সংবাদ সম্মেলনে দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম
৪ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৫:৫৫

দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্ম-এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ৪ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মোঃ মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুমের সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

“দেশের এক সংকটকালে আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। গত ১২ বছর যাবৎ দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংক লুটপাট, ডেস্টিনি, হলমার্ক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের সময় স্বাস্থ্যখাতের ভয়াবহতা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১৭টি নথি গায়েবের কলঙ্কজনক ঘটনা দুর্নীতির এক নতুন চিত্র হিসেবে জাতির সামনে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রশাসনে শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। মানুষের ভোটাধিকার শুধু হরণ করা হয়নি, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাঙ্গণে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মেধাবি ছাত্রদেরকে বেছে বেছে নির্যাতন ও তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।

বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সভা, সমাবেশ ও মিছিল করতে দেয়া হচ্ছে না। সংবাপত্রের কন্ঠ রোধ করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের মাধ্যমে সকল নাগরিকের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীর মত ব্যবহার করা হচ্ছে। নিজেদের কৃত অন্যায়, অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলেই তার নিরপেক্ষ তদন্ত না করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও রিমাণ্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। পরবর্তীতে দেখা গেছে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত সরকারের দলীয় ক্যাডারদের আড়াল করার ভূমিকার কারণে দায়ী ব্যক্তিরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন মজিদ অবমাননার পর দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার তদন্ত ছাড়াই পূর্বের অভ্যাস মোতাবেক অপরের কাধে দোষ চাপানো হয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রকাশ হয়ে পড়ে যে ঘটনার নেপথ্যে ছিল আওয়ামী যুবলীগের নেতা কর্মীগণ।

অতীতেও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা সংঘটিত করে এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করে তার দায়-দায়িত্ব জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এখানে সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনা যার দোষ অপরের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তার কয়েকটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরছি:

১. ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে নোয়াখালীর কৃষ্ণপুরে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা হিন্দুদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় স্থানীয় পূজা কমিটি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ১০ ক্যাডারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
২. টাঙ্গাইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করে। এর প্রতিকার চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশান দায়ের করা হয়। মহামান্য হাইকোর্ট ঘটনার জন্য দায়ী আওয়ামী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
৩. ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও ভাঙচুর করতে গিয়ে ধরা পড়ে যুবলীগের ক্যাডাররা।
৪. ২০১৩ সালের ৫ মার্চ বগুড়ায় শহীদ মিনারে হামলা ও ভাঙচুর করতে গিয়ে যুবলীগ নেতা হাতেনাতে ধরা পড়ে।
৫. ফেনীতে সেনাবাহিনীর গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ করতে গিয়ে ধরা পড়ে ছাত্রলীগের কর্মী।
৬. ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে শিবমূর্তি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যুবলীগের কর্মী।
৭. ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে গিয়ে যুবলীগ কর্মী হাতে নাতে ধরা পড়ে। আদালত তাকে ১ বছর কারাদণ্ড দেয়।
৮. ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি মাগুরায় বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করতে গিয়ে যুবলীগের ৩ জন নেতা-কর্মী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
৯. বগুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঐ স্কুলের আওয়ামী লীগপন্থী প্রধান শিক্ষক ধরা পড়েছে।
১০. ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর যশোরের অভয়নগরে সংখ্যলঘুদের উপর সহিংসতা ঘটে। এ ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিজয়ী এমপি আওয়ামী লীগ নেতা রনজিৎ কুমার রায় বলেছেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালিয়েছে তার প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুল ওহাবের ক্যাডাররা। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য মন্ত্রীগণ এই ঘটনা জামায়াত-শিবির ঘটিয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন এবং পত্রিকায় সরকারের এই বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে।
১১. ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এ সরকারের আমলে রামুতে বৌদ্ধদের ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও তাদের ৩৪টি বসত বাড়িতে হামলা চালায় যুবলীগ।
১২. এ সরকারের আমলে বিশেষ করে ২০১৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের শন্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকার বেসামাল হয়ে বেপরোয়াভাবে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এসব ঘটনার সাথে সরাসরি সরকার সম্পৃক্ত থাকায় কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আওয়ামী সরকারের মিথ্যা প্রচারণা ও নোংরা রাজনৈতিক খেলার নির্মম শিকার হচ্ছে আমাদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
১৩. ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার জন্য জামায়াতকে জড়িয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। জামায়াত বিবৃতির মাধ্যমে তার প্রতিবাদ জানায়। অথচ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও মন্ত্রীকে দায়ী করে। নাসিরনগরের তদানীন্তন এমপি ছায়েদুল হকের সংগে মুক্তাদির ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের দ্বন্দ্বই হামলার নেপথ্য কারণ হিসেবে উদ্ঘাটিত হয়েছে। নাসিরনগরে ৫ দিনের ব্যবধানে হিন্দুদের বাড়ি, মন্দিরে দুই দফা আক্রমণের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাসেম হরিপুর ইউনিয়ন সভাপতি ফারুক মিয়া ও চাপরতলা ইউনিয়ন সভাপতি সুরুজ আলীকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ।
১৪. ২০১৭ সালে গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হন। কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবেন আওয়ামী লীগের এক সম্মেলনে লিটন হত্যার জন্য জামায়াতকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। সরকারের পুলিশ বাহিনী জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ঐ হত্যাকাণ্ডের সাথে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই বলে প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কারণে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। পরবর্তীতে পুলিশ লিটন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানকে গ্রেফতার করে এবং তার বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করে। এ হত্যাকাণ্ডের অপর আসামী আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার গোস্বামী ভারতে পালিয়ে যায়। অথচ প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতারা জামায়াতকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়ে জামায়াত নেতাদেরকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করে। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে আবদুল কাদের খানসহ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
১৫. ২০২১ সালে মার্চ মাসে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হিন্দুদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অসীম চক্রবর্তী ও দিপক দাস মিডিয়ায় বলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি শহীদুল ইসলাম মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন সংঘটিত করে হিন্দুদের উপর তাণ্ডব চালায়।
১৬. কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন মজিদ অবমাননার পর দায়ী ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতারের পরিবর্তে সরকার বিরোধীদলের উপর দোষ চাপিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল বের করলে চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে ৪ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ও বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দলীয় ক্যাডারদের হামলার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।
১৭. ২০২১ সালে ১৭ অক্টোবর রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৫টি হিন্দু পরিবারের সবকিছু আগুনে পুড়ে যায়। অন্তত ৫০টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। হামলাকারীরা গরু, ছাগল, অলংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্যদেরকে দায়ী করা হয়। বরাবরের মতই এ ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দায় অন্যদের উপর চাপানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগের নেতা সৈকত মণ্ডল ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

দেশের কোথাও কোনো কিছু ঘটলেই কোনা বাছ-বিচার না করে ক্ষমতাসীন মহলের পক্ষ থেকে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে ঢালাওভাবে দায়ী করার কারণে একদিকে জামায়াত ও ছাত্রশিবির নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, অপরদিকে প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিরা পার পেয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার পর জাতির সামনে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের উপর প্রকৃত হামলাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের পরিবর্তে সরকার এক ধরনের রাজনৈতিক খেলায় মত্ত রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ঘোলাটে হচ্ছে। এ পরিস্থিতি অবসানের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

১। কোনো ঘটনা ঘটলেই ভিন্ন রাজনৈতিক দলকে দায়ী করার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
২। বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি সন্ত্রাসী ঘটনার প্রকৃত নায়কদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করতে হবে।
৪। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫। অতীতে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৬। প্রশাসন যাতে পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে সচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, ধৈর্যের সাথে আমাদের বক্তব্য শোনার জন্য আপনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।”