১১ মার্চ ২০২৪, সোমবার, ১২:৪৮

বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি

রাজশাহীর বাঘায় গত এক সপ্তাহ ধরে অসময়ে পদ্মার ভাঙনে ৪ ব্যক্তির ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েক বছরের ব্যবধানে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নে ৫টি চর পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পাশাপাশি ভাঙনের কারণে ৩টি সরকারি প্রাইমারি স্কুল স্থানান্তর করা হলেও চকরাজাপুর হাইস্কুলটি ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পলাশি চরের ছত্তর ব্যাপারি, বাদশা আলী, সাহাদুল ইসলাম ও সুলতান আলীর বাড়ির ভিটে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। যার কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া গত বছরে শত শত পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্রে চলে গেছে। একই সাথে গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ৫ বিঘা ভূট্টা আবাদ করা জমিসহ পদ্মায় বিলীন হয়ে যায় আরেক কৃষকের। এদিকে ভাঙনে পদ্মা গর্ভে চলে গেছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর চর, ৭ নম্বর ওয়ার্ড়ের দাদপুর চর, ৯ নম্বর ওয়ার্ড়ের পলাশি ফতেপুর চর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাসখালী চর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চর। স্থানান্তর করা হয়েছে চকরাজাপুর ও পূর্বকালিদাসখালী এবং চৌমাদিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল। হুমকিতে রয়েছে চকরাজাপুর হাইস্কুল ও বাজার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাশখালি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনগর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের আতারপাড়া চর, ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চর ৭৫ ভাগ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাশখালীর ৮০ ভাগ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কালিদাশখালী চরের ৭০ ভাগ।

১২টি গুড়ের কারখানাকে ৩ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা: রাজশাহীর বাঘায় ১২ টি গুড় তৈরি কারখানায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভেজাল গুড় তৈরি কারখানায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করা হয়।

জানা যায়, কারখানার মালিকরা দীর্ঘদিন থেকে চিনি, মোনালিসা, নানা রকম কেমিক্যাল, চুন, রং, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও আটা ব্যবহার করে গুড় তৈরি করছিলেন। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আড়ানী ইউনিয়নের খোর্দ্দবাউসা গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের কারখানায় ১ লক্ষ, সহাপুর গ্রামের মুক্তার আলীর মিম ট্রেডার্সে ৩০ হাজার, সাহাপুর সাজিপাড়া গ্রামের সুজন টেডার্সে ৩০ হাজার, শরিফ টেডার্সে ২০ হাজার, সাহাপুর গ্রামে মোমিনের গুড়ের আড়তে ১৫ হাজার, চকসিংগা গ্রামে আলিল ট্রেডাসে ২০ হাজার, চকসিংগা গ্রামে রমজান ট্রেডার্সে ২০ হাজার, মনিগ্রামে মাজেদুলের গুড়ের আড়তে ২০ হাজার, এলাহী ট্রেডার্সে ৩০ হাজার, মনিগ্রাম শামিম হোসেনের কারখানায় ১০ হাজার টাকা, হায়দার আলীর ৩০ হাজার, নাজিম উদ্দিনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

https://www.dailysangram.info/post/550973