৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:৩০

প্রাথমিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ও মাধ্যমিকে আজ ২৭ জেলায় ক্লাশ বন্ধ

তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল স্কুল বন্ধ করলেও মাধ্যমিকে শুধুমাত্র ২৭ জেলায় বন্ধ ঘোষণা করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আসতে হয়। এ দিকে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকাসহ ৫ জেলা ছাড়া সারাদেশেই খোলা ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আজ মঙ্গলবার খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৮ জেলা, ঢাকা বিভাগের ৬ জেলা, রংপুরের ২ জেলা এবং বরিশালের এক জেলাসহ মোট ২৭ জেলার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন। আবুল খায়ের জানান, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা, ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ এপ্রিল বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছিল, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সোমবার ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আসতে হয়। এ সময় হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে নিয়ে যাবো বলেও জানান তিনি।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় সাংবিধানিকভাবে যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করাই বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন, তাও দেখার বিষয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

উল্লেখ্য, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি ঠেকাতে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানে এসি আছে এবং ‘এ’ লেভেল ও ‘ও’ লেভেলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই আদেশের বাইরে থাকবে।

তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

এ দিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনদিনের এই ছুটির সঙ্গে যুক্ত হবে শুক্র ও শনিবারের সরকারি ছুটিও। ফলে টানা পাঁচদিনের ছুটি পাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিশুশিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, আদালতের নির্দেশ মেনে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তীব্র গরমে পাঠদান চলাকালে শ্রেণিকক্ষেই অসুস্থ হয়ে পড়ে এক বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী। সোমবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আলীরচর তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী ফরিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে যথারীতি বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় ঘণ্টা চলার সময় গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সামিয়া আক্তার নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও ফাহিমা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীসহ তিনজন গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা হাঁসফাঁস করতে থাকলে শিক্ষকদের কক্ষে নিয়ে মাথায় পানি দেওয়া হয়। এ সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আরও দুজন শিক্ষার্থী। পরে অভিভাবকদের খবর দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন শিক্ষকরা। তৃতীয় ঘণ্টা চলার সময় শ্রেণিকক্ষে অজ্ঞান হয়ে পড়ে অষ্টম ও নবম শ্রেণির আরও দুজন শিক্ষার্থী। ওই বিদ্যালয়ের মোট সাতজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। তাদের মধ্যে জ্ঞান হারায় চারজন। বাকি তিনজন দুর্বল হয়ে হাঁসফাঁস করতে থাকলে অভিভাবকদের খবর দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা আক্তার বলেন, ক্লাস চলাকালে হঠাৎ শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে ফোন করি। তিনি অভিভাবকদের ফোন দিতে বলেন। পরে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিয়ে যান। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দিন বলেন, শিক্ষা অফিসার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
বরিশালে তীব্র তাপপ্রবাহে স্কুল চলাকালীন সময়ে একটি বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

জানা যায়, তীব্র গরমের মধ্যে জেলার অন্যান্য স্কুলের মতো নগরীর জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু হয়। এদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও ছিল মোটামুটি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পরে এর মধ্যে আবার লোডশেডিং হয়। এক পর্যায়ে ক্লাস চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনীন আক্তার, কিছুক্ষণ পরে সপ্তম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীও অসুস্থ হয়ে পরে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের টিচার্স রুমে এনে শরবত, স্যালাইন ও মাথায় পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার পরে কিছুটা স্বস্তি ফিরলে অভিভাবককে ডেকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রথম ক্লাস থেকেই পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা ও বমি বমি ভাব হচ্ছিল। হঠাৎ লোডশেডিং হলে কিছুক্ষণের মধ্যে গরম বেড়ে যায়। তারপরে অসুস্থ হয়ে পড়ি।

সহকারী শিক্ষক কাওসার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এক একটি শ্রেণি কক্ষে ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচ- গরমের ফলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে প্রচ- গরমে তিন জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অভিভাবকদের ডেকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে তীব্র গরমে ১২ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ৬ জন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই স্কুল একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ অনিন্দ্য সরকার। প্রচ- গরমে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো ৭ম শ্রেণির সাহারা, একই শ্রেণির রেজোয়ান, ৮ম শ্রেণির সিহাব, সোহাগ ও বায়োজিদসহ ১২ জন।

ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র গরমের কারণে সকাল ১০টা থেকেই ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিদ্যালয়ে চিকিৎসক এনে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা অশোক ঘোষ জানান, এক সপ্তাহ বন্ধের পর স্কুল খুলেছে। স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে অতিরিক্ত গরমে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা গরমের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না। তিনি স্কুল-কলেজে মর্নিং শিফট চালুর দাবি জানান।
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় প্রচ- গরমে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে চার শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হলেও একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিদ্যালয় দুটি হলো পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাইয়ালঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান বিভাগ) স্বপন কুমার ঢালী বলেন, দুপুরে সূর্যের তাপমাত্রা যখন অসহনীয় পর্যায়ে, সেই সময় বিদ্যুৎ ছিল না। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অভিভাবকের সহযোগিতায় তাদের একজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কাইয়ালঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান বিভাগ) মিলন মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়ে পাঠদান চলার সময় দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের আমরা বিদ্যালয়ে বসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছি। ওই সময় বিদ্যুৎ ছিল না। এ কারণে অতিরিক্ত গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা দুর্বলতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা চলছে।

https://www.dailysangram.info/post/554920