৩১ মার্চ ২০২৪, রবিবার, ২:০৫

‘মহাক্ষমতা’র মহাপরিচালক

একের পর এক আজগুবি সিদ্ধান্ত, অদূরদর্শিতা, নানা অনিয়মের পথে পা রেখে বিতর্কের মুখে পড়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। অভিযোগ রয়েছে, মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিমের ‘একনায়কতন্ত্র’ ডোবাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন তিনি। অধীন কর্মকর্তাদের পরামর্শ উড়িয়ে দিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেন একা। এমনকি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই নিজের সিদ্ধান্ত প্রয়োগে ব্যতিব্যস্ত মহাপরিচালক।

কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হাতেগোনা। এর মধ্যে একজন মাসুদ করিম। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ায় নিজেকে ‘মহাক্ষমতাবান’ মনে করেন। সর্বশেষ ১০ রমজানে এসে বিতর্কে ঘি ঢালেন তিনি। ২৯ পণ্যের ‘মনগড়া’ দাম বেঁধে দিয়ে বাজার করে তুলেছেন অস্থির। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও বাজার-সংশ্লিষ্ট কাউকে ডাকেননি। এদিকে সুসম্পর্ক না থাকলে সাংবাদিক নাম শুনলেই বন্ধ হয়ে যায় তাঁর অফিসকক্ষের দরজা। ধরেন না সাংবাদিকের ফোন। সরকারি ওয়েবসাইট থেকেও হাওয়া করে দিয়েছেন তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর।

ঢাকাসহ সারাদেশে এখন বন্ধ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষকের বাজার’। বাজারে বাজারে ঝুলছে এক-দুই বছর আগের পুরোনো দামের তালিকা। প্রতিদিন ওয়েবসাইটে যে মূল্য তালিকা প্রকাশ করা হয়, তা-ও ভুলে ভরা। সারাদেশে ৬০০ জনবল এবং সব জেলায় কার্যালয় থাকলেও মাঠে নেই কোনো কর্মকর্তা। ৪০ বছরের তথ্যভান্ডার উধাও হয়ে গেছে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে। দুটি ওয়েবসাইটে নেই একসময়ের ২৭১টি কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য, ৮২ হাজার বাজারের তথ্য। কৃষকের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সদাই’ ওয়েবসাইট এবং দুটি মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে সেগুলো পরীক্ষামূলক চালু রেখেই আবার আড়াই কোটি টাকা খরচা করে একই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি অধিদপ্তরে ১৫৩ জনবল নিয়োগেও উঠেছে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ।

কৃষককে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও বাজার তদারকি করার কথা যাদের, সেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এমন হযবরল পরিস্থিতিতে ঠকছেন কৃষক-ভোক্তা, আর সরকারের অপচয় হচ্ছে শত শত কোটি টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন মহাপরিচালক মাসুদ করিম যোগ দেওয়ার পর থেকেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বদলে গেছে। তিনি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষমতা দেখান। তাঁর একক সিদ্ধান্তে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কারও মতামত নেন না তিনি।

অ্যাপসের পেছনে আড়াই কোটি টাকা খরচা
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘অনলাইনভিত্তিক কৃষি বিপণন ব্যবস্থা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সদাই’ ওয়েবসাইট ও দুটি অ্যাপ বানানো হয়, যা পরীক্ষামূলকভাবে এখন চলছে। কৃষক ও ভোক্তাদের সুবিধা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ‘সদাই’ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ আরও উন্নত এবং কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল। এ জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দও আছে। তবে তা না করে আবার নতুন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সদাই অ্যাপের অধীনে ৩৫ জেলায় কৃষক ও ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। একই সঙ্গে ২৫ জেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এত আয়োজনের পর একই ধরনের আরেকটি অ্যাপ তৈরির মাধ্যমে সরকারি টাকা অপচয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নতুন অ্যাপ ও ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ‘মাই সফট হ্যাভেন (বিডি) লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।

