১ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৭:৩৭

কারাগারে এটিএম আজহারুল ইসলামের সাথে তার আইনজীবীদের সাক্ষাত

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের সাথে আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার তার আইনজীবী এড. মতিউর রহমান আকন্দের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবীদের একটি টীম সাক্ষাত করে। মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় ঘোষণার পর তার সাথে এটা আইনজীবীগণের প্রথম সাক্ষাত।

তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। মানসিক ভাবে অনেক দৃঢ আছেন। লিখিত রায় পাওয়ার পর আইন মোতাবেক তিনি আইনজীবীদের রিভিউ আবেদন দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন ।

জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে আমার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। ১৮ বছর বয়সের একজন যুবক ১৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। অথচ এ ধরনের একটি মিথ্যা কাহিনী আমার বিরুদ্ধে রচনা করে আমাকে যে সাজা দেয়া হয়েছে তা আমার উপর চরম জুলুম ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি আরো বলেন, সুপ্রীম কোর্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এ আদালতের ৪ জন বিচারপতির মধ্যে একজন বিচারপতি এ রায় সম্পর্কে দ্বিমত পোষন করেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় এটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত রায়। এ দেশের জনগণের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন ৭ কিমি এবং ৩ কিমি দূর থেকে দেখা ঘটনার সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ফাঁসির এ রায় দেয়া কী আমাকে হত্যার নামান্তর নয়?

তিনি আরো বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সাথে আমার দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই। আমি কোন অন্যায় করিনি। আমার ভয় পাওয়ার বা বিচলিত হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। তিনি বলেছেন, রায়ের খবর শুনার পর আমি অনুভব করলাম আমার মন যেন পূর্বের চেয়ে আরও দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়ে গেছে। আমাকে যদি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় সেটা হবে আমার শহীদি মৃত্যু। আর তা হচ্ছে আমার পরম সৌভাগ্য। আমি শহীদি মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করার জন্য প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেছেন, আজ হোক কাল হোক আমাকে মরতেই হবে। সে মৃত্যু যদি শহীদি মৃত্যু হয় তবে তা জান্নাতে যাবার পথ নিশ্চিত করবে। আমি সানন্দে সে মৃত্যুকে বরণ করে নিবো, ইনশাআল্লাহ।

তিনি দেশবাসীকে সালাম জানিয়েছেন ও তার জন্য দোয়া করতে বলেছেন যাতে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আল্লাহর দ্বীনের পথে সুদৃঢ় ও অবিচল থাকতে পারেন।