৫ মার্চ ২০১৭, রবিবার, ১২:৩৪

চলতে ফিরতে দেখা

অতি চালাকের গলায় মালা

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

প্রবাদ আর সত্য থাকল না এই আত্মম্ভরি সরকারের আমলে। দীর্ঘকালের বাংলা প্রবাদ হলো, ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি’। তার মানে বেশি চালাকি যে করে, তার গলায় দড়ি অবধারিত। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে তেমনি এক অতি চালাক মন্ত্রী গলায় দড়ি তো দূরে থাক, গলায় ফুলের মালার অপেক্ষায় আছেন। এই লেখা যখন প্রকাশ হবে, তত দিনে তার গলায় ফুলের মালাসহ পত্রিকায় ছবি ছাপা হবে বলে আশা করছি। কিন্তু কেন তাকে এই ফুলেল সংবর্ধনা জানানো হবে? তার কারণ, তিনি তার সুদীর্ঘ অঙ্গুলি হেলনের মাধ্যমে এ দেশের ১৬ কোটি মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি যদি অঙ্গুলির নির্দেশ না দিতেন, তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘট চলতে থাকত। মানুষের দুর্ভোগের আর সীমা থাকত না। অতএব ‘জয় বাংলা’ বলে তার গলায় ফুল অথবা কাগজের মালা দেয়া ছাড়া আমাদের আর কী উপায় আছে। 

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল আদালতের এক আদেশ থেকে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে এক বাসচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এটি নিছক সড়ক দুর্ঘটনা ছিল না। এটি ছিল বাসচালকের মনোভঙ্গির অংশ। বাসচালক ধরে নিয়েছিলেন, সামনে যাই থাক না কেন, তিনি গতি পরিবর্তন না করে গাড়ি চালিয়ে যাবেন। তাতে সামনে যাই পড়–ক না কেন, তুষ হয়ে যাবে। তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও ঠিক ছিল না। বিপজ্জনক বাঁকে গাড়ির গতি কমাননি। মাসুদ-মুনীরদের মাইক্রোবাসে আঘাত করে পাঁচজনকে হত্যা করে পালিয়ে যান। ওই মাইক্রোবাসের ১০ জন যাত্রীর পাঁচজন অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। মামলাটি ছিল সেই হত্যাকাণ্ড বিষয়ে।

তারপর নাটকের আসল দৃশ্যের সূত্রপাত। প্রথমে খুলনা বিভাগের বাসশ্রমিকেরা আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে। এতে এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায় সরকার। কিন্তু আঞ্চলিক এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করার কোনো উদ্যোগ সরকারের তরফ থেকে দেখা যায়নি। মনে হয়, সরকারও দোটানায় পড়ে যায়। তারা আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে কঠোর হবে, নাকি তারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে যাবে? এ রকম একটা পরিস্থিতির দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী এম শাজাহান খান। তিনি বহু গুণে গুণান্বিত। স্বাধীনতার পর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান সরকারকে উৎখাতের জন্য গঠিত জাসদের সশস্ত্র সংগঠন গণবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন তিনি। তারপর জাসদের অনেক নেতার মতোই পল্টি মারেন শাজাহান খান। আর সসম্মানে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এখন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী। তার আরো একটা বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নির্বাহী সভাপতি। গোল বেঁধেছে এখানেই।

শাজাহান খানকে যখন প্রথম মন্ত্রী করা হয়, তখন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহমদ বলেছিলেন, শাজাহানকে মন্ত্রী করার অর্থ হলো দুর্নীতিকে জাতীয়করণ করা। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ কেন এ কথা বলেছিলেন সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। কিন্তু তার সম্পর্কে এই বক্তব্য কখনো খণ্ডিত হয়নি। বরং ধারাবাহিকভাবে সে প্রচার চলেই এসেছে। ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে খুলনা অঞ্চলে ঘাতক চালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে যে ধর্মঘট চলছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই ক’দিনের ধর্মঘটেই দক্ষিণাঞ্চলের ১৮ জেলার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও দুর্দশার শিকার হয়েছিলেন। ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণায় মানুষের জীবনে স্বস্তি নেমে আসে। কিন্তু আশ্চর্য এক কলকাঠি নেড়ে দিলেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। রাতে শাজাহান খানের সরকারি বাসভবনে এক বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ওই সিদ্ধান্ত পাল্টে দেয়া হয়।