শনিবার পরীক্ষামূলক সদাই (sadai.gov.bd) ওয়েবসাইট ও অ্যাপে ঢুকে দেখা যায়, সেখানে ‘কৃষকের বাজার’, ‘পাইকারি বাজার’, ‘খুচরা বাজার’ ও নারীদের জন্য বিশেষায়িত ‘নারী কর্নার’ নামে আলাদা বাজার রাখা হয়েছে। এসব বাজারে কৃষিপণ্য কেনাবেচার নানা সুযোগ আছে। কৃষি সাফল্যের কিছু প্রামাণ্যচিত্র রয়েছে ওয়েবসাইটে।

৪০ বছরের তথ্যভান্ডার উধাও
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মূলত দুটি ওয়েবসাইট। একটি নিজেদের তৈরি, যেখানে (www.market.dam.gov.bd) ৪০ বছরের তথ্যভান্ডার ছিল। কৃষি বাজার পরিস্থিতি, পণ্যের দাম ওঠানামা, বাজারের হালচাল জানার জন্য এ ওয়েবসাইট অনেকেরই ভরসা ছিল। অধিদপ্তরের আরেকটি ওয়েবসাইট (www.dam.portal.gov.bd) এটুআইর তৈরি।

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছরের ২৪ জুলাই থেকে নিজস্ব ওয়েবসাইটে তথ্যভান্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। শুরুতে কিছুদিন ওয়েবসাইটও বন্ধ ছিল। পরে তা চালু হলেও তথ্য মিলছে না। ওই সময় মহাপরিচালক মাসুদ করিম গণমাধ্যমকে তথ্যভান্ডার মুছে যাওয়ার বিষয়টি ‘গুজব’ বলেন। তিনি বলেছিলেন, হালনাগাদের কাজের কারণে তথ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন সফটওয়্যার এলে এক সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।

তবে শনিবার রাতে ওয়েবসাইটে ঢুকে দৈনিক বাজারদর খুঁজতে গেলে বিভাগ ও জেলাতে ক্লিক করার পর আর কোনো অপশন আসেনি। একই অবস্থা বাজারদরের বেলায়ও। এ ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না আলু রক্ষণাগারের তথ্যভান্ডার ও ২০টির বেশি কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচের তথ্য।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৩-১৪ সাল থেকে এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন বাজারের তথ্য সরাসরি হালনাগাদ (লাইভ আপডেট) হয়ে আসছিল। এখন যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে গত ৪০ বছরের ২৭১টি কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য, দেশের ৮২ হাজার বাজারের তথ্য। অদক্ষতার কারণেই তথ্যভান্ডার মুছে গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার আল আমিন সরকার বলেন, হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করেছে। পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আগে যারা কাজ করেছেন, তারা তথ্যভান্ডার সংরক্ষণ ব্যবস্থা রাখেননি।

কৃষকের বাজার বন্ধ
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সেচ ভবন চত্বরে চালু হয় ‘কৃষকের বাজার’। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও হরটেক্স ফাউন্ডেশন এ বাজার পরিচালনা করছিল। তখন কৃষকের পণ্যে ভরে যেত সেচ ভবন চত্বর। পরে কৃষি মন্ত্রণালয় অস্থায়ী এ বাজারকে স্থায়ী ভবনে রূপ দেয়। গত বছরের ২৬ জুন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ৩৪টি দোকান নিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো উদ্বোধন করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। উদ্বোধনের পর থেকেই সেই বাজার সুনসান। বাজারের গেটে ঝুলছে তালা।

গত ১ সেপ্টেম্বর গাবতলী পশুহাটের পাশে কেন্দ্রীয় ফুল মার্কেট উদ্বোধন করেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছয় মাস চলে গেলেও মার্কেট আগের মতোই ফাঁকা। দোকান বরাদ্দের কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি এখনও। কবে হবে, তাও কেউ জানে না।
আগারগাঁওয়ের ফ্লাওয়ার গ্রোয়ার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, নতুন মার্কেটের স্থান চিহ্নিত না করা ও স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত না করার কারণে তারা এখনও যাননি। কবে এগুলো করে দেওয়া হবে– কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কেউ জানায়নি।
একই অবস্থা দেশের জেলা পর্যায়ে করা কৃষকের বাজারেরও। গত এক মাসে অন্তত ১২টি জেলায় খবর নিয়ে এসব কৃষকের বাজারের দুরবস্থার তথ্য পাওয়া গেছে। সমকালের প্রতিনিধিরা জানান, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের অবহেলায় বাজারগুলো চালু হয়নি।

