বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভা সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জামায়াতের আমীর ডা: শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়ে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।
“আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। দেশে এখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। বিগত ১৫ বছরে বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি এবং কোথাও গ্রহণযোগ্যতাও পায়নি। কিন্তু গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সরকার টালবাহানা করে যেনতেনভাবে আবারো একটি প্রহসনের নির্বাচন করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, দেশের জনগণ বাংলাদেশে আর কোনো প্রহসন ও একদলীয় ষড়যন্ত্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেবে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অবিলম্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।
সরকার একদিকে নির্বাচনের কথা বলছে, অপরদিকে বিরোধী দলের লোকজনকে অব্যাহতভাবে গ্রেফতার ও তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। মামলা বিহীন লোকদের গ্রেফতার করে কয়েকদিন গুম করে রেখে নতুন নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। পুরোনো মামলাগুলোর বিচার দ্রুততার সাথে শেষ করার জন্য দিন ও রাতে সাক্ষ্য গ্রহণ করে তড়িঘড়ি করে সাজা দেয়ার আয়োজন করা হচ্ছে। সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমানকে গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোঃ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব শাজাহান চৌধুরীসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী এবং আলেম-উলামাকে দীর্ঘ দিন যাবৎ কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। প্রতিদিনই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়ে গোটা দেশকে একটি কারাগারে পরিণত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অবিলম্বে এসব অন্যায় গ্রেফতার, হয়রানি বন্ধ করে আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মী এবং আলেম-ওলামাদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছে।”