১১ মার্চ ২০১৭, শনিবার, ৭:৩৩

সমাপ্ত ১০ উন্নয়ন প্রকল্প

দুর্নীতি অনিয়মের চাঞ্চল্যকর তথ্য

নির্ধারিত কাজ না করেই বরাদ্দের সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয়, আরসিসি ব্রিজের স্থলে স্টিল ব্রিজ নির্মাণ, অতিরিক্ত প্যাকেজে কাজ ও নির্দেশনা না মেনে চুক্তি সম্পাদন এবং অনুসরণ করা হয়নি ডিপিপি * দুদকের কাছে অভিযোগ করা উচিত -ড. মির্জ্জা আজিজ * অবিলম্বে জড়িতদের শাস্তি নিশ্

বাস্তবায়ন হওয়া দশটি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রকল্পে নির্ধারিত কাজ না করেই ব্যয় করা হয়েছে বরাদ্দের পুরো অর্থ, আরসিসি ব্রিজের স্থলে নির্মাণ করা হয়েছে স্টিল ব্রিজ এবং অতিরিক্ত প্যাকেজের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে বিভিন্ন কাজ। শুধু তাই নয়, এসব প্রকল্পে অনুসরণ করা হয়নি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি বা ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোসাল) এবং নিশ্চিত হয়নি কাজের গুণগত মান। এমনকি কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ঘোষণা করা হয়েছে কোনো কোনো প্রকল্পের সমাপ্তি। আর সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতার কারণে অহেতুক গচ্চা দিতে হয়েছে মোটা অংকের অর্থ। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের এসব প্রকল্পের বেশ কয়েকটি কাজের ‘প্যাকেজ চুক্তি’ সম্পাদনের ক্ষেত্রেও মানা হয়নি নির্ধারিত নির্দেশনা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন উদ্বেগজনক চিত্র। সংস্থাটি বলছে, এগুলো আর্থিক ও পরিকল্পনা শৃয়খলার পরিপন্থী। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালগুলোকে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে আরও বলা হয়, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প গ্রহণ, ঠিকাদারদের নির্মাণ কাজে চরম অবহেলা এবং স্থানীয় প্রভাব খাটানো, পিডব্লিউডির সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা এবং মন্ত্রণালয়ের তদারকির অভাবের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম শুক্রবার টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ানো এবং ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু এটা প্রমাণিত যে, এখনও যথাযথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন হয়নি। ফলে প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উন্নয়ন ব্যয়ে অবশ্যই শৃংখলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে হবে। অন্যথায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন কষ্টসাধ্য হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, যারা এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। দুর্নীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা পেলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অবহিত করা দরকার। তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস্তবায়িত উল্লিখিত ১০ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন শেষে খরচ হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। এত টাকা ব্যয় হলেও অনিয়মের কারণে কাক্সিক্ষত সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে দেশের মানুষ। আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে ১১টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয় ৬৩ কোটি ১৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। ২০১০ সালে শুরু হয়ে ২০১৩ সালে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালের জুন মাসে। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ফরিদপুর ও সিরাজগঞ্জে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপন কাজ বাস্তবায়ন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং গণপূর্ত অধিদফতর। এ প্রকল্পের অনিয়ম সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঢাকায় ভবনের পাশে অবস্থিত পিলারের মধ্যখানে ফাঁকা জায়গা থাকায় ময়লা ও বৃষ্টির পানি জমে পিলারের ক্ষতি হয়েছে। ভবনের লিফট অত্যন্ত ছোট, জায়গার অভাবে সংকুচিত নকশায় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আইএমইডি প্রশ্ন তুলেছে, স্থাপত্য অধিদফতর কিভাবে এ ভবনের ডিজাইন তৈরি করে। এছাড়া অন্যান্য পাসপোর্ট অফিসে দেয়ালে ফাটল, পলেস্তারা (প্লাস্টার) খসে পড়া, ছাদে পানির পাইপে মরিচা পড়া, স্যানিটারি পাইপ স্থাপনে দায়সারা কাজ, বাথরুমে নিন্মমানের সামগ্রী লাগানো, যেনতেনভাবে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়াসহ নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে আইএমইডির প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান যুগান্তরকে বলেন, এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। পিডব্লিউডি ভবন তৈরি করে আমাদের হ্যান্ড ওভার করেছে। সে সময় সব ঠিক ছিল। তাছাড়া ডিজাইনের বিষয়টিও আমরা দেখি না।

আইএমইডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পটুয়াখালী কোস্টগার্ড ঘাঁটি নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় ৪৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের জুনে শেষ হয়। প্রকল্পের আওতায় পাম্প হাউস যথাযথভাবে নির্মিত হয়নি, রিজার্ভের ঢালাই কাজ হয়নি সঠিকভাবে এবং ভবনের ছাদে পানি জমে থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে। আর বিভিন্ন অঙ্গের নির্মাণ কাজ ২-৩ শতাংশ বাকি রেখেই প্রকল্প সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ঠিকাদারদের নির্মাণ কাজে চরম অবহেলা এবং স্থানীয় প্রভাব খাটানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পিডব্লিউডির উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা (যারা মাঠে দায়িত্বে ছিলেন) তাদের দায়িত্বে অবহেলা করেছেন বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে।

