কক্সবাজারের পেকুয়ায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও উপহার সামগ্রী বিতরণকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা অবর্ণনীয়। ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগ বাইরে থেকে বুঝা অসম্ভব। বিনা ভোটে নির্বাচিত এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ফলশ্রুতিতে সরকার কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। দুর্যোগকালেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে নেই। অথচ ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ-খবর নেয়ার প্রধান দায়িত্ব সরকারের। বন্যাকবলিত লোকদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট এলাকার জামায়াত নেতাকর্মী এবং সমাজের বিত্তবানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বন্যাকবলিত মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শোনেন ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তাদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত¡না দিয়ে বলেন, যে কোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব বোধ থেকেই আমরা আপনাদের পাশে এসেছি। কোনো দুর্যোগেই জামায়াতে ইসলামী ঘরে বসে থাকেনি। গণমানুষের সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই সাধ্যানুযায়ী জনগণের পাশে থেকেছে। আল্লাহ তাওফিক দিলে ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। এটা আপনাদের প্রতি আমাদের কোনো দয়া নয়। নিজের ভাই যেমন বিপদাপদে পাশে এসে দাঁড়ায়, আমরাও তেমনি আপনাদের পাশে এসেছি। সাথে করে আপনাদের জন্য খাদ্য হিসেবে কিছু উপহার নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদের উপহার গ্রহণ করলে নিজেদেরকে ধন্য মনে করব।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো বালা-মুসিবত আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিপদাপদ দিয়ে মু’মীনদের পরীক্ষা করেন। মু’মীনদের বৈশিষ্ট্য হলো তারা বিপদে ভেঙে পড়ে না। তারা আল্লাহর উপর ভরসা করে। তারা বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করে এবং বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই ধরনা দেয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়তউল্লাহ, পেকুয়া উপজেলা আমীর মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারি মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নূরুজ্জামান মুঞ্জু, সহকারী সেক্রেটারি দিদারুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি আবদুল মজিদ ও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন সভাপতি ওমর ফারুকসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।