৫ মার্চ ২০১৭, রবিবার, ১২:৪১

সড়ক পরিবহন ধর্মঘট প্রসঙ্গে

বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ও ১ মার্চ বুধবার সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট হয়েছে। এই ধর্মঘটের কারণে সর্বত্র যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের বিষয়ে সংবাদপত্রে ভূরি ভূরি সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনার আগে দৈনিক প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট থেকে একটি অংশ, দীর্ঘ হলেও, এখানে উদ্ধৃত করা দরকার। প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম খবর হিসেবে প্রকাশিত এই রিপোর্টে বলা হয়, ‘‘গত সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে সরকারের স্থানীয় প্রশাসনের বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু রাতে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সরকারি বাসভবনে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। গভীর রাতে ঘোষণা আসে, মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট। আকস্মিক এই ঘোষণায় দুর্ভোগের শিকার হয় সাধারণ মানুষ। নৌমন্ত্রী সারা দেশের শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ ফোরাম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। ওই বৈঠকে বাস ও ট্রাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ প্রায় ৫০ জন মালিক-শ্রমিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রায় সবাই সরকার-সমর্থক বলে পরিচিত। শাজাহান খানের বাসায় বৈঠকের বিষয়ে মসিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য। শ্রমিকরাও রাজি হয়েছিলেন। এর মধ্যে ফাঁসির রায়ের খবর এলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তখন আর আমাদের করার কিছু ছিল না।’’ রিপোর্টটিতে আরও বলা হয়, ‘মালিক-শ্রমিক সংগঠন সূত্র জানায়, বৈঠকে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করার কৌশল নেয়া হয়। কারণ, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ও সরকার-সমর্থকেরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তাই দায় এড়াতেই এমন কৌশল নেয়া হয়। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় নেতারাই ফোনে আঞ্চলিক নেতাদের ধর্মঘট পালনের নির্দেশ দেন’ (প্রথম আলো, ০১.০৩.২০১৭)।

সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের প্রাণহানির মামলায় ঘাতক বাসের চালক জামির হোসেনকে আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। এই রায়ের প্রতিবাদে প্রথমে আঞ্চলিকভাবে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। পরে সাভারে এক নারীকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার জন্য সোমবার (২৭.০২.১৭) চালকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এর পরই মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়। এরপর ‘ধর্মঘট চলাকালে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। ধর্মঘটের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারেন। আপনিও করেন, আমিও করি। ঠিক একইভাবে ওরাও (শ্রমিকরা) ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তিনি আরও বলেন, চালকরা মনে করছেন তারা মৃত্যু দণ্ডাদেশ নিয়ে গাড়ি চালাবেন না। তাই তারা স্বেচ্ছায় গাড়ি চালাচ্ছেন না। এটাকে ধর্মঘট নয়, স্বেচ্ছায় অবসর বলা যেতে পারে’ (যুগান্তর, ০৪.০৩.২০১৭)।

এর থেকে বোঝার কি কোনো অসুবিধা আছে কারা দায়িত্বজ্ঞানহীন ট্রাক-বাস ড্রাইভার ও তাদের মালিকদের পক্ষ থেকে এই ধর্মঘট আহ্বান করে সারা দেশে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত করেছিল? প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে এমন শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন বলে কিছু নেই। এখন যা আছে তা হল, ‘সরকার-মালিক-শ্রমিক সংগঠন’। শ্রমিক আন্দোলনে, ট্রেড ইউনিয়নে মালিকদের দালালরা সবসময়েই সক্রিয় থেকেছে, শ্রমিক নেতাদের মধ্যে মালিকের দালালরা শ্রমিক আন্দোলনকে মালিক ও সরকারের স্বার্থে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এসেছে। শ্রমিকদের আসল প্রতিনিধিরা তাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সতর্ক করে এসেছেন এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে তাদের নানা ষড়যন্ত্র বানচাল করতে নিযুক্ত থেকেছেন। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের তথাকথিত ট্রেড ইউনিয়নগুলোতে সে ধরনের শ্রমিক প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতা বলে কিছু নেই। দেশে শ্রমিক আন্দোলনকে ধ্বংস করার জন্য মালিক স্বার্থের রক্ষক হিসেবে সরকার ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে সম্পূর্ণভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে যথার্থ ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকলাপ ও ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে একেবারে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে এ ধরনের কাজ ফ্যাসিস্টরাই বরাবর করে এসেছে সাফল্যের সঙ্গে। বাংলাদেশেও তারা বেশ সফলভাবে এ কাজ করেছে।

বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন এত লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় যা আগে কখনও এভাবে দেখা যায়নি। যদিও সড়ক দুর্ঘটনা বরাবরই ঘটেছে এবং তাতে করে বছরে তিন-চার হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। এখন এই সংখ্যা দশ-বিশ-পঁচিশ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে অনেক সূত্র থেকে দেখা যায়। আসলে পুলিশ সূত্র থেকে নিহতদের যে তালিকা দেয়া হয় তা অসম্পূর্ণ। তাছাড়া আহতদের মধ্যে যারা মারা যান তাদের কোনো রেকর্ডও থাকে না। এই অবস্থা যে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য কত বড় হুমকি এটা বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন হয় না।

আশির দশকে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেয়া হয় এবং বাস-ট্রাক দুর্ঘটনা বন্ধের জন্য মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সে ঘোষণা ছিল একেবারেই ভুয়া এবং বড় রকম এক ধাপ্পাবাজি। সে সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একজনকেও কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি এবং মালিকরা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের কোনো চেষ্টাও করেনি। তারপর থেকে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে না এসে বেড়ে গেছে। এখন সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে দশ, বিশ বা পঁচিশ হাজার লোকের মৃত্যু হলেও তার কোনো প্রকৃত হিসাব পুলিশ বা সড়ক পরিবহন সংস্থার কাছে নেই (আমাদের সময়, ০১.০৩.২০১৭)।

বর্তমানে যে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এর দায়িত্ব সরকার, মালিক ও ট্রাক-বাস চালকদের। এর থেকে কাউকেই ছাড় দেয়ার উপায় নেই। কোনো কোনো মহল থেকে শ্রমিকদের প্রতি দরদ দেখিয়ে তাদের দায়মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সরকার ও মালিকরা এর জন্য দায়ী হলেও শ্রমিকদের দায়িত্বহীনতা উপেক্ষা করা বা তাদের ছাড় দেয়া যায় না। যেভাবে ট্রাক-বাসচালকরা এখন অবাধে এবং কোনো শাস্তির ভয়ে ভীত না হয়ে হাজার হাজার নিরীহ যাত্রীকে হত্যা করছে, এটা তারা অপরাধী বা ক্রিমিনাল হিসেবেই করছে। শ্রমিক হলেই যে একজন সৎ, সাধু, নিরীহ বা জনস্বার্থের পক্ষের লোক হবে এমন নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে এখন সরকার ও মালিক শ্রেণী শ্রমিকদের পরিকল্পিতভাবে অপরাধপ্রবণ করছে। তাদের ক্রিমিনালাইজ করছে। এটা যদি না হতো, তাহলে দেশে প্রকৃত ট্রেড ইউনিয়নের পরিবর্তে সরকার-মালিক-শ্রমিকদের যৌথ পরিবহন ট্রেড ইউনিয়নের আবির্ভাব যেভাবে হয়েছে, এটা হওয়া সম্ভব ছিল না।

যে ট্রাক-বাসচালকরা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে নিরীহ যাত্রীদের হত্যা করছে, তারা যেমন শাস্তির কোনো ভয় না করে বেপরোয়া, তেমনি তারা ট্রাক-বাস চালানোর ব্যাপারে অযোগ্য। তাদের অনেকেরই গাড়ি চালানোর কোনো ট্রেনিং নেই, তারা ঘুষ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পায়। এটা মালিক ও সরকারের লোকদের সহযোগিতাতেই হয়ে থাকে। এমনকি কোনো লাইসেন্স ছাড়া প্রায়ই ট্রাক-বাসের হেলপাররা গাড়ি চালায়। দূরবর্তী যাত্রায় তো বটেই, এমনকি শহরের মধ্যেও তারা গাড়ি চালায় বেপরোয়াভাবে।

তাছাড়া এটা এখন এক স্বীকৃত ব্যাপার যে, সারা দেশে তো বটেই, এমনকি ঢাকা শহরেও যেসব বাস চলে এগুলো বিশ-পঁচিশ বছর বা তারও বেশি পুরনো এবং রাস্তায় চলার অযোগ্য। সংশ্লিষ্ট সরকারি লোকদের ঘুষ দিয়ে এগুলো চালানোর অনুমতি পায় মালিকরা। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অনুমতিরও প্রয়োজন হয় না। কারণ সরকারের সমর্থনের জোরে তারা বেপরোয়া। বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে সরকারের সমর্থনের কারণ এই মালিকরা সরকারেরই লোক, তাদের দলকেই এরা চাঁদা দিয়ে থাকে, সরকারের লোকজনকেই তারা ঘুষ দিয়ে থাকে। যেসব বাস-ট্রাক রাস্তায় চলাচল করে সেগুলোর নিয়মিত মেরামতির কাজ না হওয়ায় অনেক সময় তাদের নাটবল্টু পর্যন্ত আলগা থাকে!

