২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রবিবার, ১:৫৫

সরকারের আয়ের দ্বিগুণ খরচ বাড়বে জনগণের

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি  সরকারের আয় বাড়বে ৪ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা  আর জনগণকে বাড়তি খরচ করতে হবে ৮ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা

আগামী মার্চ ও জুন থেকে দুই ধাপে গ্যাসের দাম বাড়ছে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এর ফলে গ্যাস বিক্রি থেকে সরকার অতিরিক্ত আয় করবে বার্ষিক ৪ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। সম্পূরক শুল্ক, মূসকসহ (মূল্য সংযোজন কর) নানাভাবে আবাসিক গ্রাহকসহ আট শ্রেণির গ্রাহকদের কাছ থেকে এ অর্থ আদায় করা হবে।

আর বিদ্যুত্, সার, শিল্প, বাণিজ্যিক ও সিএনজিতেও গ্যাসের দাম বাড়ায় সার্বিকভাবে উত্পাদন ও ব্যবসা পরিচালনায় খরচ বাড়বে। সাধারণত সরকার যে অতিরিক্ত লাভ করে, তা জনগণের পকেট থেকেই পুষিয়ে নেয় শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই বাস্তবতা বিবেচনায় গ্যাসের এই দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণের বার্ষিক ব্যয় বাড়বে সরকারের প্রত্যাশিত রাজস্বের দিগুণ। সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা বেশি খরচ করতে হবে জনগণকে।

এ অতিরিক্ত খরচ সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ভোক্তা অধিকার আন্দোলন এবং ব্যবসায়ীদের সংগঠন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে ব্যক্তিগতভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করছেন। কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের করার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আধাবেলা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে নানা সংগঠন।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক সদস্য বলেন, জ্বালানি খাতে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর জন্য অনেক অর্থ প্রয়োজন। জনগণের কাছ থেকেই এ অর্থ আদায় করতে হবে। তাই দাম বাড়ানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ঘোষিত গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিদ্যুেকন্দ্রগুলোর জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বর্তমান দাম ২ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে মার্চ থেকে ২ টাকা ৯৯ পয়সা এবং জুন থেকে ৩ টাকা ১৬ পয়সা করা হয়েছে। এই শ্রেণিতে দামবৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতেরও দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিদ্যুত্ খাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের দামও আমরা সমন্বয় করতে চাই। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিইআরসিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ?্যতে সারা বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ বিতরণ করার লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সুতরাং আমাদের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করার মানসিকতাও থাকতে হবে। সব মিলিয়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি যৌক্তিক এবং এ খাতের নিরাপত্তায় সহায়ক।

গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে মার্চ থেকে ৩৮ এবং জুন থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে সিএনজিচালিত বাস-গাড়ির ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন এবং পরিবহন মালিকদের সংগঠনগুলো। সিএনজির দামবৃদ্ধির সুযোগে তেলচালিত বাস-গাড়িগুলোও ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে শঙ্কা রয়েছে। কেননা রাস্তায় একসাথে দুই ধরণের গণপরিবহণই চলছে। আর তেলচালিত ও সিএনজিচালিত—দুই ধরণের গাড়ি একই হারে ভাড়া কাটেন যাত্রীদের কাছ থেকে। ইতিমধ্যে সরকার এক দফায় তেলের দাম কমালেও গণপরিবহণে তার ন্যূনতম প্রভাবও পড়েনি। উল্টো সিংহভাগ সিএনজি গাড়িচালকরা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করেন যাত্রীদের কাছ থেকে।

মার্চে আবাসিকে গ্যাসের দাম এক চুলার জন্য ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জুন থেকে এ দাম বেড়ে দাড়াবে ৯০০ ও ৯৫০ টাকায়।

গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের বিল প্রতি ঘনমিটার ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ১০ পয়সা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফাই এটি বেড়ে দাড়াবে ১১ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমানে সারাদেশে আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩২ লাখ। দাম বৃদ্ধির ফলে এ গৃহস্থালীতে গ্যাস বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশে ৩০-৩৫ লাখ গ্রাহক পাইপ লাইনে গ্যাস পায়, বাকি কোটি কোটি লোকের কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হল সারাদেশে আবাসিক খাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি দেওয়া, আমরা সেদিকেই যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহার থেকে সরে আসতে চাই। এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে চাই এবং এলপিজির দাম সহনীয় রাখতে চাই।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস থেকে সরকারের অতিরিক্ত আয় জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে না। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, গ্যাসের দাম বাড়লে অর্থ অপচয় বাড়ে কিন্তু খাতের দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। এছাড়া সরকার আগে যেখানে জ্বালানি তেলে বছরে ৬-৭ হাজার টাকা ভর্তুকি দিত, বর্তমানে সেখানে লাভ করছে। জ্বালানি তেল বিক্রি করে গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১২ হাজার ১৮৭ কোটি টাকার বেশি লাভ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে পারত। এখন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে উল্টো খরচের বোঁঝা চাপিয়ে দিয়েছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল প্রচুর টাকা অলস পড়ে রয়েছে। গ্যাস উত্পাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলোও লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সেখান থেকেই জোগান দেয়া যেত। জনগণের উপর বাড়তি ব্যয়ের বোঁঝা চাপানোর দরকার হয় না।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর পেছনে সরকারের আরেকটি যুক্তি ২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হলে সার্বিকভাবে গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে। তাই এ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া সহনীয় করতে ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, ব্যয়বহুল জ্বালানি আমদানির চেয়ে দেশের অভ্যন্তরে বিশেষ করে সমুদ্রে গ্যাস-খনিজের অনুসন্ধান জোরদার করা প্রয়োজন। আমাদের সমুদ্রসম্পদ সম্পর্কে এখনও আমরা জানতেই পারলাম না, ব্যবহারও করতে পারলাম না। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলো এক্ষেত্রে সুফল পাচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির বিইআরসি’র চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে অর্থের সংস্থান প্রয়োজন তা মাথায় নিয়ে নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রাহকদের সামর্থ্য এবং বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, যে দামে আন্তর্জাতিক কোম্পানির কাছ থেকে গ্যাস কেনা হয়, বিক্রি করা হয় তার চেয়ে কম দামে। ক্রয় ও বিক্রির মূল্যের ব্যবধান দূর করতে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

