৩ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার, ১০:২৮

মিয়ানমারে মৃত্যুঝুঁকিতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শিশু

মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যে অপুষ্টিতে মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শিশু। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর যে সংঘাত চলছে, এসব শিশু তার পরোক্ষ শিকার বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনের মংডুতে পুলিশের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। গত অক্টোবর থেকেই অভিযান চলাকালে রাখাইনে জাতিসংঘের কর্মীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় সেনাবাহিনী। তবে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে বুথিডাউং শহরে এবং গত মাসে মংডুর উত্তরে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাকে সীমিত পরিসরে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। তবে যেসব শিশুকে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে, তাদের অধিকাংশের কাছেই তা পৌঁছায় না এবং অনেক শিশুই খাদ্যের অভাবে মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। ত্রাণকর্মীরা এসব শিশুকে সংঘাতের ‘পরোক্ষ শিকার’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন। এসব শিশু হয় মারা গেছে, নিখোঁজ হয়েছে অথবা যে ৭০ হাজার লোক বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে। রাখাইনের দক্ষিণে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থা আরাকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লেওয়া বলেন, ‘অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মৃত্যুর খবর আমাদের কাছে রয়েছে। সংঘাতে যত লোক নিহত হয়েছে, এর পরোক্ষ শিকারের সংখ্যা তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’আরাকান প্রজেক্টের হিসাবে অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তবে অন্যদের মতে, এ সংখ্যা এক হাজার প্রায়। গত বছর এক জরিপে দুই শহরে নথিভুক্ত ১৩ হাজার ১৫৫ শিশুর মধ্যে ৩ হাজার ৪৬৬ জন তীব্র অপুষ্টির শিকার বলে দেখা গেছে। এর বাইরে আরো ৬০ হাজার শিশু মধ্যম পর্যায়ের অপুষ্টির শিকার ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সহযোগিতা করা না গেলে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হবে।