১৫ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ১১:২০

রংপুরে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে “তিস্তা মহাপরিকল্পনা” বাস্তবায়ন ছাড়া উত্তরাঞ্চলের বিশাল এই জনগোষ্ঠীর স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

১৪ জুলাই রবিবার রংপুর জেলার গঙ্গারচড়া উপজেলায় পার্শবর্তী দেশ থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েকদিনের টানা প্রবল বর্ষণে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও রংপুর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক রায়হান সিরাজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা মোঃ মমতাজ উদ্দিন।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন ছাড়া উত্তরাঞ্চলের তিস্তা পাড়ের বিশাল এই জনগোষ্ঠীর টেকসই ও স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। তা না হলে প্রতিবছর বন্যা, নদী ভাঙ্গন, ঘরবাড়ি বিলীন হওয়াসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে জীবনযাপন করেই যাবে। পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হবেনা। তাই রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকগণকে এখনেই যুগউপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সিলেট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মজলুম কাফেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাধ্যের সবটুকু সামর্থ নিয়ে বন্যাদূর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্যাদূর্গত এলাকায় জামায়াতের মানবিক কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের জনকল্যাণমূলক এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

মহান রবের পক্ষ থেকে মানবতার কল্যাণে পাশে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব। তাই জামায়াতে ইসলামী এ দায়িত্ব পালনে যে কোন দূর্যোগে আর্থ মানবতার কল্যাণে পাশে ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।”