১০ আগস্ট ২০২২, বুধবার, ৯:২৯

ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা

পবিত্র আশুরার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে আপোষহীন থাকতে হবে

-সাইফুল আলম খান মিলন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, পবিত্র আশুরা নানা দিক থেকেই গুরুত্ববহ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনেই কারবালা প্রান্তরে রাসূল (সা.) এর নাতি ইমাম হোসাইন বিন আলী (রা.) মর্মান্তিকভাবে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তিনি কোন ভাবেই অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত করেননি। তাই পবিত্র আশুরার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে আপোষহীন থাকতে হবে। তিনি পবিত্র আশুরার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ আত্মগঠনে মনোনিবেশ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

তিনি আজ ঢাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নারায়গঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল জব্বার। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি শাহিনুর ইসলাম ও সহাকরি সেক্রেটারি এবিএম কামাল হোসাইন প্রমূখ।

সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, নানা ঘটনার কারণেই আশুরার দিন তাৎপর্যপূর্ণ। আশুরার দিনে আসমান, জমিন পাহাড়-পর্বত ও হযরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়। এই দিনে নূহ (আ.) মহাপ্লাবন শেষে জুদি পাহাড়ে অবতরণ ও হজরত ইবরাহিম (আ.) নমরুদের প্রজ্জলিত অগ্নিকু- থেকে মুক্তিলাভ করেন। হজরত ইউনুসকে (আ.) ৪০ দিন পর দজলা নদীতে মাছের পেট থেকে উদ্ধার লাভ করেন এবং হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা পান। হজরত ঈসা (আ.) পৃথিবীতে আগমন এবং জীবিতাবস্থায় আসমানে উত্তোলন এবং হজরত দাউদকে (আ.) বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয় এই দিনে। এই দিনে গাজওয়ায়ে খায়বায় জয়লাভ এবং মাদায়েন এবং কাদিসিয়ার যুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়। হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি এবং একই দিনে তার জান্নাতে প্রবেশ। হজরত আদমকে (আ.) জান্নাত থেকে দুনিয়ায় প্রেরণ এবং গুনাহ মার্জনার পর তার সঙ্গে বিবি হাওয়াকে আরাফাতের ময়দানে জাবালে রহমতে পুনঃসাক্ষাৎ লাভ ঘটে। তাই বিভিন্ন কারণেই এদিনের মর্যাদা অত্যধিক।

তিনি বলেন, পবিত্র আশুরার চেতনা নবী-রাসূল (সা.) গণের প্রদর্শিত ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোচ্চ কুরবানির নজরানা পেশের চেতনা। এই দিনেই রাসূল (সা.) এর দৌহিত্র হযরত হোসাইন বিন আলী এবং তার সঙ্গীরা (রা.) স্বৈরশাসক এবং তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন এবং শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করা পর্যন্ত লড়ে গেছেন। তাই পবিত্র আশুরার শিক্ষাই উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড় তুলতে হবে।