিকর ও নেতিবাচক বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”