নিরাপদ শাকসবজি বাজারজাতকরণ সম্প্রসারণ কর্মসূচির আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ হাটখোলা বাজারের অদূরে অধিদপ্তর নির্মাণ করে একটি শেড। গত ১৫ অক্টোবর ‘কৃষকের বাজার’ নামে ওই শেড উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের তিন দিন পরই বন্ধ হয়ে যায় বাজারটি। পাঁচ মাস ধরে শেডটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। জেলা বাজার ও বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, স্থান নির্ধারণে ভুল হওয়ায় বাজারটি জমে ওঠেনি। বিপণন অধিদপ্তরের ঢাকা থেকে লোক এসে সেখানে শেড করেই চলে গেছে। আমাদের কিছুই জানায়নি।
কৃষিপণ্যের বাজার সমৃদ্ধ করতে নোয়াখালীর কবিরহাটের কালামুন্সি বাজারে গড়ে তোলা হয় ‘কৃষি মার্কেট’। ১ একর ৯৬ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মার্কেটটি ২০০০ সালে চালু হয়। তবে মার্কেটটি জমানো যায়নি। সম্প্রতি জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তার যোগসাজশে মার্কেটটির সড়ক, গলি, শৌচাগারসহ বিভিন্ন স্থান অবৈধ বরাদ্দ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ১৩টি স্থাপনা। এতে বন্ধ হয়ে গেছে বাজার।
ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলার ‘কৃষকের বাজার’ উদ্বোধনের পর আর কার্যক্রম চলেনি।

নিয়োগে অনিয়ম
সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে ১৫৩ জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মহাপরিচালকের একটি চক্র এরই মধ্যে প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী বলেন, ৫ থেকে ১২ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ডিজি অফিসের একটি চক্র এ কাজ করছে।

বাজারে টানানো হয় না মূল্য তালিকা
কৃষিপণ্য বিপণন অধিদপ্তর কয়েক বছর ধরে যৌক্তিক মূল্যের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। তবে ক্রেতা বা বিক্রেতা কেউ তা জানে না। এর কারণ হলো, ওই মূল্য তালিকা বাজারে ‘দেখা যায়’ এমন স্থানে টানিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশনা আইন ও বিধিমালায় বলা আছে, তার বাস্তবায়ন হয় না।

গত ১০ রমজান হুট করেই ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দেয় অধিদপ্তর। পরের দিন দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে খবর আসতে শুরু করে, নির্ধারিত দামে কোথাও বিক্রি হচ্ছে না পণ্য। দাম কার্যকরে কোনো মাথাব্যথাও লক্ষ্য করা যায়নি সংস্থাটির। অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত থাকা কৃষি বিপণন কর্মকর্তাদের কেউই যান না বাজারে।

বিচারিক ক্ষমতা নেই– এমন ছুতায় বাজার পরিদর্শনে যান না বলে দাবি করে আসছে সংস্থাটি। অথচ ঢাকা জেলায় বিভিন্ন তদারকি কাজে ম্যাজিস্ট্রেট বণ্টনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, গত সাত মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে কোনো চাহিদা পাইনি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিমের সঙ্গে নানা মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে সমকাল। টানা চার দিন ফোন করলেও তিনি ধরেননি। এক পর্যায়ে এই প্রতিবেদকের মোবাইল নম্বর তিনি ব্লক করে দেন। খুদে বার্তা পাঠানোর পরও কোনো জবাব দেননি। তিন দিন তাঁর কার্যালয়ে গেলেও দেখা করার অনুমতি মেলেনি।

তবে জ্যেষ্ঠ বিপণন কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান অধিদপ্তরের মুখপাত্র। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের জায়গাটা অনেক বড়, তবে ক্ষমতা নেই। সারাদেশে লাখ লাখ বাজার। জনবল মাত্র ছয়শর মতো। এত কম জনবল দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর। তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে তথ্যভান্ডার, নতুন করে অ্যাপ বানানোসহ প্রতিষ্ঠানের অন্য বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্যর্থ কেন– তা তাদেরই জিজ্ঞেস করেন। বিষয়গুলো আমি জানি না, এখন জানলাম। সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেব।

https://samakal.com/bangladesh/article/230386