‘জনস্বার্থ বিরোধী’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবে ক্যাব

কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, গত বছরের আগস্টে অনুষ্ঠিত গণশুনাণিতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারেনি সরকারের সংস্থাগুলো। শুনানির ৯০ দিনের মধ্যে দাম পুননির্ধারণের নিয়ম রয়েছে। এখন জনস্বার্থের বিরুদ্ধে ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো।

ক্যাব সভাপতি ও দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিটি জ্বালানি পণ্যের দাম নির্ধারণের সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। সেখানে ভোক্তাস্বার্থ, উত্পাদনকারীর স্বার্থ ও জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। গণশুনানির মাধ্যমে প্রত্যেক পক্ষের কথা শুনে পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে হয়। কিন্তু সর্বশেষ গণশুনানিতে কমিশনের কেউ অংশ নেননি। একদিন বর্তমান সদস্যদের মাত্র একজন উপস্থিত ছিলেন। আর ওই শুনানিতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে যেসব যুক্তি এসেছে, তাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে দাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে ওই আইনে। সেই ৯০ দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। বিইআরসির গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে আবেদন করবো।

শিল্প উত্পাদন খরচ বৃদ্ধি ও ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব

বর্ধিত মূল্যহার অনুযায়ী, শিল্পে বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বাবদ ৬ টাকা ৭৪ টাকা দিলেও মার্চ থেকে ৭ টাকা ২৪ পয়সা এবং জুন থেকে ৭ টাকা ৭৬ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। চা বাগানে গ্যাসের দাম ৬ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে দুই দফায় বেড়ে ক্রমে ৬ টাকা ৯৩ পয়সা ও ৭ টাকা ৪২ পয়সা হবে। বাণিজ্যিক খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১১ দশমিক ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে মার্চে ১৪ টাকা ২০ পয়সা ও জুনে ১৭ টাকা ৪ পয়সা হবে। এর ফলে শিল্প উত্পাদন ও বাণিজ্যিক খরচ বেড়ে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংিশ্লষ্টরা।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ভবিষ্যতে গ্যাসের দাম সামগ্রিকভাবে বাড়বে। এ জন্য ধাপে ধাপে এর দাম বৃদ্ধি একদিক থেকে ঠিক। তবে রপ্তানি খাতের জন্য সরকারকে প্রণোদনা দেওয়া উচিত্। তা না হলে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় তারা পিছিয়ে পড়বে।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত দুই বছরে পোশাক রপ্তানিতে নিম্নগতি রয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কারণে পোশাকশিল্পের সব শাখাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাপড়, সুতা, বোতাম থেকে শুরু করে সব ধরনের কাঁচামালের দাম বাড়বে। ফলে যে মূল্যে পোশাক উত্পাদিত হবে তা বিক্রির বাজার খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।

রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, টাকার অতিমূল্যায়ন, ব্রেক্সিট, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তেলের দামের সমন্বয় ও নিজ নিজ দেশ নীতি সহায়তা দেয়ায় প্রতিযোগী দেশগুলোর সক্ষমতা বেড়েছে। এ অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ানোয় রফতানিমুখী শিল্প আরও ঝুঁকির মুখে পড়ল। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের বাজার ছোট হয়েছে। ৪৮৩ বিলিয়ন ডলারের বাজার কমে ৪৪৫ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্য দেশগুলো মার্কেট শেয়ার ধরে রাখতে নানা নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা ঘোষণা করছে। কিন্তু আমাদের তেমনটা হচ্ছে না।

কৃষিতে ব্যয় বাড়ার শঙ্কা

সার কারখানাগুলোর জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বিদ্যমান দাম ২ টাকা ৫৮ পয়সা। আগামী মার্চে এ মূল্য বেড়ে হবে ২ টাকা ৬৪ পয়সা এবং জুনে ২ টাকা ৭১ পয়সা। সারে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। বিইআরসির কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন অনুযায়ী, এর ফলে সার কারখানাভেদে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের উত্পাদন খরচ বাড়বে ১১ থেকে ৩১ পয়সা। কারখানাভেদে খরচ বাড়বে বার্ষিক ১ থেকে ৫ কোটি টাকা। পরিপ্রেক্ষিত্রে একদিকে লোকসানী সারকারখানাগুলোতে লোকসানের পরিমাণ আরো বাড়বে। অন্যদিকে সারের দাম বাড়লে কৃষিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

http://www.ittefaq.com.bd/national/2017/02/25/105389.html