তার বাসভবন থেকেই ঘোষণা করা হয়, আদালতের রায় প্রত্যাহার করা না হলে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু করা হবে। আর সেই মুহূর্ত থেকেই এক চরম অরাজক পরিস্থিতির ধর্মঘট শুরু হয়ে যায়। এই শাজাহান খান ড্রাইভারদের লাইসেন্সের ব্যাপারে এক কিংবদন্তিতুল্য উক্তি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ড্রাইভারদের লাইসেন্সের জন্য শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। তারা যদি গরু-ছাগল চেনেন, তবে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। সে এক ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত। এখন পর্যন্ত চালকদের লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া জানা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এই কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান সে ধারণা পাল্টে দিতে চাইলেন। শুধু গরু-ছাগল চিনলেই নিরাপদে গাড়ি চালানো যাবে নাÑ এ সাধারণ বুদ্ধিরও তার অভাব রয়েছে বলে মনে হলো। তার কারণ, সড়কগুলোর বহু স্থানে নানা ধরনের নির্দেশিকা লেখা থাকে। কোন পথে গেলে কোন দিকে যাওয়া যাবে তা যেমন লেখা থাকে, তেমনি এমনও লেখা থাকে যে ‘সামনে বিপজ্জনক সেতু ধীরে চলুন’। অথবা লেখা থাকে ‘সামনে আঁকাবাঁকা রাস্তা ধীরে চলুন’। এমনি আরো অনেক কিছু। ড্রাইভারের যদি সাধারণ লেখাপড়া না থাকে, তাহলে তারা এই নির্দেশিকাগুলো পড়বেনই বা কী করে, অনুসরণ করবেনই বা কী করে। ফলে তার এই বক্তব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

এ দিকে আবার এই অবিরাম ধর্মঘট আসে আদালতের আরো একটি রায়কে কেন্দ্র করে। সে রায়ে একজন ট্রাকচালককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। প্রথমে মনে হতে পারে, দুর্ঘটনার জন্য ট্রাকচালকের এই মৃত্যুদণ্ড বেশি হয়ে গেল কি না? কিন্তু এক মহিলাকে ২০০৩ সালে ইচ্ছাকৃতভাবে চাপা দিয়ে ওই ট্রাকচালক হত্যা করে। ট্রাকচালক ওই পরিবারের পারিবারিক রাস্তার ওপর দিয়ে মাটিভর্তি ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করছিল যাতে রাস্তাটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল। ধুলোবালিতে বসবাসের পরিস্থিতি নষ্ট হচ্ছিল। ওখানে বসবাসরত পরিবারগুলো সাভারের ঝাউচর এলাকার ওই পথ দিয়ে ট্রাকচালক মিরুকে মাটিভর্তি ট্রাক নিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করে। ২০০৩ সালের ৩ জুন গ্রামের নুরু গাজীর স্ত্রী খোদেজা বেগম এই কাজে বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ করার কথা বলেন। এতে ট্রাকচালক মিরু ক্ষুব্ধ হন।

কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে খোদেজা বেগম ট্রাকের সামনে দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে ট্রাক চলাচলে বাধা দেন। ট্রাকচালক তাকে বলেন, রাস্তা ছেড়ে দে, নইলে তোকে চাপা দিয়ে চলে যাবো এবং সত্যি সত্যি ট্রাকটা একটু পিছিয়ে দিয়ে জোরে খোদেজার ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দেন মিরু। এতে অন্যরা সরে যেতে পারলেও খোদেজা বেগম সরে যেতে পারেননি। ট্রাকের সামনের ও পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই খোদেজা বেগম মারা যান। একে কোনো বিবেচনায়ই দুর্ঘটনা বলে অভিহিত করা যায় না। এটি একটি নিষ্ঠুর ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যার ফলে আদালত ট্রাকচালক মিরুকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

