২৯ জুলাই ২০২৩, শনিবার

পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মহররমের শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে জুলুমতন্ত্র ও স্বৈরাচার পতনের আহবান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, মহররমের থেকে শিক্ষা নিয়ে জালেমের বিরুদ্ধে লড়াই করে মজলুমের পক্ষে আন্দোলন গড়ে তুলে স্বৈরাচার সরকারের পতনে সর্বোচ্চ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

ভারপ্রাপ্ত আমীর বলেন, মহররমের আরো একটি শিক্ষা হচ্ছে আল্লাহর পথে লড়াই করা আর আল্লাহর পথে যারা থাকেন তারাই আল্লাহর পথে লড়াই করেন। হাদীসে এসেছে জালিম শাসকের বিরুদ্ধে হক কথা বলা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিহাদ। কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে সরে গিয়ে প্রথম রাজতান্ত্রিক ধারায় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এজিদ। আল্লাহ রাসুল (সা.) এর ধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন ধারা তৈরীর কারনে হোসাইন (রা.) এজিদের বিরুদ্ধে কারবালার প্রান্তরে জিহাদ করেছিলেন।

বাংলাদেশেও বর্তমান জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিন দফা দাবীতে জামায়াতের কর্মসূচী চলমান রয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে ভাল সরকার হল যে সরকার জনগণকে ভালবাসবে এবং জনগণও সরকারকে ভালবাসবে। আর খারাপ সরকার হল যে সরকার জনগণকে ভালবাসবে না এবং জনগণও সরকারকে ভালবাসবেনা। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহনযোগ্য সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের আন্দোলনকে বিজয়ী করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান নিশি রাতের সরকার জামায়াতকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে দিচ্ছে না, সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। তিনি অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দাবী জানিয়ে সংগঠন ঘোষিত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহবান জানান।

১০ ই মহররম পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল আমীনের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এতে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে সাবেক উপাচার্য্য ড. প্রফেসর আবু বকর মুহাম্মদ রফিক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগরী জামায়াতে নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ নগর নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন- আমরা দীর্ঘ সময় থেকে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও এই জমিনকে জুলুমতন্ত্র, কতৃত্ববাদী শাসন ও স্বৈরতন্ত্র দিয়ে ইসলামের জন্য সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। আইন-শৃংখলাসহ সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে দলীয় লোক নিয়োগ দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে জুলুমতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের পতনকে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। এভাবে দেশের মানুষকে আর বেশিদিন আটকে রাখা যাবেনা। দেশের মানুষ আজ সর্বত্র এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে।
কারাবালা থেকে শিক্ষা নিয়ে শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও ইনসাফের দিকে ফিরাতে হবে।