জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর রবি ও সোমবার টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং গত কয়েক দিনে কর্মসূচি পালনকালে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আগামী ১০ নভেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠানের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৯ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জালিম সরকার বিগত ১৫ বছর যাবত নাগরিকদের ওপর জবরদস্তিমূলক কুশাসন চালাচ্ছে। সরকারের অবিচার-অনাচারে দেশ ছেয়ে গেছে। তারা দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে স্বৈরতন্ত্র ও জুলুমতন্ত্র চালু করা হয়েছে। নাগরিকদের ভোটাধিকার ও মিটিং-মিছিলসহ সকল সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় ফ্যাসিস্ট সরকার বুঝতে পেরেছে যে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং জনগণের আস্থা হারিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ক্ষমতা হারানোর এই আশঙ্কা থেকেই আওয়ামী সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে এবং গণতন্ত্র বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই, গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনতা জেগে উঠেছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিরোধীদলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। আপনাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে তারা ধারাবাহিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আপনারা শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিন। জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে নিন। পদত্যাগ করুন এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন। নচেৎ উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির জন্য আপনারাই দায়ী থাকবেন।
জনগণ যাতে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারে সেজন্য দুই দিনের বিরতি দিয়ে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী ১২ নভেম্বর রবিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা সড়ক, রেল ও নৌ পথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি এবং গত কয়েক দিনে কর্মসূচি পালনকালে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আগামী ১০ নভেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠানের আহবান জানাচ্ছি। ঘোষিত কর্মসূচিতে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সংগ্রামী দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।”