বাংলাদেশে ক্রমে বাড়তে থাকা গুমের ঘটনা বন্ধে সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিতে বলেছে জাতিসংঘের একটি কর্ম গ্রুপ। বলপূর্বক কিংবা অনিচ্ছাকৃত নিখোঁজ (গুম) হওয়ার বিষয়ে গঠিত জাতিসংঘের ওই কর্ম গ্রুপ বলেছে, গত কয়েক বছরে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি গুমের ঘটনা থেকে সংখ্যাটি এখন ৪০ ছাড়িয়ে গেছে। গুমের সংখ্যা এখন বেড়েই চলেছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ প্রতিবেদনগুলোতে বেশ কিছু গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘটনাগুলোর জন্য র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যা ব) দায়ী করা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী তিনজনকে অপহরণের পরিপ্রেক্ষিতে গুম বন্ধে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকায় পৃথক ঘটনায় হুম্মাম কাদের চৌধুরী (পিতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী), মীর আহমেদ বিন কাসেম (পিতা মীর কাসেম আলী) ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহহিল আমান আজমী (পিতা গোলাম আযম) নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের তিনজনই বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাঁদের তিনজনের বাবাই একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বিচারের কাজ চলার সময় নিখোঁজ তিনজনই তাঁদের বাবাদের রক্ষায় কাজ করেছিলেন এবং তাঁদের মুক্তির জন্য প্রচার চালিয়েছিলেন।
জাতিসংঘের কর্ম গ্রুপটি অবিলম্বে ওই তিনজনের পাশাপাশি গুমের শিকার হওয়া লোকজন কোথায় আছেন, তা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে। সব ব্যক্তিকে বলপূর্বক নিখোঁজ হওয়া থেকে সুরক্ষা দিতে জাতিসংঘের ১৯৯২ সালের ঘোষণা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের কর্ম গ্রুপটি।
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1090363