২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শনিবার, ১১:২১

গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ইসলামী আন্দোলনের পথে কষ্ট, শ্রম ও ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা বাড়াতে হবে

-মাওলানা আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর জনাব মো. আব্দুল করিম এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা দক্ষিণের আমীর জনাব আনোয়ারুল ইসলাম ও গাইবান্ধা জেলার সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহিম সরকার প্রমুখ।

প্রধান মেহমান মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের পথে কষ্ট, শ্রম ও ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা বাড়াতে হবে। আমরা নৈতিক শক্তি অর্জনের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে চাই। জনশক্তিকে জ্ঞান, নৈতিকতা ও সাহসিকতায় সমৃদ্ধ হতে হবে। উপজেলা দায়িত্বশীলগণকে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। দায়িত্বের যথাযথ হক আদায় করতে হবে। সংগঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সময় সচেতনতা থাকতে হবে। বহুমুখী কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও সজাগ থাকতে হবে। মানুষের মধ্যে দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারিত ধারনা দূর করতে হবে। দ্বীনি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত ও মজবুত করার ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের পরিকল্পনার আলোকে ভূমিকা পালন করতে হবে। বিভাগীয় কাজসমূহ দক্ষতার সাথে আনজাম দিতে হবে।

বিশেষ মেহমানের বক্তব্যে জনাব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং মানবতার সেবা ও দেশ পরিচালনায় একদল সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে হবে।

বিশেষ মেহমানের বক্তব্যে ডাঃ আব্দুর রহিম সরকার বলেন, “সংগঠনের কারিগর হলো সংগঠক। একজন আদর্শ সংগঠক হিসাবে বাস্তবমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে সর্বাবস্থায় সংগঠন পরিচালনায় সচেতন থাকতে হবে। জাতিকে নেতৃত্ব দানের জন্য জ্ঞানের দিক থেকে অগ্রগামী, উন্নত আমলের অধিকারী হতে হবে। জনশক্তিকে অন্তর দিয়ে ভালবাসতে হবে। পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে গণভিত্তি তৈরী করতে হবে।”