বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “নৈতিক শক্তি বলিষ্ঠ করলে দুনিয়ার কোনো শক্তিই পেছনে নিতে পারবে না। ব্যক্তিগত সম্পদ কম বা বেশি সবই আল্লাহর পরীক্ষা। আল্লাহ যা দান করেছেন তা আল্লাহর পথে ব্যবহার করতে হবে। ইকামতের দ্বীনের ফরজিয়াতের দায়িত্ব পালনে রুকনদেরকে অত্যন্ত যত্নবান হতে হবে। তিনি রুকনিয়াতের আসল চেতনা ধারণ করে সকলকে এগিয়ে যাবার আহবান জানান।”
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৯টায় জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন।
বিশেষ অতিথি এ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, “বর্তমান বিশ্বে জামায়াত আজ অনেকগুলো দেশে কাজ করে যাচ্ছে এবং বাছাই করে যোগ্য লোক তৈরী করছে যার কারনে দেশের জনগন আজ বিকল্প শক্তি হিসেবে জামায়াতকে ভাবতে শুরু করেছে। সংগঠনের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে তিনি বলেন, দুনিয়ার সফলতার নিশ্চয়তা না থাকলেও পরকালীন পুরস্কার অনিবার্য।”
বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ মোবারক হোসাইন বলেন, “রুকনগণ হলেন সংগঠনের প্রাণ। তাদের সক্রিয় ভূমিকার উপরই সংগঠনের সফলতা নির্ভর করে। কাজেই নিষ্ক্রিয়তাকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। সংগঠনের দাবি হল রুকনগণ নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলে সংগঠনকে একটি মডেল অর্গানাইজেশন হিসেবে দ্বার করাতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে।”
রুকন সম্মেলনে দারসুল কোরআন পেশ করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল গফুর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ খন্দকার এ কে এম আলী মুহসিন, অঞ্চল টিম সদস্য ও জেলা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।