বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, সুন্নতে রাসূলের (ﷺ) আলোকে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। রাসূলের (ﷺ) ভালবাসায় উজ্জীবিত হয়ে সাহাবায়ে কেরাম বিপদ-মুসিবত ও দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে দ্বীনের বিজয় সাধন করেছিলেন। ঈমান, হিজরত, জিহাদ ও শাহাদাতের প্রেরণায় সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন পরিপূর্ণ।
তিনি ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলার উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (ﷺ) মাহফিল উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চ্যুয়ালি মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যাপক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও রংপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক আজিজুর রহমান সরকার। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ শাহ আলম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জনাব আবু রায়হান ও পাটগ্রাম উপজেলা আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
মাওলানা আবদুল হালিম আরো বলেন, রাসূল (ﷺ) মাক্কী জীবনে তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের পূর্ণাঙ্গ দাওয়াতের মাধ্যমে মানুষকে দ্বীনের পথে আকৃষ্ট ও সংগঠিত করেছেন। মাদানী জীবনে কুরআনের আলোকে সুন্দর সমাজ গঠন করে ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ও বিজয়ী আদর্শ রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রাসূল (ﷺ) প্রদর্শিত শিক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্তানদেরকে শৈশব থেকেই কুরআনের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সিরাতে রাসূলের আলোকে পরিপূর্ণ মানুষ তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে। মূলত মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন, ‘বিশ্ব মানবতার শিক্ষক। রাসূলের অনুসৃত শিক্ষায় ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তোলা এবং উজ্জীবিত করা অত্যাবশ্যক। রাসূলের শিক্ষায় সমাজ আলোকিত হলে খুন-ধর্ষণ, অবিচার ও দুর্নীতির অবসান সম্ভব।
দ্বীনের কাজে জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরাম শত বাধার মাঝেও দ্বীনের পথে দৃঢ় ও অবিচল ছিলেন। জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে হযরত আম্মার, মা সুমাইয়া, পিতা ইয়াসির শাহাদাত বরণ করেছিলেন কিন্তু দ্বীনের পথে তাঁরা অটল ছিলেন এবং জীবন কুরবানী করেছেন। ইসলামী আন্দোলনের পথে সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে সবর ও ইস্তেকামাতের সাথে বাংলাদেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার মাধ্যমেই সুন্নতে রাসূল, রাসূলের ভালবাসা ও রাসূলের অনুসরণ বাস্তব রূপ লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।