শাজাহান খানের বাড়ি থেকে যখন অবিরাম ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয় তখন, এ মৃত্যুদণ্ডকেও একটি উপলক্ষ হিসেবে হাজির করা হয়। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গাও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি একটি সংবাদপত্রকে বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি ধর্মঘট প্রত্যাহার করার জন্য, শ্রমিকরাও রাজি হয়েছিলেন। এর মধ্যে ফাঁসির রায় দেয়া হলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এতে আমাদের কিছু করার ছিল না।’ বৈঠকে অবিরাম পরিবহন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা না করার কৌশল নেয়া হয়।

কারণ, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকার সমর্থকেরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন- এমন দায় এড়ানোর জন্য এই কৌশল। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় নেতারাই ফোনে আঞ্চলিক নেতাদের ধর্মঘট পালনের নির্দেশ দেন। কিন্তু এখানে আদালত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা পরিবহন নেতাদের নির্দেশ দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এই ধর্মঘটে সারা দেশের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। এই দুর্ভোগের পরও নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ওই অন্যায় ধর্মঘটের পক্ষে সাফাই গাইতে কসুর করেননি। তিনি মঙ্গলবার একটি সংবাদপত্রকে বলেন, ‘সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারে।

আপনিও করেন, আমিও করি। ঠিক একইভাবে ওরাও (শ্রমিক) ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।’ তিনি আরো বলেন, চালকেরা মনে করেছেন তারা মৃত্যুদণ্ডাদেশ বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় মাথায় নিয়ে গাড়ি চালাবেন না। তাই তারা স্বেচ্ছায় গাড়ি চালাচ্ছে না। এটাকে ধর্মঘট নয় ‘স্বেচ্ছায় অবসর’ বলা যেতে পারে। নৌমন্ত্রী স্বেচ্ছায় অবসর বললেও দিনভর রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। কোথায়ও কোথায়ও বাসের চালককে নামিয়ে দেয়া হয়। সিএনজি অটোরিকশা চালকদেরও মারধর করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর ও আটকে দেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা গেছে।

সাধারণত দেখা যায়, পুলিশ অনেক সময় ছোটখাটো কর্মসূচিতেও ব্যাপকভাবে চড়াও হয়। এমনকি সে দিনই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাম দলগুলো হরতাল আহ্বান করেছিল। পুলিশ তাদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে, টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের সময় শ্রমিকদের ওই তাণ্ডবে পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয় ও নীরব দর্শক। যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সামনেই যাত্রী ও বাসচালককে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ কোনো ভূমিকা পালন করেনি। আসলে মালিক-শ্রমিক নেতারা সরকারের লোক বলে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকাকে নিরাপদ মনে করেছে। তবে প্রথম দিনই আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, শ্রমিকদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা আদালতে এসে বলুন। সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ধর্মঘট অযৌক্তিক, তা প্রত্যাহার করা উচিত।

নৌমন্ত্রীর এই অশুভ খেলায় আওয়ামী লীগের ভেতরেও তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। আওয়ামী নেতারা মনে করছেন, তার এই সিদ্ধান্তের ফলে যে জনদুর্ভোগ হয়েছে, তাতে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭-এর খসড়া চূড়ান্ত করতে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন ১১৭টি প্রস্তাবের সুপারিশ করে। তার মধ্যে নৌমন্ত্রী একাই করেছিলেন ২২টি সুপারিশ। তার একটি ছিল আইন ভাঙলে মালিক-শ্রমিকদের সাজা কমানোর। আর তাই আওয়ামী লীগ সমর্থক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন করে বলে যে, ওই পরিবহন ধর্মঘট ছিল অযৌক্তিক। শাজাহান খান সরকারের নৌ-পরিবহনমন্ত্রী এবং একই সাথে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি। শ্রম আইন অনুযায়ী তিনি একসাথে দুই পদে থাকতে পারেন না। সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ইনসুর আলী মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার দাবি জানান। 

এ সম্পর্কে বিশিষ্টজনেরা অভিযোগ করেছেন, পরিবহন খাতে বিভিন্ন সময় অস্থিরতার ক্ষেত্রে নৌ-পরিবহনমন্ত্রীর বিশেষ ভূমিকা থাকে। কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, শাজাহান খানের কাছে সরকার কি তবে জিম্মি? কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন-সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এর জন্য সরকারকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে। আমরা জানি না সে মাশুলের স্বরূপ কী হবে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি অতি চালাকের গলায় মালাই ঝুলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি’ই অবধারিত সত্য।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/200841