বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার আজ ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। এ সরকারের ১৪ বছরের শাসনামলে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে এখন আর কিছু নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী একটি বৈধ ও সংসদে বারবার প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও জামায়াতকে রাজপথে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। জামায়াত কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে গেলেই তাতে বাধা দেয়া হচ্ছে। গ্রেফতার করে ও নির্যাতন করে নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেয়া হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় আসামী করা হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সহশ্রাধিক নেতাকর্মী আটক রয়েছে। সারা দেশে মামলা সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার।
সরকার জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রেখেছে। নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি আল্লাামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ১৩ বছর যাবৎ, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে ১২ বছর যাবৎ, সাবেক এমপি আব্দুল খালেক মন্ডলকে ৭ বছর যাবৎ. নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীকে প্রায় ১৭ মাস যাবৎ কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অবিলম্বে আমীরে জামায়াতসহ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছে।