বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, “বর্তমান সরকারের আমলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের জনগণের নাভিশ্বাস।
চাল, ডাল, তেল, মাছ, গোশত, চিনি, শাক-সব্জি ও আদা, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদির মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে বাড়তে জনগণের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ফলে দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। কৃষক, শ্রমিক ও চাকুরিজীবী সীমিত আয়ের লোকদের জীবন ধারণ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাসা ভাড়াও বেড়েছে। গত ১৪ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে সীমিত আয়ের মানুষ দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। দরিদ্র জনগণ একটু ভাল খাবারের ব্যবস্থা করতে পারছে না। জনগণ দুবেলা পেট ভরে খেতে পায় না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরার যেন কেউ নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার প্রকৃতপক্ষে কার্যকর কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। দেশের কোনো কিছুর ওপরে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
মজলিসে শূরা উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করে আসছে যে, সরকার জনগণের ভাল-মন্দ দেখভাল করার পরিবর্তে গদি রক্ষার রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয় বলেই তারা জনগণের কল্যাণ করার পরিবর্তে জনগণকে আস্টে-পিষ্ঠে বেঁধে তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। যেহেতু জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হয়নি, সেহেতু তারা জনগণের কল্যাণ ও অকল্যাণের কোনো খবর রাখে না।
সরকার দলীয় ব্যবসায়ীরা সরকারের ছত্রছায়ায় প্রভাব বিস্তার ও সিন্ডিকেট তৈরী করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে ও সম্পদের পাহাড় গড়ছে। আর জনগণ অর্ধাহারে-অনাহারে ক্ষুধায় কষ্ট পাচ্ছে। এ অবস্থা কোনোক্রমেই চলতে পারে না।
আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানাচ্ছে।”