১১ মার্চ ২০২৪, সোমবার, ১২:৪৭

অনুমোদনহীন রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযানে ফায়দা লুটার অভিযোগ

অনুমোদনহীন রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের এই সময়ে এক শ্রেণীর মানুষ ফায়দা লুটছে বলে অভিযোগ আসছে। সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস বা সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, চারদিক থেকে নানা চাপে তারা আতংকে রয়েছেন। অনেকেই রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বেইলি রোডের আগুনের পর ধানমন্ডি, গুলশান, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভবনে গড়ে তোলা রেস্তোরাঁর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
সূত্র মতে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকা-ের পর যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই অভিযানকে ‘লোক দেখানো ও হয়রানি’ বলে অভিযোগ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ, এসব অভিযানে সমন্বয় নেই। সরকারি সংস্থাগুলো যে যার মতো অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এসব অভিযানকে ‘হয়রানির’ অভিযান বলে দাবি করেছেন তারা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, দুর্ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন অভিযান কাম্য নয়। এসব অভিযান তো নিয়মিত পরিচালনা করার কথা ছিল। সমস্যা সমাধানে সমন্বিত অভিযান প্রয়োজন। অন্যথায় এ ধরনের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। কোনো ভবন ত্রুটিপূর্ণ থাকলে রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টদের দায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওইভাবে ভবনে অভিযান হলে আগে তো রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভবন মালিকের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা। ওই অবৈধ ভবন ভাড়া নিয়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা মালিক এরপর আসবে। কিন্তু ভবনে ত্রুটির দায়ে তাদের গ্রেপ্তার না করে একজন রেস্টুরেন্টকর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা অন্যায়। কেননা তারা এই প্রক্রিয়ার কোনো অংশই নয়। তাদের বলির পাঠা বানিয়ে দায়ীদের বাঁচিয়ে দেওয়ার এটা একটা প্রক্রিয়া।

এ বিষয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বর্তমান সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। তার কাছে আমরা বিষয়টি জানাতে চাই। উনি যদি মনে করেন আমরা দোষী তাহলে আমরা সব বন্ধ করে দেব। তিনি আরও বলেন, আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি অবশ্যই আছে। তাই বলে কি সব বন্ধ করে দেওয়া লাগবে? সব সেক্টরের ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তার মানে তো এই নয় যে, সব বন্ধ করে দেবেন। এসব অভিযান লোক দেখানো। আসল জায়গায় কেউ হাত দেয় না। এই ব্যর্থতার দায় কেউ নেবে না। আমরা মালিক সমিতি হিসেবেও ব্যর্থ হয়েছি।

অভিযানে কতটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকায় ৪০-৪৫টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন সংস্থার ১২টি লাইসেন্স থাকার পরও সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে জুলুম করা হচ্ছে। দেশে কতগুলো রেস্টুরেন্ট আছে এবং কর্মসংস্থান সংখ্যা কত হবে চাইলে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ এ পেশার ওপর নির্ভরশীল। ইমরান হাসান বলেন, এই ক্ষতি আমরা কীভাবে পোষাব। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে আমরা যে ইমেজ তৈরি করেছি, সেটি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। হয়রানি না করে টাস্কফোর্স গঠন করে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে আক্ষেপ করেন তিনি। রেস্তোরাঁ সেক্টরে এই প্রথম এত বড় দুর্ঘটনা হয়েছে। তবে এটিই শেষ দুর্ঘটনা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে সবাইকে একটি নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।

এদিকে গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে অভিযান কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা নিয়ে অভিযোগ করেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, সরকারের কোন সংস্থা গিয়ে কোন ভবন ভাঙবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। জাপা মহাসচিব আরও বলেন, এক ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে দোকান ভাঙেন। আরেকজন গিয়ে বলছেন বন্ধ করেন। এতে করে এলোপাতাড়ি হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এটা না হয়, তার জন্য দায়িত্বশীলদের সমন্বিতভাবে ধীরস্থিরভাবে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সমন্বয়হীনতার অভাবে আবারও সমস্যা হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করা হবে। চিহ্নিত ভবনের প্রবেশমুখে ঝুঁকিপূর্ণ নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হবে। একইসাথে যেসব ভবন বা রেস্টুরেন্ট নিরাপদ সেগুলোরও একটি তালিকা তারা করে দেবেন। পাশাপাশি সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগও বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাজউক ভবন নির্মাণে অনুমোদন দিলেও, এরপর সেখানে ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সনদ, কলকারখানা অধিদপ্তরের সনদ নিয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতে হয়। তাই রাজউক চাইলে একা এখানে কিছু করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বেইলি রোড ট্র্যাজেডির পর রাজউক ও সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে ভয়াবহ সংকটে দিন পার করছেন সম্ভাবনাময় খাত রেস্টুরেন্ট শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। অভিযোগ ওঠেছে, অনেক অভিযানে যাচাই-বাছাই ছাড়াই শুধুমাত্র গা বাঁচাতে কর্তাব্যক্তিরা একের পর এক বন্ধ করে দিয়েছেন রেস্টুরেন্ট। অনেক রেস্টুরেন্ট মালিক জানেনই না তাদের দোষটা কী! রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়ার পর মালিকরা দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পাচ্ছেন না সমাধান। এতে কর্মীরাও যেমন বিপদে পড়েছেন, তেমনি মহাসংকটে পড়েছেন ফুড ডেলিভারির সঙ্গে জড়িতরাও।

