১ জুন ২০২৪, শনিবার, ৪:৩২

৩ মাসে দ্বিগুণ আলুর দাম পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা

গত ১ মার্চ ঢাকার বাজারগুলোতে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। সেই আলু গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। একইভাবে এক মাস আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। এক মাসের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। এক মাস আগের ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ গত দুই সপ্তাহ ধরে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে থেকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৬০ টাকার নিচে মিলছেনা কোনো সবজিই। এতে তালিকা কাটছাট করে বাজার থেকে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ সঙ্কটের অজুহাতে গত তিন সপ্তাহ ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে কাঁচা মরিচের দাম এখন ২০০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হলেও তার সুফল মেলেনি।

দীর্ঘদিন ধরেই চড়া ডিমের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। বাজারে এখন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। হালি হিসেবে কিনতে গেলে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। মহল্লার দোকানগুলোতে ৬০ টাকাও রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া সাদা রঙের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৪০ টাকায়, যা গত এক মাস আগে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকায়, গত মাসে বিক্রি করা হয় ১২০ থেকে ১২৬ টাকায়।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনের কেজি মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স, পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও করলার কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি শসার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকায়, কচুরমুখী কেজি ১২০ টাকা ও কচুর লতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা এবং আমদানি করা চায়না রসুন ২২০- ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি দেশি বা বিদেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের বাজার। রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০-২২০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৫০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা আর খাসি মাস ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২০০-২৩০, ছোট পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকা, পাবদা (আকারভেদে) ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা এবং কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/839366