গতকাল ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১১:৩০টার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আমীর ডা. শফিকুর রহমান রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে অবহিত হন।
আমীরে জামায়াতের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তর মেডিকেল থানা সভাপতি ও ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. এসএম খালিদুজ্জামান, আমীরে জামায়াতের ব্যক্তিগত সহকারী জনাব নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বহু কর্মী।
এ সময় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আজকের আগুনে মুহূর্তের মধ্যে অসংখ্য নিম্নআয়ের মানুষের বসতঘর, জীবিকা ও সামান্য সঞ্চয় সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে এখন কঠিন মানবিক সংকটের মুখোমুখি। প্রাণহানি না ঘটলেও এত বিপুলসংখ্যক মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারানো একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কান্না, আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার এই দৃশ্য আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করেছে।
আমীরে জামায়াত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে দুটি করে কম্বল ও কিছু খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে আমরা তাদের পাশে থাকব এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, মূলত সরকারেরই উচিত বিভিন্ন দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। জরুরি ভিত্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, পানি, চিকিৎসা, কাপড়, পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন অত্যাবশ্যক। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকার, বিভিন্ন এনজিও, সাহায্যকারী সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসবে।
বস্তিবাসীরা সাধারণত নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ-এ কথা উল্লেখ করে আমীরে জামায়াত বলেন, সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত-এ রকম জনবহুল এলাকায় কেন বারবার অগ্নিকাণ্ড ঘটছে এবং এর মধ্যে কোনো নাশকতা বা সাবোটাজের উপাদান রয়েছে কিনা।
তিনি অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।