৭ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার, ৫:৩৬

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় আদভানির নিষ্কৃতি নয়: সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের শাসক দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা এলকে আদভানি সহ অনেক নেতার বিরুদ্ধে বাবরি মসজিদ ভাঙার কয়েক দশক পুরনো মামলায় অভিযোগ আনা হতে পারে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। ২২শে মার্চ সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ দেয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই জানা যাবে আদভানি ও মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী, বিনয় কাতিয়ার ও কল্যাণ সিংদের বিরুদ্ধে মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হবে কিনা। প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালত এ নেতাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বাদ দিয়েছিল। ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রায়বেলির একটি আদালতে ১৯৯২ সালে ষোড়শ শতাব্দির প্রাচীন বাবরি মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে ওই নেতাদের নিষ্কৃতি দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, বাবরি মসজিদ ভেঙেছিল একদল হিন্দু যাদের ধারণা এটি রামের জন্মভূমিতে তৈরি করা হয়েছে। মন্দির ভাঙার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মূল মামলাটি এখনো লক্ষ্ণৌতে বিচারাধীন। বিজেপির ওই জ্যেষ্ঠ নেতাদের খালাস দিয়ে নিম্ন আদালতের রায় ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বহাল রাখে। কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সিবিআই।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে বলেছে, ‘আদভানি সহ অন্যদেরকে টেকনিক্যাল কারণে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃত দেয়ার বিষয়টি আমরা গ্রহণ করবো না। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দিতে আমরা আপনাদেরকে অনুমতি দেব। আমরা একটি নিম্ন আদালতকে একটি জয়েন্ট ট্রায়াল করারও নির্দেশ দেব।’ আদভানির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে তার বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ দায়ের করার বিরোধিতা করেন।

তিনি বলেন, আবার যদি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এখানে যোগ করা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতের যুক্তিতর্কের সময় হাজির করা ১৮৩ জন সাক্ষীকে আবারো হাজির করতে হবে। প্রসঙ্গত, বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় দুই ধরনের মামলা চলছে। একটি হলো রাম কাথাকুঞ্জ-এর ডায়াসে উপস্থিত থাকা আদভানি ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। অপরটি হলো অজ্ঞাত করসেবক কর্মীদের বিরুদ্ধে যারা ওই মসজিদ ভেঙেছিল। এদের মধ্যে শিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকুরের নামও ছিল। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ওই নাম প্রত্যাহার করা হয়।

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=56370