২৯ মে ২০২৪, বুধবার, ৪:২০

রাজশাহীর বাজারে আমের দাম চড়া ॥ ক্রেতা কম

রাজশাহীর হাট-বাজারগুলোতে ধীরে ধীরে আম নামতে শুরু করেছে। তবে দাম বেশ চড়া। বাজারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম। প্রশাসনের দেয়া ক্যালেন্ডার মোতাবেক গত ৩০ মে থেকে লক্ষণা, ক্ষীরসাপাত বা হিমসাগর আম গাছ থেকে পাড়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও ব্যানানা আম, ১৫ জুন আম্রপালি এবং ফজলি, ৫ জুলাই বারি-৪ আম, ১০ জুলাই আশ্বিনা, ১৫ জুলাই গৌড়মতি ও ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম পাড়া যাবে। এ ছাড়া কাটিমন ও বারি-১১ আম সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে। কৃষি বিভাগের হিসাবমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় আমের সম্ভাব্য উৎপাদন ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ টন। এ বছর আমের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে।

এসময় কেবল কিছু গুটি আমসহ গোপালভোগ জাতের আম বাজারে নেমেছে। তবে দাম চড়া হওয়ার কারণে ক্রেতা ভিড়ছে না। বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষের আম কেনার সময় এখনো হয়নি। ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার আমের দাম প্রায় দ্বিগুণ। আর বিক্রেতাদের দাবি, এবার ফলন কম হওয়ার কারণে দাম খানিকটা বেশি। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পাইকারি আমের হাট পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর। কয়েক দিন ধরে বাজারটিতে আম আসা শুরু হয়েছে। চারঘাট, বাঘা, মোহনপুর, দুর্গাপুর উপজেলার চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রকার পরিবহন মাধ্যমে আম নিয়ে আসছেন। সড়কের ওপরে বসা হাটে কেনা-বেচা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। হাটে শুধু পাকা আম নয়, আচার তৈরির জন্য অনেক ব্যবসায়ী ও কোম্পানির প্রতিনিধি কাঁচা আমও কিনছেন। আচার তৈরির প্রতিমণ আম কেনাবেচা হচ্ছে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। জানা গেছে, জেলা প্রশাসন সময় বেঁধে দিলেও সেই সময় অনুযায়ী এবার আম পাকছে না। এ কারণে চাষি ও ব্যসায়ীরাও আম পাড়ছেন না। আম পরিপক্ব হলেই দাম বেশি মিলবে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা আগেভাগে আর আম পাড়ছেন না।

বানেশ্বর হাটে প্রকারভেদে প্রতিমণ গোপালভোগ আম বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৪০০ থেকে তিন হাজার টাকায়। আর গুটি জাতের আম প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে। ক্রেতাদের ভাষ্য, এবার বাজারে আমের যে দাম তাতে কিনে খাওয়ার মতো অবস্থা নেই। নি¤œ আয়ের মানুষ এবার আম খেতে পারবে না। আমও এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমের বাজার মনিটরিংয়ের জোরালো ব্যবস্থা থাকা উচিত।

https://www.dailysangram.info/post/557462