এছাড়া জেলা সড়ক উন্নয়ন (কুমিল্লা জোন) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ২৮০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের জুনে শেষ হয় প্রকল্পটি। কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে এটি বাস্তবায়িত হয়। এ প্রকল্পে বিভিন্ন সড়ক নির্মাণে ক্রয় পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে প্যাকেজ সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আর অনুমোদিত ব্যয়ের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং বিভিন্ন প্যাকেজের চুক্তির ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের কথা থাকলেও তা না করে সংশ্লিষ্ট প্রধান প্রকৌশলীরাই চুক্তি অনুমোদন করেন। আবার যেসব প্যাকেজে চুক্তি অনুমোদনকারী হচ্ছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সেখানে নিয়মবহির্ভূতভাবে চুক্তি অনুমোদন করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলীরা। শুধু তাই নয়, অনুমোদন ছাড়াই নিজের মতো করে প্যাকেজ বানিয়েও কাজ করা হয়েছে। এটা আর্থিক ও পরিকল্পনা শৃংখলার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

এসব অনিয়ম প্রসঙ্গে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, আইএমইডি পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম চিহ্নিত করেছে। এখন যারা এসব অনিয়ম ও দুর্বলতার জন্য দায়ী তাদের আইনের আওতায় আনতে যাদের দায়িত্ব, তাদের উচিত, সেই দায়িত্ব পালন করা। অবিলম্বে এসব অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আইএমইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় ১২৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এটি মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায় ২০০৪ সালের জুলাই থেকে ২০০৭ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা অজুহাতে ৭ বছর সময় বেশি লেগেছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে নিন্মমানের কাজ হওয়ায় অ্যাপ্রোচ সড়কে রেইনকাট, প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে যাওয়া ও দেয়ালের কংক্রিট স্লাব সরে যাওয়া, সড়কে ফাটল, গর্তের সৃষ্টি, সিলকোট উঠে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এছাড়া কমিউনিটিভিত্তিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় ২১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০০২ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। এ প্রকল্পেও রয়েছে নানা অনিয়ম। এর মধ্যে অনুমোদিত ডিপিপিতে ৩০০টি জলমহাল সুবিধাভোগীদের হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতা, মামলা, স্থানীয় বিরোধসহ নানা কারণে ২৬৫টি জলমহাল হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে ২৫০টির খনন করে উন্নয়নের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২৪২টি বিলের উন্নয়ন করা হয়েছে। ৮টি বিলের কাজ না করেই এ অংশের পুরো বরাদ্দ ব্যয় দেখানো হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যকর সম্পৃক্ততা ছিল না।

উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক পোর্টেবল স্টিল ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পটি ২০০৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়। কিন্তু আইএমইডি ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি পরিদর্শন করে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ২৯৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের ডিপিপিতে বিভিন্ন স্থানে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের অনুমোদন ছিল। কিন্তু সেটি না করে বাস্তবায়নকারী সংস্থা আরসিসি ব্রিজের পরিবর্তে স্টিল ব্রিজ নির্মাণ করেছে। এটি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শৃংখলার স্পষ্ট লংঘন বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে।

এছাড়া পলিউশন কন্ট্রোল মেজারস অব গুলশান-বারিধারা লেক বাই ডাইভার্টিং দ্য ড্রেনেজ আউটলেটস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই বছর বেশি লেগেছে। শেষ হয় ২০১৪ সালের জুনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে ঢাকা ওয়াসা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পুনর্নির্মাণে ১২ কোটি ৭১ লাখ টাকা দেয়া হলেও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মানসম্মতভাবে মেরামত করেনি। ডিপিপির সংস্থান মোতাবেক সরকারি অর্থ ব্যয় করা হলেও ওয়াসার নিজস্ব অর্থ ব্যয় করা হয়নি। গুলশান-বারিধারা লেক থেকে স্ট্রম স্যুয়ারেজ লাইনের আউটলেট হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থিত খালে ফেলা হয়েছে। একই মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়া সত্ত্বেও সংস্থা দুটির সমন্বয়হীনতার কারণে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি অর্থের অপচয় এবং একই কাজে সরকারি অর্থের দ্বৈত ব্যবহার পরিহারের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক শৃংখলা মোতাবেক প্রকল্পটির আওতায় সম্পাদিত খরচের অডিটের তাগিদ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

এছাড়া অনিয়ম হওয়া অন্য তিন প্রকল্প হচ্ছে- বদ্দারহাট মোড় থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত মেরিনার্স বাইপাস সড়ক উন্নয়নসহ ডাইভারসন খাল ও সন্নিহিত খালগুলোর পুনর্বাসন প্রকল্প, জেলা পর্যায়ে মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্প এবং এস্টাবলিশমেন্ট অব ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইএনটি-ফাস্ট ফেইজ ইন ঢাকা প্রকল্প।

http://www.jugantor.com/first-page/2017/03/11/107887