১২ জানুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ৩:০৬

কুষ্টিয়ায় জেলা জামায়াতের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার

জামায়াতে ইসলামী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চায়

-মোবারক হোসাইন

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, গণতন্ত্র হরণকারী সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তামাশার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। জালিম সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। দেশী-বিদেশী সকল মহল গণবিচ্ছিন্ন সরকারের অভিনব কায়দার ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও ইসলামী রাজনৈতিক দল। সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি মেনে জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিসহ সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এতদসত্ত্বেও জালিম সরকার জামায়াতে ইসলামীকে মিটিং-মিছিল করতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও পঙ্গু করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে শীতবস্ত্র প্রদানের মতো মানবিক কাজও অবাধে করা সম্ভব হচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের সীমাহীন জুলুম-নিপীড়ন উপেক্ষা করে জামায়াতে ইসলামী সামর্থ্য অনুযায়ী আর্ত মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধর্ম-বর্ণ-দল নির্বিশেষে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জামায়াত অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চায়। আপনারা জামায়াতে ইসলামীর সকল জনকল্যাণমূলক কাজে পাশে থেকে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং এ দেশে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে ত্বরান্বিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

১২ জানুয়ারি শুক্রবার কুষ্টিয়া জেলার উদ্যোগে জেলা আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেম এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দৌলাহ-এর সঞ্চালনায় দরিদ্র ও অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল গফুর, মাহবুব মাজহার প্রমুখ।

তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু দিন যাবত কুষ্টিয়া জেলাসহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রচণ্ড শীত জেঁকে বসেছে। খেটে-খাওয়া দিনমজুর মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা কাজে যেতে পারছেন না। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল, আদর্শবাদী ও গণকল্যাণমুখী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছে। আশা করি দুর্গত মানুষরা এতে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। গণমানুষের জন্য জামায়াতের এই কল্যাণকামিতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ। তিনি শীতার্ত মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান।