১০ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার, ১০:১৮

নির্বাচন কমিশনারদের কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা

বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সাথে নির্বাচন কমিশনারদের কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বারিত এক অফিস আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে পারবেন।

আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের ল্েয নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের বিষয়ে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও সঠিক তথ্য নিশ্চিত করার ল্েয নিম্নোক্ত ব্যবস্থায় ব্রিফিং, সংবাদ সম্মেলন ও তথ্য সরবরাহ করা হবে।
নি

র্বাচন কমিশনের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্রিফিং/সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন। নির্বাচন কমিশন (কার্যপ্রণালি) বিধিমালা ২০১০ অনুযায়ী, কমিশনের মতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে সচিব গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন এবং কমিশন কর্তৃক মতাপ্রাপ্ত না হলে সচিব ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করবেন না।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তথ্য গোপনীয়তার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। গণমাধ্যম কর্মীরা চারজন নির্বাচন কমিশনারের সাথে কথা বলতে গেলে তারা গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন। সৌজন্য সাাৎ চেয়ে নির্বাচন কমিশনারদের সাথে দেখা করতে চাইলেও অনেক নির্বাচন কমিশনার তাতেও রাজি হননি।

এ বিষয়ে একাধিক নির্বাচন কমিশনারের সাথে কথা বললে তারা জানান, সিইসি অথবা সচিব ছাড়া তারা গণমাধ্যমে কোনো ধরনের বক্তব্য প্রদান করবেন না বলে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনারদের সাথে কথা বলে লাভ নেই বলে সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দেন।

তবে নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনাররা কোনো নির্বাচনী এলাকায় গেলে কমিশনের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলবেন। সে েেত্র ওই নির্বাচনী সফরে কি ধরনের কথা বলবেন তা-ও পাঁচ সদস্যর কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/202359