১৪ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:২৯

জাহাজে খাবার আছে ২৫ দিনের

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ২৫ দিনের মতো খাবার রয়েছে। জাহাজটিতে বিশুদ্ধ পানি রয়েছে ২০০ টন। জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের কাছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জলদস্যুর কবলে পড়া মালিকপক্ষ দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ওদিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানান কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জাহাজটি গত ৫ ঘণ্টায় তার গতি বাড়িয়েছিল। সম্ভবত জোয়ারের সমর্থনের কারণে। যদি জাহাজটি বর্তমান গতিতে চলতে থাকে, তাহলে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সোমালিয়া নোঙ্গরখানায় পৌঁছাতে পারে।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করা। সেই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে কুয়ালালামপুরে পাইরেসি রিপোর্টিং সেন্টার, নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার, যুক্তরাজ্য মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) এবং এশিয়ায় দস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দপ্তরকে জানানো হয়েছে। এছাড়া ওই অঞ্চলে চলাচলরত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের জাহাজগুলোকেও বাংলাদেশের জাহাজটির অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কনসার্ন এবং মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচিত হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জলদস্যুদের সঙ্গে কোনো ‘ফরমাল’ যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি, অন্য পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি নিয়ে তৎপর রয়েছে। ইতিপূর্বেও একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ এবং ক্রু উদ্ধার করা হয়েছিল। নৗপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা এখন পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। জাহাজটি উদ্ধারে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রথম যে বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সেটি হলো- ২৩ জন নাবিকের জীবন নিরাপদ রাখা। জীবন রক্ষা করে তাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা। এটি হলো প্রথম কাজ। সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্ত হয়ে নাবিকদের রক্ষা করাসহ জাহাজটিকে উদ্ধার করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণেই জাহাজটি আছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

https://mzamin.com/news.php?news=101625