২২ মে ২০২২, রবিবার, ৯:৩০

‘ঈমানদারগণ আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না’

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর তত্ত্বাবধানে টিম-২ আয়োজিত দিনব্যাপী অগ্রসর কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জনাব মুহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক উপাধ্যক্ষ আব্দুর রব এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম নগর আমীর জনাব মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার ও জনাব এমএ আলম প্রমুখ।

ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “নবী-রাসূলগণ দ্বীনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। যুগে যুগে তাঁদের ওপর অনেক পরীক্ষা এসেছিল। ইসলামী আন্দোলনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের ওপরেও নানা পরীক্ষা আসবে। জেল-জুলুম ফাঁসিসহ যে কোনো কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ঈমানদারগণ আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। বিপদ-মুসিবত আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। ধৈর্য ধারণ করে এ আন্দোলনে সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আজ দেশে আলেম-ওলামাদের নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলত ইসলামের বিরুদ্ধে, তারা হলেন দ্বীনের বড় দাঈ ইলাল্লাহ। তিনি অবিলম্বে এ সকল অন্যায় ও অনৈতিক তৎপরতা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।”

কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, “রুকনরা হলেন আমাদের সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি। এজন্য কর্মী ভাইদেরকে বায়াত গ্রহণের মাধ্যমে নিজকে আরো বেশি ত্যাগ-কোরবানী পেশের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোরআন-হাদিস ও ইসলামী জ্ঞান অর্জনের জন্য ব্যাপক অধ্যয়ন করতে হবে। পাশাপাশি ধৈর্য ও সাহসের সাথে সামনের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক উপাধ্যক্ষ আব্দুর রব বলেন, “দাওয়াত হচ্ছে মুমিন জীবনের মিশন। একজন মুমিন কখনো দাওয়াতি কাজ হতে বিরত থাকতে পারেনা। সমাজের পাড়া মহল্লার প্রতিটি সেক্টরে ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে মজবুত করতে হলে ব্যাপক দাওয়াতি কাজের বিকল্প নেই।”

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর জনাব মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “একটি আদর্শ সংগঠনের কর্মী হিসাবে আমাদের অনেক গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে। মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে। মানুষের সাথে উত্তম ব্যবহারসহ আমাদেরকে প্রত্যেকটি কাজে অধ্যবসায়ী হতে হবে। ব্যক্তিগত সফলতার জন্য প্রশিক্ষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করা যায়।

আমরা যারা একটি ইসলামী সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি আমাদেরকে ব্যাপক অধ্যয়ন করতে হবে। তিনি দ্বীনকে বিজয়ী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং দেশকে একটি আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসাবে গড়তে কর্মীদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।”