মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, সেক্রেটারি ইয়ামির আলী ও সদর উপজেলা আমীর ফখরুল ইসলামসহ ৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৯ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আল্লামা দেলাওয়ারা হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল চলাকালীন এক বাসা থেকে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, সেক্রেটারি ইয়ামির আলী ও সদর উপজেলা আমীর ফখরুল ইসলামসহ ৫ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একটি বৈধ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার চরম অন্যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আমি এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। সরকার জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। জুলুম-নির্যাতন সত্ত্বেও জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, দেশের সংবিধান প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার দিয়েছে। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। গায়ের জোরে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। অতীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে জনগণের ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। ভবিষ্যতেও যাবে না ইনশা-আল্লাহ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। দেশকে আজ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমি সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অবিলম্বে এসব অন্যায় গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীসহ গ্রেফতারকৃত ৫ জন নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”