১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শনিবার, ৫:৫১

পাঁচলাইশ থানার দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেশকে সুখী, সুন্দর ও কল্যাণময়ী রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

-মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “বাংলাদেশে আমরা পরিবর্তন করতে চাই। এটা আমরা সবসময় বলে আসছি। তার আগে নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। সেই পরিবর্তনের জন্য আমাদের যেমন মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে, তেমনিভাবে মাঠে-ময়দানে ভূমিকা রাখার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সকল দায়িত্বশীলদের নিজ যোগ্যতায় বড় হতে হবে। সকল দায়িত্বশীলকে ভারসাম্যপূর্ণ জীবন গঠন করতে হবে। দেশকে সুখী সুন্দর ও কল্যাণময়ী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে ।”

১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানা আয়োজিত দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর মাহবুবুল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জনাব শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী এবং ওয়ার্ড আমীর কাজী আব্বাস আলী প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “সকল দায়িত্বশীলকে জনগণের খেদমতের জন্য তৈরি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সেই ব্যক্তি সফল হবে, যে নিজেকে তাজকিয়া করতে পারলো, সংশোধন করতে পারলো ।“

তিনি আরও বলেন, “আমাদের নিজেদেরকে পরিবর্তনের তিনটি দিক রয়েছে। প্রথমতঃ যেই পরিবর্তনটা আমরা চাই, তার পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে কি না? দ্বিতীয়তঃ সেই পরিবর্তনের জন্য কৌশল উদ্ভাবন করা। তৃতীয়তঃ সামর্থ্যকে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজে লাগানো। এই তিনটার যদি সমন্বয় হয়, তাহলে মানুষ পরিবর্তন আশা করতে পারে। এর যে কোনো একটা ঘাটতি হলে কাঙ্খিত মানের পরিবর্তন সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য আমাদের যেমন মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে, তেমনিভাবে মাঠে ভূমিকা রাখার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। জাতির কল্যাণে আমরা যেন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারি। আল্লাহ তা’য়ালা যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন।”

চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “দেশে চলছে এক ব্যক্তির ফ্যাসিবাদ। ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসনে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ। মানুষকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। জেল-জুলুম ও হামলা-মামলা দিয়ে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের সকল মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে জালিম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে এবং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।”