এসব তো দীর্ঘদিন ধরে জানা ব্যাপার। কিন্তু এমন সড়ক দুর্ঘটনা বেপরোয়াভাবে ঘটানোর জন্য আদালত কর্তৃক চালককে শাস্তি দেয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে শ্রমিকরা এর প্রতিবাদ করে ধর্মঘট করছে এবং মাঠে নেমে তাণ্ডব চালাচ্ছে এটা এক মারাত্মক ব্যাপার। এটা এভাবে ঘটার কারণ, সরকার ও মালিকরা এখন ড্রাইভারদের মানুষ মারার লাইসেন্স দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে এই গাড়ি চালকরা যেভাবে হত্যা করছে তার কোনো বিচার, নিহতদের পরিবারকে কোনো ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা যাতে না হয়, তার জন্য মালিক ও সরকার উভয়পক্ষই শ্রমিকদের কাজে লাগাচ্ছে তাদেরকে ক্রিমিনালাইজ করে। এক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্যই তারা শ্রমিকদের এভাবে উত্তেজিত করে বিদ্যমান অবস্থা জারি রেখে নিজেদের দুর্নীতি ও মুনাফাখোরি বজায় রাখছে। কিন্তু মালিক ও সরকার শ্রমিকদের এভাবে ব্যবহার করছে বলেই ঘাতক ও ক্রিমিনাল শ্রমিকদের শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ক্রিমিনালদের শাস্তি অবশ্যই দরকার।

সরকার ও মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের ঐক্যফ্রন্ট যদি না হতো, তাহলে নৌপরিবহন মন্ত্রীর বাসায় বসে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত এভাবে সম্ভব হতো না। সম্ভব হতো না মন্ত্রীর একথা বলা যে, ঘাতক শ্রমিককে শাস্তি দেয়ার জন্য শ্রমিকদের মতো তিনিও ক্ষুব্ধ! এটা সম্ভব হতো না, একজন মন্ত্রীর পক্ষে দেশের সর্বোচ্চ ট্রেড ইউনিয়নের কর্তাব্যক্তির পদ দখল করে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন থেকে কৌশলে শ্রমিকদের সরিয়ে রাখা এবং তাদেরকে শ্রমিক স্বার্থের জন্য নয়, মালিক ও সরকারের স্বার্থে ব্যবহার করা। শ্রমিকদের অপরাধপ্রবণ করা, তাদের ক্রিমিনালাইজ করা হল শ্রমিক আন্দোলন ধ্বংস করা এবং শ্রমিকদেরকে শ্রমিক স্বার্থের বিপক্ষে কৌশলে ব্যবহার করার সর্বোত্তম উপায়। বিগত দু’দিনের পরিবহন ধর্মঘটে দুই-একজন বাচাল মন্ত্রীর ধর্মঘটবিরোধী তথাকথিত কথাবার্তা সত্ত্বেও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিই দেখা গেল না। যে মন্ত্রীর বাসায় এ ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়েছে তার অপসারণ বা শাস্তির ব্যবস্থাও হল না। তিনি বেশ বহাল তবিয়তে আছেন! কাজেই ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ১ মার্চ দেশে সরকারি মহল কর্তৃক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে চক্রান্তস্বরূপ যে শ্রমিক ধর্মঘটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা শেষ হলেও এর জন্য কাউকে কৈফিয়ত দিতে হবে না, কাউকে শাস্তি দেয়ার কোনো প্রশ্ন উঠবে না। এভাবে এদেশ চলতে থাকবে যে পর্যন্ত না সচেতনভাবে এদের বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলনে নামেন। তথাকথিত বামপন্থী দলগুলো নিজেদের গা বাঁচিয়ে শ্রমিকদের পক্ষের লোক হিসেবে সরকার-মালিক-শ্রমিকদের এ ধরনের যৌথ সংগঠন, যৌথ চক্রান্ত ও যৌথ কার্যকলাপ পরোক্ষভাবে সমর্থন করে গেলেও এর বিপরীতে প্রগতিশীল শক্তি নিজেকে সংগঠিত করে এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য না দাঁড়ায়।

০৪.০৩.২০১৭

বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

http://www.jugantor.com/sub-editorial/2017/03/05/106269