মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিচার পরিক্রমা:
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই এবং ২ আগস্ট কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মুহাম্মদকে কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০১২ সালের ৪ জুন মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ২০১৩ সালের ১৬ এপ্রিল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় রায় ঘোষণা অপেক্ষমান রেখে ৯ মে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসি দেন ট্রাইব্যুনাল-২।
ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৬ জুন আপিল বিভাগে আপিল করেন মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। ৩ নভেম্বর মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় সংক্ষিপ্ত আকারে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আইন অনুসারে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের দিন থেকে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করার জন্য ১৫ দিনের সময় পান আসামিপক্ষ। সে অনুসারে গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন দাখিল করেন মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। অবশেষে রোববার সকালে শুনানি শেষ হলে সোমবারের (৬ এপ্রিল) রায়ে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় চূড়ান্তভাবে বহাল রাখে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের নামে জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে গত ১১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০টা ৩০ মিনিটে হত্যা করা হয়। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।