৬ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:০০

ঈদ ঘিরে মসলার বাজার চড়া

পবিত্র ঈদুল ফিতরের সপ্তাহখানেকও বাকি নেই। এরইমধ্যে ঈদের বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম। গতকাল সরজমিন রাজধানীর কাজীপাড়া বাজার, শেওড়াপাড়া বাজার ও কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাজাতীয় পণ্য। পাইকারি বাজারে প্রায় সবগুলো মসলা পণ্যের দাম বেড়েছে অন্তত ৫০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারেও পড়েছে প্রভাব। দুই মাসের ব্যবধানে এলাচের মূল্য ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে তরকারিতে এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, জিরা ও গোলমরিচ খুবই পরিচিতি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালোমানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা দরে। রমজানের একমাস আগেও এই এলাচ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া বাজারে মধ্য ও নিম্নমানের কেজিপ্রতি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০০/২৬০০ টাকায়।

দুই মাস আগে এই মানের এলাচ ছিল ২৬০০/২২০০ টাকা কেজি। শেওড়াপাড়া বাজারে অবস্থিত তৃষা স্টোরের স্বত্বাধিকারী নূর আলম বলেন, বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। আমি মোটামুটি ভালোমানের এলাচ বিক্রি করি। এই এলাচ পাইকারি দামে কিনেছি ৩ হাজার ৪৫০ টাকা দরে।

দুই মাস আগেও এই এলাচ ৩ হাজার টাকা কেজিতে কিনেছিলাম। বাজারে প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। নূর আলম জানান, পাইকারের থেকে তিনি ৪৮০ টাকায় দারুচিনি কিনেছেন। কিছুদিন আগেও তিনি এই দারুচিনি ৪৬০ টাকায় কিনেছিলেন। এই হিসাবে কেজিপ্রতি দারুচিনিতে ২০ টাকা বেড়েছে। গত বছরে এই দারুচিনির কেজি ৩৮০ টাকা ছিল বলে জানান তিনি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, তারা পাইকারি দামে লবঙ্গ ১ হাজার ৫৬০ টাকা দরে কিনেছেন। কিছুদিন আগেও এই লবঙ্গ ১ হাজার ৫২০ টাকায় কিনেছিলেন বলে জানান তিনি। এক বছর আগেও এই লবঙ্গ ছিল ১৫০০/১৬০০ টাকা কেজি। এই হিসাবে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি লবঙ্গে ৪০ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, গোলমরিচের দাম সব থেকে বেশি বেড়েছে। নূর আলম বলেন, কিছুদিন আগেও ৭৫০ টাকা কেজি দরে গোলমরিচ কিনেছি, এখন এটা ৮০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অর্থাৎ, পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি গোলমরিচের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে কমেছে জিরার দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, আগে তারা ৭০০ টাকা দরে জিরা কিনলেও এখন তা ৬৪০ টাকায় কিনছেন। এজন্য ভোক্তাপর্যায়েও কমেছে জিরার দাম। এই হিসাবে কেজিপ্রতি জিরার দাম পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা কমেছে। এ ছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, আমদানিকৃত রসুন ২০০ টাকা, আদা ২০০ টাকা ও দেশি আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। সার্বিক বিষয়ে কাওরান বাজারে অবস্থিত শাহ মিয়া জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মামুন শেখ বলেন, পাইকারিতে দাম বাড়ায় দোকান পর্যায়ে প্রায় সবগুলো মসলা পণ্যের দাম বেড়েছে। ভোক্তাপর্যায়ে এখনো সেভাবে ছোঁয়া লাগেনি। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি মসলায় ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে। ১০০ গ্রাম পণ্য কিনলে তো এই দাম তাদের গায়ে বাঁধবে না।

https://mzamin.com/news.php?news=104876