১৩ মার্চ ২০১৭, সোমবার, ১০:০২

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান বিদেশিরা

দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সিইসির বৈঠক

নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে হঠাত্ আগ্রহী হয়ে উঠেছে পশ্চিমা বিশ্ব। আগামীতে সবদলের অংশগ্রহণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান তারা। এর অংশ হিসাবে পশ্চিমা দুই রাষ্ট্রদূত রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরা হলেন- নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকের ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল। এসময়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। তবে নির্বাচন কমিশনের বাকি চার সদস্যকে এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি বৈঠকের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে অবগত করেনি ইসি। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আগারগাঁওস্থ সিইসির কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব নির্ধারিত এ বৈঠকে ছয় সদস্যর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দুইজন অংশ নেন।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইত্তেফাককে বলেন, ‘দুইজন রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছিলেন। নবগঠিত কমিশনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেছেন। উনারা সাক্ষাতের জন্য আগে থেকে সময় নিয়েছিলেন।’

নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা-জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘উনারা আগামীতে বর্তমান কমিশনের অধীন ইনক্লুসিভ নির্বাচন চান। সব দলের অংশগ্রহণে যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হয়- সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে গেছেন।’

ইসি সূত্রে জানা গেছে, সিইসির সঙ্গে এ বৈঠকে নরওয়ে, সুইডেন ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও আরো তিনজন বিশেষজ্ঞের অংশ নেয়ার কথা ছিল; কিন্তু বাকিরা বৈঠকে আসেন নি। বৈঠকের আগে গুঞ্জন ছিল, সংশ্লিষ্টরা ইসি শক্তিশালীকরণে বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য ও সহযোগিতার প্রস্তাব করতে পারেন। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দাতা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে; কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে ইইউ তাদের প্রকল্পের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় জাতীয় পরিচয়পত্রের উন্নতমানের স্মার্টকার্ড প্রকল্প ছাড়া আর কোনো প্রকল্প নেই। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশীদের সহায়তায় ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।

ইসি সচিব বলেন, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিদেশি সাহায্যের বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই; কিন্তু দুইজন রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে আমাদের কোনো প্রস্তাব দেননি।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন আলোচনা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়েই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা জানিয়েছিলেন, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করছে ইসি। এরই মাঝপথে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে গেলেন দুই রাষ্ট্রদূত।

http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/first-page/2017/03/13/181970.html