বিভিন্ন সংস্থার চলমান অভিযানে ভুক্তভোগী একজন আব্দুল্লাহ তারেক। দুর্ঘটনা পরবর্তী গত ৪ মার্চ বেইলি রোডে অবস্থিত তার রোস্টার ক্যাফে নামক ফাস্ট ফুডের দোকানটি সিলগালা করে দেয় রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারেকের দাবি, অভিযানের সময় কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই করা হয়নি তার প্রতিষ্ঠানটিতে। কী কারণে তার দোকানটি সিলগালা করা হয়েছে, তাও জানেন না তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার বলেছে উদ্যোক্তা হতে। চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হলাম। এখন বেকার শ্রমিকরা আমার মাথার ওপরে পড়ছে। আমার আগে ব্যবসা ছিল না। আমাকে সবাই বলেছে, উদ্যোক্তা হও, উদ্যোক্তা হও। জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন দোকানটি বন্ধের পর বিভিন্ন সংস্থার দ্বারে দ্বরে ঘুরছেন তারেক। কেউ দিচ্ছেন না কোনো সদুত্তর। যেন কারো নেই কোনো দায় কিংবা দায়িত্ব। এতো গেলো দোকান মালিকের অসহায়ত্বের কথা। ঠিক একই রকম সংকটে পড়েছেন বন্ধ হওয়া রেস্টুরেন্টগুলোর পাশাপাশি ফুড ডেলিভারির সঙ্গে জড়িতরাও। কমে গেছে অর্ডার। চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন তারা।

বড় বড় দুর্ঘটনা পরবর্তী অভিযানে সন্তুষ্ট নন নগরবাসীও। লোক দেখানো কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে এসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি তাদের। বলছেন, ঘুষ লেনদেন থেকেই সবকিছু হচ্ছে। আগেও এমন হয়েছে, এখনও হচ্ছে। মনমতো টাকা পেলে আবার সব আগের মতো হয়ে যাবে। অভিযানের নামে সারা ঢাকা শহরে ‘তা-ব’ চলছে মন্তব্য করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেছেন, রেস্তোরাঁ শিল্পের বিরুদ্ধে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে। সংগঠনটির অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য রেঁস্তোরাগুলো বিরুদ্ধে বর্তমান অভিযান চালানো হচ্ছে। সংগঠনটি মনে করে, ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা থেকে সরিয়ে পুঁজিপতিরা পুরো খাতের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে নবাবী ভোজ নামের একটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করেছে, অথচ এই রেস্তোরাঁয় সরকারের প্রয়োজনীয় ১২টি সংস্থার লাইসেন্স রয়েছে। রাজধানীতে অভিযানে এ পর্যন্ত ৪২টি রেস্তোরাঁ বন্ধ হওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, তারা এখন বলছে, গ্যাস সিলিন্ডারেরও লাইসেন্স লাগবে। সিলিন্ডার কি আমরা বানিয়েছি? সিলিন্ডার তো বাজার থেকে নিয়েছি। তাহলে যারা সিলিন্ডার বিক্রি করছেন, তারা কি লাইসেন্স ছাড়া বিক্রি করছেন? আমরা আর কত লাইসেন্স দেখাব! তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে হলে একাধিক সংস্থা থেকে অনুমোদন নিতে হয়। সব রেস্তোরাঁয় কিছু না কিছু সনদ থাকে। কারও কাছে কয়েকটি সনদ থাকলে সেই রেস্তোরাঁ অবৈধভাবে ব্যবসা করছে- তা বলার সুযোগ থাকে না। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে অনুমোদনহীন রেস্তোরাঁ ব্যবসা সম্ভবও নয়।
জানা গেছে, বেইলি রোডের ঘটনার পর ধানম-ি, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ওঠে। সমালোচনার মুখে রোববার থেকে রাজধানীতে যে যার মত করে অভিযানে নামে রাজউক, সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও র‌্যাব। আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তরাঁগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এসব অভিযানে। আবার কোনো কোনো জায়গায় জরিমানা, এমনকি গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে। ধানম-ির সাত মসজিদ সড়কের গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে অভিযান চালিয়ে সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয় রাজউক। বাণিজ্যিক অফিস করার অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ চালানোয় জিগাতলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট টাওয়ার বন্ধ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। খিলগাঁওয়ের ‘নাইটিঙ্গেল স্কাই ভিউ’ নামে একটি বহুতল ভবনও সিলগালা করে দিয়েছে ডিএসসিসি। ওই ভবনের একটি তলা বাদে সবকটিতে রেস্তোরাঁ রয়েছে।

