কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, “৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। ভোটারগণ ঘরে বসে অবসর সময় কাটিয়েছেন। তারা তামাশার ডামি নির্বাচনে ভোট করেননি। আওয়ামী লীগ নজিরবিহীন অভিনব ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। এই নির্বাচনের ফলাফল ছিল পূর্ব নির্ধারিত। ডামি নির্বাচন করে মূলত এক ব্যক্তির পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করে আনা হয়েছে। ডামি নামক এই প্রতারণর নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন নামে আওয়ামী লীগ ছিল আওয়ামী লীগেরই প্রতিদ্বন্ধী। ৭ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংকট তো কমেইনি বরং আরও ঘণীভূত হয়েছে। গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।”
১৩ জানুয়ারি যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীলদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন। জেলা আমীর মাওলানা আবদুল আজিজ এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আবু জাফর এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন মনিরুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল মালেক, মাওলানা আবদুস সামাদ ও মাওলানা নজির হোসেন প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে এক ব্যক্তির ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ও দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করে ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন দমন করতে অগণতান্ত্রিক পথ বেঁছে নিয়েছে। গণতন্ত্র হরণকারী ফ্যাসিবাদী সরকার গোটা দেশটাকে জিম্মি করে রেখেছে। জামায়াতসহ প্রায় সকল বিরোধীদল জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে। সরকারের সকল প্রতিবন্ধকতা ও জুলুম নির্যাতন সত্তে¡ও জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতারণার ডামি সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি সরকারের প্রতি অতি দ্রুত নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি।”
