১৪ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ৬:২২

বৃষ্টির পানিতে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন শেষ

স্বপ্ন ভিজে গেছে বৃষ্টির পানিতে। চোখের পানি আর বৃষ্টির পানি এখন এক হয়ে ঝরছে নিউমার্কেটে। হালকা রোদে সেই স্বপ্ন শুকাতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। অনেক দোকান এখনো পানির নিচে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইলেকট্রনিক্স, জামাকাপড়, প্রসাধন সামগ্রীর দোকানগুলো। নষ্ট হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের হিসেবের খাতাটাও।

গত শুক্রবারের দিনভর বৃষ্টির পানি রাজধানীর কোথাও কোথাও এখনো জমে আছে। কোনো কোনো এলাকায় বুক সমান পানি জমে গিয়েছিল। সেই পানিতে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন অনেক মানুষ। বিশেষ করে নিচু এলাকার মানুষগুলো অনেক ক্ষতির শিকার হন। বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে মূল্যবান মালামাল নষ্ট হয়ে যায় তাদের। পানির কারণে অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার ভবনের নিচ তলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এই বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে যাদের দোকান নিচতলায় রাস্তার পাশে। বৃষ্টির পানি দোকানে ঢুকে ভিজে গেছে মালামাল। রাজধানীর অনেক এলাকার বড় বড় মার্কেটের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ মার্কেটের দোকানগুলো। ওই এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। আর শুক্রবারের বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি এখনো নিউ মার্কেট ও এর আশপাশের এলাকায় রয়ে গেছে। এর মধ্যেও গতকাল নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকান খুলেছেন। অনেকে দোকান খুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বৃষ্টির পানিতে তাদের স্বপ্ন শেষ। কোনো কোনো দোকানের সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে পানিতে ভিজে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকানগুলোর অধিকাংশ মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। জামা কাপড়ের দোকানেরও একই অবস্থা। ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে মূল্যবান কাপড়। সেগুলো বের করে রোদে শুকানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আব্দুর রহিম নামের এক ব্যবসায়ী জানান, মার্কেটের নিচ তলায় যারা আছেন সবাই শেষ হয়ে গেছে। দোকানের সব মালামালই ভিজে একাকার। এখন কিছু ভালো মাল বের করার চেষ্টা করছেন তারা। কিছু ভেজা জামা কাপড় শুকানোর চেষ্টা করছেন। ওগুলো শুকালেও আর আগের দামে বিক্রি করতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরও যদি কিছু পুঁজি বের করা যায়, তাই চেষ্টা করছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কোনো কোনো দোকান আছে যেগুলোর প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনো বলা যাবে না। কোনো কোনো দোকানে এখনো পানি রয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী আছেন, যাদের হিসেবের খাতাটাও নষ্ট হয়ে গেছে। এই নিয়ে আরো চিন্তা তাদের। অনেক দোকান আছে যারা কোটি টাকার বাকি দিয়েছেন। বিশেষ করে যারা পাইকারি বিক্রেতা। তারা এখন দিশেহারা। হিসেব না থাকলে বকেয়া আদায় করতেও পারবেন না।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/849462