খিলগাঁও, ধানমন্ডি ও গুলশান এলাকার বেশ কয়েকজন রেস্তোরাঁ মালিকের সঙ্গে কথা বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানান, কখন কোন এলাকার রেস্তোরাঁয় কারা অভিযান চালাবে তার আগাম তথ্য পেতে ফায়ার সার্ভিস, রাজউক ও সিটি করপোরেশনে তারা নিজস্ব সোর্স নিয়োগ করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম নিয়ে রওনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা তা রেস্টুরেন্ট মালিক-কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিচ্ছেন। অভিযানের আগাম তথ্য পেতে তারা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। এ ছাড়া ওইসব প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেন তারাও তাদের অভিযানের ব্যাপারে আগাম তথ্য জানিয়ে দিচ্ছেন।
নগর বিশেষজ্ঞ ও রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে ভবনের নকশার অনুমোদন দিয়েছে রাজউক, সেখানে ব্যবসা করার লাইসেন্স দিয়েছে সিটি করপোরেশন। দুর্ঘটনার পর রাজউক অভিযান চালাচ্ছে একভাবে, সিটি করপোরেশন আরেকভাবে, পুলিশ চালাচ্ছে তাদের মতো করে। সংস্থাগুলোর অভিযান চলছে আলাদা। এখন যে অভিযান চলছে তাতে যদি সমন্বয় থাকত, তাহলে ভালো ফল পাওয়া যেত। দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পেতে সমন্বিত অভিযানের ওপর গুরুত্ব দেন এ নগর বিশেষজ্ঞ।
রাজধানীতে তদারকি সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে গড়ে ওঠা অবৈধ সব রেস্টুরেন্টে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত আইজিপি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন। আর রেস্টুরেন্টগুলোর অনুমতি ও তদারকি সংস্থা নিয়ম মাফিক কাজ করছে কিনা সেই বিষয়গুলো আমলে নেয়ার কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। তারা জানান, তদন্তে রেস্টুরেন্ট পরিচালনায় মালিকদের গাফিলতির বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যে তদারকি সংস্থাগুলো রয়েছে সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্র মতে, আর মাত্র দুই একদিন পরই শুরু হবে পবিত্র রমযান। যে যেমনভাবে পারছেন দায়িত্ব পালনের নামে হোটেল সিলগালা করে দিচ্ছেন। এমনও দেখা গেছে রাজউক থেকে আবাসিক বিল্ডিংয়ে পারমিশন নিয়ে ১০ থেকে ১৫টি করে চোখ ধাঁধানো রেস্টুরেন্ট গড়ে তুলে বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করা হচ্ছে। হঠাৎ কেন এই হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধের অভিযান? সাধারণ মানুষ বলছেন, রমযান মাসে সামর্থ্যবান পরিবারগুলো রাজধানীর চোখ ধাঁধানো হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে ইফতার সেহরি খেয়ে থাকেন। বেইলি রোড ট্র্যাজেডিকে ইস্যু করে হোটেল বন্ধ করে দিয়ে লাখ লাখ কর্মচারীকে বেকার করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে রমযানের সেহরি-ইফতারের ব্যবসা তুলে দেয়া হচ্ছে কিনা? রমযান মাসে রেস্টুরেন্টগুলোতে একের পর এক অভিযানের কারণে রোজাদারদের ইফতার ও সেহরির খাওয়া নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হবে কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত।

https://www.dailysangram.info/post/550998