চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধাদান এবং হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ১২ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি ও আলেম-ওলামার মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে সরকার বিরোধী নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সরকার জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। শতশত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সাজানো ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। মিছিল শেষে সিলেট মহানগরী সুরমা দক্ষিণ সাংগঠনিক থানার সেক্রোটারি ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদারসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় জামায়াতে ইসলামী এবং অঙ্গ সংগঠনের ৬৪ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটাকে এক বৃহৎ কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। আমি সরকারের এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলন দমন করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। দেশের জনপ্রিয় মূলধারার বিরোধী দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে সরকার গৃহপালিত ও নামকাওয়াস্তে বিরোধী দল তৈরি করে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার অশুভ চক্রান্তে মেতে উঠেছে। সরকার সাজানো একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। বিরোধীদলের ন্যায্য দাবি-দাওয়া মেনে নিন। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে আমরা বলতে চাই, নির্বাচন কেন্দ্রিক বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদলগুলো আন্দোলন করছে। দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। বিরোধীদলের অনেক শীর্ষ নেতা এখনো জেলে বন্দি। এমতাবস্থায় একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে, তা হবে দেশের জন্য আত্মঘাতী। রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছার পূর্বে একতরফা তফসিল ঘোষণা না করার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা বেতন-ভাতাসহ ন্যায্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের দাবি মেনে নিন। তাদের ওপর গুলি চালাবেন না। মানুষ হত্যা করে দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিবেন না। শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে পতদ্যাগ করুন এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
অবিলম্বে জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে জামায়াতসহ বিরোধীদলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।”