১১ মার্চ ২০১৭, শনিবার, ১০:১৪

ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি আমাদের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করবে -নাগরিক পরিষদ

ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করবে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক পরিষদের নেতারা। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এ অভিযোগ করেন। নাগরিক পরিষদ ও প্রতিবাদী তারুণ্যের উদ্যোগে ‘ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি, অস্ত্র ক্রয় চুক্তি না করার দাবিতে’ এ প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন এর সভাপতিত্বে ও প্রতিবাদী তারুণ্যের সভাপতি মোঃ মাসুদ-উজ-জামান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশীদ খান, বাগপা চেয়ারম্যান এডভোকেট কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাকসুদুল আলম চৌধুরী, শাহীন হাওলাদার, কবি নুরুল হালিম, বিপ্লবসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সংহত করতে ও স্বাধীনতাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ক্রমাগত বাধা দিচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে প্রতিরক্ষা চুক্তি ও অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি করতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছে বলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। দেশের জনগণ উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, সীমান্তহত্যা, সার্বভৌমত্বের লংঘন, মাদক প্রেরণ, পানি লুট, এ দেশের স্বার্থহানিকর ট্রানজিট চুক্তি, চরম বাণিজ্য ঘাটতি, অস্ত্র চোরাচালান, নারী-শিশু পাচার, মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারের ফলে ভারতের সাথে আমাদের কোন বিশ্বস্ততার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও ইতিহাসের সাম্প্রদায়িকীকরণের ফলে আমাদের জাতি রাষ্ট্রের সকল অর্জনকে ভারত অবজ্ঞা করছে। ভারতের আচরণ আধিপত্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী। প্রতিবেশী পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানের সাথে বৈরী আবার সিকিমের স্বাধীনতা হরণ ভারত জাতি রাষ্ট্রের প্রতিবেশী সুলভ আচরণ না হয়ে তা শত্রুতামূলক বলে বিশ্বে স্বীকৃত।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববাজার দখলের লড়াইয়ে ভারত-মার্কিন জোট চীনের সাথে কোনভাবেই পেরে উঠতে পারেনি বলে তারা শত্রুভাবাপন্ন ও যুদ্ধ বাধানোর দুরভিসন্ধি নিয়ে এগুচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তি আমাদের ভৌগোলিক গুরুত্বকে অর্থহীন করে সম্ভাব্য চীনবিরোধী যুদ্ধপরিকল্পনাকে ত¦রান্বিত করবে। যা হবে আত্মঘাতী। নিকট প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশের তিন দিকে অবস্থিত। এটি একটি আধিপত্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী দেশ। তাই ভারতের সাথে যেকোন ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি ও ভারত থেকে অস্ত্র কিনে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে যাবে। প্রতিরক্ষা কৌশল বুমেরাং হয়ে যাবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাবে।

আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশীদ খান বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বাহিনীকে ভারতীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

http://www.dailysangram.com/post/275099