১৫ জানুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৭:৩০

কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। এই নির্বাচনকে কোনোভাবেই নির্বাচন বলা যাবে না। এটা ছিল একটি অস্বাভাবিক নির্বাচন। জনগণ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচন দেশে এবং দেশের বাইরে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। গায়ের জোরে বর্তমান সরকার এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য বলার চেষ্টা করছে এবং তড়িঘড়ি করে শপথ নিয়ে সরকার গঠন করেছে।

১৫ জানুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি আয়োজিত জেলা সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ আতঙ্কের মধ্যে জীবন-যাপন করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিস আজ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। জালিম সরকারের কারণে দেশ আজ গার্মেন্ট শিল্পের বাজার হারাতে বসেছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে সরকার।

জামায়াতের আমীর বলেন, সহযোগী সদস্যরা হল জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে জনমত সৃষ্টির মাধ্যম এবং সৎ, দক্ষ ও যোগ্য লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সহায়ক শক্তি। সহযোগী সদস্যদেকে কোরআন-হাদীস অধ্যয়ন করে জামায়াতের যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে উঠতে হবে এবং ইসলাম ও মানবতার কল্যাণে নিজেদের জানমাল ব্যয় করার নজির স্থাপন করতে হবে। তিনি জামায়াতের সহযোগী সদস্যের উদ্দেশে আরও বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে এবং সহযোগী সদস্যদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াত প্রচলিত কোনো রাজনৈতিক দল নয়। জামায়াতে ইসলামী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সকল প্রকার জুলুম-অত্যাচার, বাধা-প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিগত ১৫ বছরে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর কারাবরণ ও অসংখ্য নেতাকর্মীর ত্যাগ-কুরবানি আমাদের আন্দোলনকে বেগবান করেছে।

সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হামিদ মিয়া ও শাহজালাল সবুজসহ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ ও উপজেলা দায়িত্বশীলবৃন্দ।