বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “যুগে যুগে জালেমরা জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছিল। জনগণ তাদের উৎখাত করেছে। আমরা জালেমদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেই মজলুমের অধিকার নিশ্চিত করবো, ইনশাআল্লাহ।”

১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বরিশাল মহানগরী জামায়াতের আয়োজনে সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল মহানগরীর আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, “গোটা দুনিয়া আল্লাহর সৃষ্টি। এই জমিনে একমাত্র আইন চলবে তাঁর। আল্লাহর আইন নির্ভুল। তাঁর আইন বাস্তবায়নের জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ কাজ করেছেন। ইসলামের জন্য কর্মীরাও কাজ করে যাবে। আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন হলে দুনিয়া নেয়ামতে পরিপূর্ণ হয়। আকাশ থেকে অবারিত নেয়ামত নাযিল হতে থাকে। দুনিয়া সুখ শান্তিতে পরিপূর্ণ হয়। কাজের জায়গা দুনিয়া, থাকার জায়গা পরকাল। পরকালীন সফলতাই আসল সফলতা। বুদ্ধিমান লোকেরা পরকালকে অগ্রাধিকার দেয়।”

তিনি আরো বলেন, “পাঁচটি কাজ করার মাধ্যমে একজন সহযোগী কর্মী মানে উন্নীত হতে পারেন। সকল সহযোগী ভাইদের প্রতি উদাত্ত্ব আহবান, তারা এই পাঁচটি কাজ আঞ্জাম দেয়ার মাধ্যমে দ্রুত কর্মী মানে উন্নীত হবেন। আল্লাহর রাসূলের সাহাবীগণ দানের ব্যাপারে সব সময় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তারা দুনিয়া দান করছেন আখেরাতের সামানা তৈরি করার জন্য। আমরা আমাদের সহযোগী ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সাহাবীদের অনুসৃত পদ্ধতি অনুসারে দান করবেন।”

সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। নির্ধারিত দারস সূরা আল-হাদিদের শিক্ষা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “দুনিয়া একটি ক্ষণস্থায়ী জায়গা। এর মায়া ত্যাগ করে আখেরাতের জন্য আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহর দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (স:) এর সময় যেভাবে সাহাবীগণ কাজ করেছেন, সেভাবে জান ও মাল অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে আমাদেরকে ভূমিকা রাখতে হবে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, “আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দকে হারিয়েছি। তারা তাদের জীবন দেয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই হলো জীবনের মূল লক্ষ্য। আমরা শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন চাই না। আমরা আমাদের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।”

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, “বরিশালের এই ময়দানকে পরিবর্তনের জন্য সহযোগী ভাই ও বোনদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। একটি শোষণ বঞ্চনা মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার এবং আখেরাতে সফল হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের সময়, শ্রম ও মেধা খাটিয়ে কাজ করতে হবে।”